ঘূর্ণিঝড় 'আয়লা' উপকূল অতিক্রম করছে
ঘূর্ণিঝড় 'আয়লা' উপকূল অতিক্রম করছে
ঢাকা, মে ২৫ (বিডিনিউজ ডটকম)-- ঘূর্ণিঝড় 'আয়লা' উত্তর দিকে সরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা শাহ আলম সোমবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুর ২টার পর ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই উপকূলে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। সকাল থেকে মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। আয়লার প্রভাবে উপকূলসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে রোববার মধ্যরাত থেকেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোলায় ঝড়ে ট্রলার ডুবে ২০ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাতক্ষীরায় বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নোয়াখালীর প্রত্যন্ত নিঝুম দ্বীপের নিচু অংশ প্লাবিত হয়ে একজন ভেসে গেছে বলে জানা গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এছাড়া কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। বুলেটিনে বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, লক্ষ্মীপুর,নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও এসব জেলার নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড় অতিক্রমের সময় ভারি বা অতিভারি বর্ষণসহ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬-৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সৃষ্ট লঘুচাপটি শনিবার দুপুরে নিম্নচাপ এবং রোববার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
ঢাকা, মে ২৫ (বিডিনিউজ ডটকম)-- ঘূর্ণিঝড় 'আয়লা' উত্তর দিকে সরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা শাহ আলম সোমবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুর ২টার পর ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই উপকূলে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। সকাল থেকে মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। আয়লার প্রভাবে উপকূলসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে রোববার মধ্যরাত থেকেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোলায় ঝড়ে ট্রলার ডুবে ২০ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাতক্ষীরায় বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নোয়াখালীর প্রত্যন্ত নিঝুম দ্বীপের নিচু অংশ প্লাবিত হয়ে একজন ভেসে গেছে বলে জানা গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এছাড়া কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। বুলেটিনে বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, লক্ষ্মীপুর,নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও এসব জেলার নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড় অতিক্রমের সময় ভারি বা অতিভারি বর্ষণসহ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬-৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সৃষ্ট লঘুচাপটি শনিবার দুপুরে নিম্নচাপ এবং রোববার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।