Ex-NSI DGs Rezaqul, Rahim held over Ctg arms haul

Saturday, May 16, 2009
Ex-NSI DGs Rezaqul, Rahim held over Ctg arms haul
Online Report
The Criminal Investigation Department (CID) early today arrested two former director generals (DG) of the National Security Intelligence (NSI) in connection with the 10-truck arms haul case.
Maj Gen (retd) Rezaqul Haider Chowdhury and Brig Gen (retd) Abdur Rahim Chowdhury were picked up from their DOHS residences at Mohakhali in the capital, confirmed the CID and the NSI senior officials.
According to sources during the arms haul in Chittagong in 2004, Abdur Rahim was DG of the NSI while Rezaqul Haider was director of the Directorate General of Forces Intelligence (DGFI).
Rezaqul Haider also served as DG of the NSI later. CID sources said both the former NSI bosses are being taken to Chittagong.
Today's arrests were followed by confessional statements by former NSI director Sahab Uddin and arrested NSI Field Officer Akbar Hossain Khan.

Both govt, foreign hands involved

Says ex-NSI man in confession
Staff Correspondent, Ctg
Former director of National Security Intelligence (NSI) Sahab Uddin in a confessional statement yesterday implicated a number of high officials of the NSI and the government and some foreigners in the sensational Chittagong arms haul case, sources said.
However, no details could be known since the investigators of Criminal Investigation Department (CID) and others concerned remained tight-lipped.
Sahab Uddin made the confessional statement before Metropolitan Magistrate Mohammad Abu Hannan. He took two and a half hours from 3:30pm to complete his 16-page statement.
Sources said Sahab Uddin confessed to his involvement in arranging transport and equipment for the 10 truckloads of firearms and ammunition hauled at Chittagong Urea Fertiliser Ltd Company (CUFL) jetty in the early hours of April 2, 2004.
He named a few former high officials of NSI and the then men in government as well as some foreigners, sources said.
The former NSI director was produced before the court for recording his confessional statement yesterday afternoon after his six-day remand ended Thursday.
He had been placed on remand for three days on May 4 as well. He was arrested at a house on Green Road in the capital on May 3.
His arrest was made after arrested NSI Field Officer Akbar Hossain Khan in a confessional statement on May 2 evening mentioned that Sahab had links to the sensational case.

এনএসআই'র সাবেক দুই প্রধান গ্রেপ্তার

ঢাকা, মে ১৬ বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক দুই মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার রাতে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার না করে যথাযথ স্থানে যোগাযোগ করতে বলেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) নূর মোহম্মদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা) অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমদ শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন তিনি। হাকিম আবু হান্নান তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সিআইডি'র এক কর্মকর্তা জানান, জবানবন্দিতে আব্দুর রহিম ও রেজ্জাকুল হায়দারের সংশি�ষ্টতার কথা বলা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহিমকে গত বিএনপি সরকার এনএসআই'র মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর আব্দুর রহিমকে সরিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্য রাতে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) এর সংরক্ষিত জেটি ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানটি আটক করে পুলিশ।

বোমারু মিজান গ্রেফতার রক্তাক্ত স্ত্রী আটক জেএমবির বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেএমবি সদস্য জাহিদুর রহমান ওরফে বোমারু মিজান ও তার স্ত্রী গ্রেফতারের পর তার তথ্য অনুযায়ী মনিপুরি পাড়ার এক বাসা থেকে বিপুলসংখ্যক বোমা ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মিরপুরে র্যা ব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)র বোমা তৈরির কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শেওড়াপাড়ার জেএমবির একটি আস্তানায় অভিযানের পর গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্ব মনিপুরে জেএমবির বোমা তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পায় র্যা পিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব)। এই কারখানা থেকে গতকাল সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত র্যা ব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২টি পিস্তল, ১২টি বোমা, বোমা তৈরির ৩২টি খোসা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ভরা বেশ কয়েকটি প্লাস্টিক বৈয়াম উদ্ধার করে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার উত্তর পীরেরবাগে জেএমবির আস্তানায় পৌনে চার ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে রাত সোয়া ২টার দিকে জেএমবি সদস্য জাহেদুর রহমান ওরফে বোমা মিজানের স্ত্রী শারমীন হক লতাকে আটক করে র্যা ব। অভিযানের সময় বোমার বিস্ফোরণে লতার ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। এ সময় রক্তমাখা অবস্থায় তার ২ শিশু সন্তান এবং ২টি গ্রেনেড, একটি অবিস্ফোরিত বোমা ও ২টি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে র্যা ব। র্যা বের পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত জাহেদুর রহমান ওরফে বোমা মিজান ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতারের পর র্যা বের হেডকোয়ার্টারে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মিজানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পূর্ব মনিপুরের ৬৭৬/২ ভবনের চারতলায় অভিযান চালিয়ে এ আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি জানান, বাড়িটির একটি কক্ষ থেকে বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রেনেড বডি (ধাতব আবরণ), ফিউজ, ডেটোনেটর, গ্রেনেড তৈরির প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি। গতকাল শুক্রবার ঘটনাস্থলে র্যা ব ৪ এর পরিচালক লে. কর্নেল একেএম শামসুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এটাকে আমরা গবেষণাগার বলতে পারি। এখান থেকে ১১টি তাজা বোমা পেয়েছি। এছাড়া বোমা তৈরির যাবতীয় সরঞ্জামও পেয়েছি যা দিয়ে হাজারেরও বেশি বোমা তৈরি করা যেত। তিনি আরো বলেন, এখান থেকে এমন কিছু সরঞ্জাম পেয়েছি যা দিয়ে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন ভূমি মাইন ও এন্টি পার্সোনাল মাইন তৈরি করা সম্ভব। এর আগে জঙ্গিদের কাছ থেকে মাইন তৈরির কোন সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি।শামসুদ্দিন বলেন, এ ফ্ল্যাটে মিজানের এক সহকারী থাকত। মিজান মাঝে মাঝে এসে বোমা বানাত। এই সহকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুর রহমানের সময় থেকেই মিজান বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মিজানকে গ্রেফতারের জন্য র্যা ব অনেক দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিল। তার ধারণা, নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যে হামলা চালানোর জন্য বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। র্যা বের মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, জেএমবি এখানে একটি শক্তিশালী ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছিল। মিজান অন্য বাড়িতে থাকলেও এখানে এসে বোমা তৈরি করত। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমরা ভেবে দেখছি। বাড়ি ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধও জানান তিনি।র্যা ব সদস্যরা জানায়, মিজানের বাড়ি জামালপুরের চরসী খলিফা এলাকায়। শায়খ আব্দুর রহমানের গ্রামের বাড়িও সেখানে। মিজান তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেছে। তিন কক্ষের এই বাড়িতে অপর একটি কক্ষ থেকে রসায়নের বেশ কিছু বই এবং দুটি বিদেশী পিস্তল (নাইন এমএম ও সেভেন পয়েন্ট ৬৫) উদ্ধার করা হয়েছে।ভবনের তত্ত্বাবধায়ক এমদাদ সাংবাদিকদের জানান, ডিসেম্বর মাসে মিজান তার স্ত্রী, ভাই ও বাচ্চাদের নিয়ে থাকবে জানিয়ে পাঁচ হাজার টাকায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়। কিছু দিন পর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা বলে সন্তানসহ তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে এমদাদকে জানানো হয়। এরপর থেকে মিজানের ভাই পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফ্ল্যাটটিতে থাকত। আর মাঝে মাঝে মিজান এসে এখানে থাকত। তবে বেশিরভাগ সময়ই ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ থাকত। পূর্ব মনিপুরের বেশ ভেতরের দিকে এ বাড়িটি অবস্থিত। বাড়ির মালিক কুয়েত প্রবাসী জনৈক চান মিয়া। চারতলার উত্তর দিকের এ ফ্ল্যাটটিতে ৩টি কক্ষ রয়েছে। এর একটি কক্ষ বোমা তৈরির সরঞ্জাম দিয়ে সম্পূর্ণ ভর্তি ছিল। সেখানে বিস্ফোরক রাখার একটি কাবার্ড ও একটি ডিপ ফ্রিজ রয়েছে। অপর একটি কক্ষে রসায়ন ও বোমা তৈরির কয়েকটি বই পাওয়া যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম শহীদুল হক, র্যা বের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল রেজা নুর রহমান খানসহ পুলিশ ও র্যা বের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।শেওড়াপাড়ার উত্তরে পীরেরবাগে জেএমবির আস্তানায় পৌনে চার ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ২টার দিকে জেএমবি সদস্য জাহেদুর রহমান ওরফে বোমা মিজানের স্ত্রী শারমীন হক লতাকে আটক করেছে র্যা ব। অভিযানের সময় লতার ঘটানো বোমার বিস্ফোরণে তার ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। রক্তমাখা অবস্থায় তার ২ শিশু সন্তানকেও উদ্ধার করা হয়। এদের একজনের বয়স ২ মাস। অন্যটির বয়স ২ বছর।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত মিজানকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার পীরেরবাগের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যা ব। এ সময় বাসার ভেতর থেকে মিজানের স্ত্রী একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং প্রায় পৌনে ৪ ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে রাখে। পরে র্যা ব সদস্যরা তাকে বুঝিয়ে বাসার বাইরে বের করে আনতে সক্ষম হন।অভিযান শেষে মিজানের বাসা থেকে দুটি গ্রেনেড, একটি অবিস্ফোরিত বোমা ও ২টি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।র্যা ব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার একটি দল সন্ধ্যায় জেএমবি সদস্য মিজানকে আটকের পর তাকে নিয়ে ৬১/৩ উত্তর পীরের বাগের ঐ বাড়িতে অভিযান শুরু করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে র্যা ব সদস্যরা বাড়িটির তিন তলায় মিজানের ফ্ল্যাটে যায়। এ সময় দরজায় টোকা দিয়ে মিজান তার স্ত্রীকে বলে, তুমি কেমন আছো, আমি অসুস্থ। পরক্ষণেই ফ্ল্যাটের ভেতরে দরজার সামনে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।বিস্ফোরণের পরপর র্যা ব সদস্যরা মিজানকে নিয়ে নীচতলায় নেমে আসে। তারা মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। মিজান র্যা বকে জানান, বাসায় তার স্ত্রী শারমিন হক লতা ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রীরও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রশিক্ষণ রয়েছে। তার বাসায় একাধিক বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে সে জানায়।র্যা ব কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, মিজান যখন দরজায় টোকা দিয়ে কথা বলছিল তখন সে তার স্ত্রীকে কোনও সংকেত দেয়, যা পূর্ব পরিকল্পিত। আর সংকেত পেয়েই তার স্ত্রী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর তারা আরও বিস্ফোরণের আশঙ্কায় সতর্কতার সঙ্গে অভিযান চালানো হয়। র্যা ব সদস্যরা ঐ ফ্ল্যাটের দরজার সামনে বালু ও খোয়ার বস্তা দিয়ে প্রতিরক্ষা বূহ্য গড়ে তোলে। ঐ সময় র্যা ব ও পুলিশ পুরো বাড়িটি ঘিরে রাখে।পরে পাশের একটি ভবনের তিনতলা থেকে র্যা ব সদস্যরা হ্যান্ডমাইকে মিজানের স্ত্রী লতার সঙ্গে কথোপকথন শুরু করেন। তারা লতাকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানান। কিন্তু ভেতর থেকে সে চিৎকার ও কান্নাকাটি করে বলে, বোমাটি তার হতেই বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে হাত ও পাসহ তার দেহের বিভিন্নস্থানে জখম হয়েছে। তাই সে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে পারছে না। তার ছোট দুই শিশুপুত্রও আহত হয়েছে বলে লতা জানায়।র্যা ব সদস্যরা তখন লতাকে বলে �আপনি বেরিয়ে আসুন,বাইরে এ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকরা অপেক্ষা করছেন।��বোরকা পরিহিতা লতার পোশাকে আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে সন্দেহে র্যা ব সদস্যরা তাকে বোরকা খুলে আসতে বলে। সে রাজি হয় না। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় বোঝানোর পর সে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে রাজি হয়।এরই মধ্যে জানালা দিয়ে দেখা যায় তার রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হাত ও শরীর। র্যা ব সদস্যরা এতে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।এরই মধ্যে কেটে যায় শ্বাসরুদ্ধকর পৌনে চার ঘণ্টা। রাত সোয়া ২টার দিকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে লতা। তার ডান হাতের কব্জি ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। পুরো শরীর ছিল রক্তাক্ত। তার দুই শিশুপুত্রও ছিল রক্তমাখা। র্যা ব সদস্যরা লতাকে প্রথমে স্থানীয় গ্যালাক্সি হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।অভিযান শেষে মিজানের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা যায় পুরো ঘরময় ছোপ ছোপ রক্ত। রক্তের দাগ লেগে রয়েছে দেয়ালেও।র্যা বের অতিরিক্ত মহাপরিচারক কর্নেল রেজানুর রহমান খান রাত পৌনে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, আটক ব্যক্তির নাম জাহেদুর রহমান ওরফে বোমা মিজান। তাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগারগাঁও তালতলা থেকে গ্রেফতার করে র্যা ব গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানায়, তার বাড়িতে বোমা রয়েছে। এরপর বোমা উদ্ধারের জন্য তার বাড়িতে এলে এ ঘটনা ঘটে।রেজানুর রহমান জানান, মিজানের স্ত্রী বেরিয়ে আসার পর তার বাসা থেকে দুটি গ্রেনেড, একটি অবিস্ফোরিত বোমা ও ২টি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে । এছাড়া কিছু বই-পুস্তকও পাওয়া যায় সেখানে। তিনি বলেন, মিজানের দুই শিশু সন্তানই অক্ষত রয়েছে। উদ্ধারের সময় তাদের গায়ে যে রক্ত দেখা যায় তা তাদের মায়ের। র্যা ব কর্মকর্তা আরো জানান, মিজান জেএমবির একজন শীর্ষ পর্যায়ের বোমা বিশেষজ্ঞ। সে জেএমবির তাত্ত্বিক নেতা শায়খ আব্দুর রহমানের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলো এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ২০০৩ সালে যশোরের ঝিকরগাছা সীমান্তে মোটর সাইকেলে করে বিস্ফোরক বহনের সময় সে একবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। পরে ছাড়া পেয়েই আত্মগোপন করে মিজান।র্যা পিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৪ সূত্র জানায়, বোমা গবেষণাগার এবং বোমা তৈরির কারখানা হতে ১টি পিস্তল, ১১টি তৈরি বোমা, প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, আনুমানিক ৫০০ হতে ৬০০ ডেটোনেটরসহ মাইন তৈরির সরঞ্জামাদি, বোমা তৈরি সংক্রান্ত পুস্তিকা উদ্ধার করা হয় এ বিষয়ে মিরপুর থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাহিদ হোসেন সুমন ২০০০ সালে জেএমবিতে যোগদান করেন। তিনি জেএমবির প্রথম সারির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অন্যতম সামরিক কমান্ডার। সে জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে বোমারু মিজান নামে পরিচিত। তার নামে ১৭ আগস্টের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাসহ একাধিক বোমা বিস্ফোরণ সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। সে জেএমবির প্রধান বোমা প্রস্তুতকারক হিসেবে নিয়েজিত ছিল।পীরের বাগের ঐ বাড়িটির মালিক ব্যবসায়ী নিশাত মোহাম্মদ জানান, গত ১ এপ্রিল মিজান নিজেকে ইমরুল কায়েস ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি পরিচয় দিয়ে মাসিক সাড়ে তিন হাজার টাকায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়। জেএমবি'র বোমা বিশেষজ্ঞ ৭ দিনের রিমান্ডে
ঢাকা, মে ১৬ - জামা'আতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর বোমা বিশেষজ্ঞ মিজানকে ৭ দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। প্রসিকিউশন পুলিশের সহকারী কমিশনার আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মিরপুর থানার উপ পরিদর্শক এজাজুল ইনসলাম মিজানকে শনিবার মুখ্য মহানগর হাকিম সৈয়দা মিনহাজুম মুনিরার এজলাসে হাজির করে ১০ দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চায়। আদালত সাত দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেএমবি-এর বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত মিজানকে শেওড়াপাড়ার পীরেরবাগের একটি বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। মিজানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার বাসায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এসময় মিজানের স্ত্রী লতা একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং প্রায় পৌনে ৪ ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে রাখে। পরে র‌্যাব সদস্যরা তাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাসার বাইরে বের করে আনতে সক্ষম হয়। বাসা থেকে দু'টি গ্রেনেড, একটি অবিস্ফোরিত বোমা ও ২টি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। লতার ঘটানো বোমা বিস্ফোরণে তার ডান হাতের কব্জি উড়ে যায়। রক্তমাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার ২ শিশু সন্তানকেও। তাদের একজনের বয়স ২ মাস। অন্যটির ২ বছর।

সংসদের কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : স্পিকার
ঢাকা, বাংলাদেশ, ১৬ মে : স্পিকার আবদুল হামিদ এডভোকেট বলেছেন, সংসদের কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সংসদ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।আজ ‘টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারম এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার একথা বলেন।এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, চ্যানেল আই’র ব্যবস'াপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, আরটিভি’র প্রধান নির্বাহী ম. হামিদ, এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তারিক আনাম খান ও সম্মেলন প্রস'তি কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ হোসেন সাবের।স্পিকার বলেন, নাটকসহ টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে এবং মানুষের চরিত্র পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের নাটকসহ অনেক অনুষ্ঠানই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় উন্নতমানের বলে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং অনুষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির চেয়ে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিতে হবে।স্পিকার বলেন, দেশের স্বার্থে সরকারি এবং বিরোধী দলসহ সকলের লক্ষ্যই এক ও অভিন্ন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী, নাট্যকার ও সংস্কৃতিকর্মীসহ সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা