হয়রানি বন্ধে বিমান বন্দরে প্রবাসীদের পৃথক জোন
হয়রানি বন্ধে বিমান বন্দরে প্রবাসীদের পৃথক জোন
ভিওবিডি, নিউইয়র্ক থেকে জিয়া আনতর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের হয়রানি বন্ধ হচ্ছে।এখন থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ছাড়া বিদেশ ফেরত বাংলাদেশী শ্রমিক ও তাদের মালামাল বিমান বন্দরে তল্লাসি করা হবে না। বিদেশে আসা-যাওয়াকারী বাংলাদেশী কর্মজীবীদের জন্য বিমান বন্দরে কূটনৈতিক জোনের মত পৃথক ‘প্রবাসী জোন’ করা হবে। এই জোন দিয়ে প্রবাসীরা আসা-যাওয়া করবেন। সেখানে তাদের জন্য পৃথক কাউন্টার স্থাপন করা হবে। তারা এই কাউন্টার হয়ে এক লাইনে বিমান বন্দরে ঢুকবেন ও বেরুবেন। বিমান বন্দরে কর্মরত সব সংস্থা যাত্রীদের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা এই লাইনেই সম্পন্ন করবে। গতকাল বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আনতঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধানত হয়েছে বলে বৈঠকসূত্র জানিয়েছে। এছাড়া বিদেশযাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিমান বন্দর থেকে বিমান বন্দর রেল স্টেশন পর্যনত ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ হবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীরা ঘন্টার পর ঘন্টা ইমিগ্রেশনে দাঁড়িয়ে থাকা, মালামাল তল্লাসির নামে হয়রানি, ব্যাগ ও লাগেজ খুলে মালামাল এলোমেলো করে ফেলা ও টাকা আদায়, কাজগপত্র পূরণ করে দেয়ার নামে দালালদের টানা-হেঁচড়া, ট্যাক্সি ড্রাইভারদের টানাটানিসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। বিশেষ করে মধ্য-প্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা দরিদ্র শ্রমিকরা বেশি হয়রানি হন। গতকালের বৈঠকে বিমান বন্দরের অভ্যনতর থেকে বিমান বন্দর রেল স্টেশন পর্যনত সংযোগের জন্য ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। এ সংক্রানত প্রসতাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। দালাল ও ট্যাক্সি ড্রাইভারদের হাত থেকে যাত্রীদের রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে রেল ব্যবহার করে দেশের দূর-দূরানেত যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য স্টেশনটিকে আধুনিক ও বড় করা হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্টেশনকে আধুনিক করার ঘোষণাও দিয়েছেন।সূত্র জানায়, বৈঠকে ইমিগ্রেশনের সময় যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে ব্যাগেজ রুলস শিথিল করার সিদ্ধানত নেয়া হয়। যাত্রীদের ছোটখাটো ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, প্রসাধনী সামগ্রীসহ অন্যান্য ছোটখাটো মালামাল যাতে বিনা শুল্কে ছেড়ে দেয়া হয় বাজেটে সে সংক্রানত প্রসতাব অনতর্ভুক্ত করার প্রসতাব দেয়া হবে। তবে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈঠকে জানায়, এসব বিষয়ে এখনই শিথিলতা দেখানো হ্চ্েছ। সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রথমে প্রসতাব করা হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা কোন যাত্রী ও তার মালামাল তল্লাসি করা হবে না। যুক্তি হিসাবে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে সাধারণত চোরাচালান হয় না। তারপরেও সাবধানতা অবলম্বনের জন্য সন্দেহভাজন দেখে পাঁচ থেকে ১০ ভাগ যাত্রীকে তল্লাসি করা হবে। প্রবাসীরা যাতায়াত করেন এমন ফ্লাইট চিহ্নিত করে সেগুলোর যাত্রীদের তল্লাসিও শিথিল রাখা হবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।যাত্রীরা যাতে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সংক্রানত ছাড়পত্র খুব সহজে পান সে জন্য নীতিমালাও সহজ করা হবে। জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো যাত্রীদের যাবতীয় কাগজপত্র পূরণ করে তা অনলাইনে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তা দেখে তাৎক্ষণিক যাত্রীকে ছাড়পত্র দিয়ে দিবে বলে সভায় সিদ্ধানত হয়। প্রবাসীরা যাতে কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে সে নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠকে বলা হয়, মালামাল স্ক্যান করার জন্য যদি আরো স্ক্যানার সংগ্রহ করা যায় তবে যাত্রীদের হয়রানি কমবে ও সময় বাঁচবে। বর্তমানে বিমানবন্দরে মাত্র দুইটি স্ক্যানার রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, প্রবাসী কল্যাণ সচিব ইলিয়াস আহমেদ, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান সাকেব ইকবাল, বায়রার সভাপতি গোলাম মোসতফা, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিওবিডি, নিউইয়র্ক থেকে জিয়া আনতর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের হয়রানি বন্ধ হচ্ছে।এখন থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ছাড়া বিদেশ ফেরত বাংলাদেশী শ্রমিক ও তাদের মালামাল বিমান বন্দরে তল্লাসি করা হবে না। বিদেশে আসা-যাওয়াকারী বাংলাদেশী কর্মজীবীদের জন্য বিমান বন্দরে কূটনৈতিক জোনের মত পৃথক ‘প্রবাসী জোন’ করা হবে। এই জোন দিয়ে প্রবাসীরা আসা-যাওয়া করবেন। সেখানে তাদের জন্য পৃথক কাউন্টার স্থাপন করা হবে। তারা এই কাউন্টার হয়ে এক লাইনে বিমান বন্দরে ঢুকবেন ও বেরুবেন। বিমান বন্দরে কর্মরত সব সংস্থা যাত্রীদের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা এই লাইনেই সম্পন্ন করবে। গতকাল বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আনতঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধানত হয়েছে বলে বৈঠকসূত্র জানিয়েছে। এছাড়া বিদেশযাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিমান বন্দর থেকে বিমান বন্দর রেল স্টেশন পর্যনত ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ হবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীরা ঘন্টার পর ঘন্টা ইমিগ্রেশনে দাঁড়িয়ে থাকা, মালামাল তল্লাসির নামে হয়রানি, ব্যাগ ও লাগেজ খুলে মালামাল এলোমেলো করে ফেলা ও টাকা আদায়, কাজগপত্র পূরণ করে দেয়ার নামে দালালদের টানা-হেঁচড়া, ট্যাক্সি ড্রাইভারদের টানাটানিসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। বিশেষ করে মধ্য-প্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা দরিদ্র শ্রমিকরা বেশি হয়রানি হন। গতকালের বৈঠকে বিমান বন্দরের অভ্যনতর থেকে বিমান বন্দর রেল স্টেশন পর্যনত সংযোগের জন্য ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। এ সংক্রানত প্রসতাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। দালাল ও ট্যাক্সি ড্রাইভারদের হাত থেকে যাত্রীদের রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে রেল ব্যবহার করে দেশের দূর-দূরানেত যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য স্টেশনটিকে আধুনিক ও বড় করা হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্টেশনকে আধুনিক করার ঘোষণাও দিয়েছেন।সূত্র জানায়, বৈঠকে ইমিগ্রেশনের সময় যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে ব্যাগেজ রুলস শিথিল করার সিদ্ধানত নেয়া হয়। যাত্রীদের ছোটখাটো ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, প্রসাধনী সামগ্রীসহ অন্যান্য ছোটখাটো মালামাল যাতে বিনা শুল্কে ছেড়ে দেয়া হয় বাজেটে সে সংক্রানত প্রসতাব অনতর্ভুক্ত করার প্রসতাব দেয়া হবে। তবে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈঠকে জানায়, এসব বিষয়ে এখনই শিথিলতা দেখানো হ্চ্েছ। সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রথমে প্রসতাব করা হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা কোন যাত্রী ও তার মালামাল তল্লাসি করা হবে না। যুক্তি হিসাবে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে সাধারণত চোরাচালান হয় না। তারপরেও সাবধানতা অবলম্বনের জন্য সন্দেহভাজন দেখে পাঁচ থেকে ১০ ভাগ যাত্রীকে তল্লাসি করা হবে। প্রবাসীরা যাতায়াত করেন এমন ফ্লাইট চিহ্নিত করে সেগুলোর যাত্রীদের তল্লাসিও শিথিল রাখা হবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।যাত্রীরা যাতে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সংক্রানত ছাড়পত্র খুব সহজে পান সে জন্য নীতিমালাও সহজ করা হবে। জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো যাত্রীদের যাবতীয় কাগজপত্র পূরণ করে তা অনলাইনে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তা দেখে তাৎক্ষণিক যাত্রীকে ছাড়পত্র দিয়ে দিবে বলে সভায় সিদ্ধানত হয়। প্রবাসীরা যাতে কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে সে নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠকে বলা হয়, মালামাল স্ক্যান করার জন্য যদি আরো স্ক্যানার সংগ্রহ করা যায় তবে যাত্রীদের হয়রানি কমবে ও সময় বাঁচবে। বর্তমানে বিমানবন্দরে মাত্র দুইটি স্ক্যানার রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, প্রবাসী কল্যাণ সচিব ইলিয়াস আহমেদ, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান সাকেব ইকবাল, বায়রার সভাপতি গোলাম মোসতফা, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।