ওয়াজেদ মিয়ার অবস্থার অবনতি
ওয়াজেদ মিয়া শঙ্কামুক্ত নন
ঢাকা, মে ০৬ - স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক ( মেডিক্যাল সার্ভিসেস এন্ড কনসালটেন্ট সার্জারী) অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, " তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তবে এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নন।" তিনি জানান, ওয়াজেদ মিয়া বেশ কয়েক বছর যাবৎ অনেকগুলো জটিল রোগে ভুগছেন। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে রক্তচাপ,ডায়াবেটিস, ইস্কিমিক হার্ট ডিজিস, অকেজো কিডনী ও শ্বাসকষ্ট। এজন্য তার সার্বক্ষণিক চিকিৎসা চলছে। পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া গত এক বছর ধরে স্কয়ারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে দিল্লী ও সিঙ্গাপুরেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডা.সানোয়ার জানান, সর্বশেষ দফায় গত ৭ এপ্রিল থেকে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে রয়েছেন। তিনি বলেন, "বুধবার সকালে তার এরিদমিয়া (হৃদযন্ত্রের এক ধরণের সমস্যা) ডেভেলপ করে। এতে কোন ওষুধ রেসপনস করছিল না। তাৎক্ষণিক উনাকে টেমপরারী পেসমেকিং করা হয়। তারপর থেকে ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে।" সানোয়ার বলেন," সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে (সন্ধ্যায় সোয়া ছয়টায়) দেখা যায় তার অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নন।" " এ জাতীয় জটিল রোগের ঝুঁকিতো থাকেই-" মন্তব্য করেন তিনি। পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াজেদ মিয়াকে এখন কার্ডিওলজি সার্জিক্যাল আইসিইউতে রাখা হয়েছে। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. আবুল হাসান মুহাম্মদ বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরিদমিয়া হলে হৃদযন্ত্রের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। অনেক কারণে এটি হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইস্কিমিক হার্ট ডিজিস। হৃদযন্ত্রের পেশীতে অপ্রতুল রক্ত সরবরাহের কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকে। কিছু দিন আগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওয়াজেদ মিয়ার এনজিওপ্লাস্টি হয়। বুধবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অসুস্থ স্বামীকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দুপুর তিনটার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে যান। কিছুক্ষণ স্বামীর পাশে কাটিয়ে তিনি নিচে নেমে আসেন এবং লিফটের পাশের একটি কক্ষে প্রায় আধঘন্টা চিকিৎসকসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বিকেল পৌনে চারটায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা। হাসপাতাল ত্যাগের সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। ডা. সানোয়ার এর আগে দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল।"
ঢাকা, মে ০৬ - স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক ( মেডিক্যাল সার্ভিসেস এন্ড কনসালটেন্ট সার্জারী) অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, " তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তবে এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নন।" তিনি জানান, ওয়াজেদ মিয়া বেশ কয়েক বছর যাবৎ অনেকগুলো জটিল রোগে ভুগছেন। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে রক্তচাপ,ডায়াবেটিস, ইস্কিমিক হার্ট ডিজিস, অকেজো কিডনী ও শ্বাসকষ্ট। এজন্য তার সার্বক্ষণিক চিকিৎসা চলছে। পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া গত এক বছর ধরে স্কয়ারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে দিল্লী ও সিঙ্গাপুরেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডা.সানোয়ার জানান, সর্বশেষ দফায় গত ৭ এপ্রিল থেকে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে রয়েছেন। তিনি বলেন, "বুধবার সকালে তার এরিদমিয়া (হৃদযন্ত্রের এক ধরণের সমস্যা) ডেভেলপ করে। এতে কোন ওষুধ রেসপনস করছিল না। তাৎক্ষণিক উনাকে টেমপরারী পেসমেকিং করা হয়। তারপর থেকে ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে।" সানোয়ার বলেন," সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে (সন্ধ্যায় সোয়া ছয়টায়) দেখা যায় তার অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নন।" " এ জাতীয় জটিল রোগের ঝুঁকিতো থাকেই-" মন্তব্য করেন তিনি। পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াজেদ মিয়াকে এখন কার্ডিওলজি সার্জিক্যাল আইসিইউতে রাখা হয়েছে। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. আবুল হাসান মুহাম্মদ বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরিদমিয়া হলে হৃদযন্ত্রের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। অনেক কারণে এটি হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইস্কিমিক হার্ট ডিজিস। হৃদযন্ত্রের পেশীতে অপ্রতুল রক্ত সরবরাহের কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকে। কিছু দিন আগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওয়াজেদ মিয়ার এনজিওপ্লাস্টি হয়। বুধবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অসুস্থ স্বামীকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দুপুর তিনটার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে যান। কিছুক্ষণ স্বামীর পাশে কাটিয়ে তিনি নিচে নেমে আসেন এবং লিফটের পাশের একটি কক্ষে প্রায় আধঘন্টা চিকিৎসকসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বিকেল পৌনে চারটায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা। হাসপাতাল ত্যাগের সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। ডা. সানোয়ার এর আগে দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল।"