রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কূটনীতিকদের না যাওয়ার নির্দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর


রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কূটনীতিকদের না যাওয়ার নির্দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ঢাকা, মে ২২ (টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে নিয়োজিত কূটনীতিকদের কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তা ক্ষমতাসীন বা বিরোধী যে দলেরই হোক না কেন। সপ্রতি মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ নির্দেশ দেন। ইউরোপের একটি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সেখানকার আওয়ামী লীগ শাখা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন কিনা-এই মর্মে স�প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দীপু মনি।
তিনি বিদেশে বাংলাদেশের ৪৬টি মিশন ও কনস্যুলেট অফিসে কর্মরত সব কর্মকর্তার প্রতি এ নির্দেশ জারি করতে পররাষ্ট্র সচিবকেও নির্দেশ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই নির্দেশ বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে। কর্মকর্তারা কেন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যাবেন? অবশ্যই তারা যেতে পারেন না। তবে তারা বাংলাদেশী কমিউনিটি আয়োজিত সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে পারেন।" তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কর্মরত রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিকরা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য সচারচর চাপের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। বিএনপি বা আওয়ামী লীগ যে দলই ক্ষমতায় থাক না কেন, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য তারা অনবরত চাপের মুখে থাকেন।
ইউরোপীয় একটি দেশে নিয়োজিত ওই রাষ্ট্রদূত প্রথমে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এরপরও তাকে চাপ দিতে থাকলে তিনি দীপু মনির অনুমতি প্রার্থনা করে ওই চিঠি পাঠান। এমনকি অনেক সময় অনুষ্ঠান আয়োজন এবং রাষ্ট্রদূতের অংশ নেওয়া নিয়ে স্থানীয় নেতারা হাতাহাতিতে পর্যন্ত লিপ্ত হন। কর্মকর্তারা বলেন, কোন রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানালে আয়োজকরা সরাসরি মন্ত্রী অথবা ক্ষমতাসীন দলের কাউকে ফোন করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এমনকি অনেক সময় তারা মন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মোবাইল ফোনে সংযুক্ত রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানাতে আসে।
"যদি আমরা না বলি সেটা মন্ত্রী নিজে শোনেন এবং পরে আমাদেরকে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।"
অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, "যখন বিএনপি ক্ষমতায়, তখন ওই দলের বিদেশী শাখা আয়োজিত জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করবেন এমন সাহস কজন কর্মকর্তার আছে?।"

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা