যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সমর্থন ঘোষণা করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সমর্থন ঘোষণা করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন

দীনেশ দাস: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে। গতকাল ইইউ রাষ্ট্রদূত ও প্রধান কূটনীতিকদের সঙ্গে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম নেতাদের মতবিনিময়কালে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি এই সমর্থন ঘোষণা করে।
সভায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিশেষ করে ১৯৭৩ সালে প্রণীত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনালস) অ্যাক্ট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। ইইউর স্থানীয় প্রধান সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ব্রিট এফ হগসট্রম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং এর অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি ইইউ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে তারা কোন প্রক্রিয়ায় এই বচিার কাজটি সম্পন্ন করতে চায়। তবে তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হলেই সবচে ভাল হয়।
এর আগে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের কার্যক্রম ও দীর্ধ চার দশক তাদের বিচার না হওয়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে ইইউ সদস্যদের অভিহিত করেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ব্রিট এফ হগসট্রম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত আর্তুরো পেরেজ, জার্মানির রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক মাইক, ইতালির রাষ্ট্রদূত ড. ইতালিয়া মারিয়া মার্তা ওচ্চি, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ফিনার হেবোগার্ড জেনসেন, ইইউ কমিশনের রাষ্ট্রদূত ড. স্টেফান ফ্রোয়িন, নেদারল্যান্ডের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফ্রিটজ্‌ মেইজনডার্ট, ব্রিটিশ হাই কমিশনের কাউন্সিলর জন রায়ান এবং ফ্রান্সের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স প্যাট্রিক ব্র্যানকো।


৩০ মে ’ঘৃণা দিবস’ কিংবা’রাজাকার দিবস’ করা হোক
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন রাজাকার পুর্নবাসনের একমাত্র নায়ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর জাতির জনক বঙ্গবঙ্গু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর তিনিই রাজাকারদের বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে এবং রাজনীতিতে পুর্নবহাল করেছেন। এমন কি বর্তমানেও তার দল রাজাকারদের লেজুড়বৃত্তিসহ নানা অপকর্ম, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা যা ১৯৭১ সালেও তারা করেছিল, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠন যা পশ্চিম পাকিস্তানীরাও করেছিল। এমন হাজার হাজার কর্মকান্ড রয়েছে যা সবারই ঘৃণা করা উচিত। তাই বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন ৩০ মে ঘৃণা দিবস হিসেবে পালন করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হোক।
nybangla may 27 - 09

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা