উপজেলা চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব ও কর্মপ্রক্রিয়া বিষয়ে নীতিমালা জারী

উপজেলা চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব ও কর্মপ্রক্রিয়া বিষয়ে নীতিমালা জারী
ঢাকা, মে ০৫ - নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও কর্মপ্রক্রিয়া নির্ধারণ করে একটি সংক্ষিপ্ত নীতিমালা জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার এক পরিপত্রের মাধ্যমে এ নীতিমালা জারি করা হয়। বিধিমালা জারিতে বিলম্ব হওয়ায় সংক্ষিপ্ত এ নীতিমালা জারি করা হলো বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের যাবতীয় কাজ সাধারণ অথবা বিশেষ সভার মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে হবে। এতে প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার উপজেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরিষদের সভার বিষয় স্থানীয় সাংসদকেও জানাতে হবে। উপজেলা পরিষদে সাংসদদের ভূমিকা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সংসদে পাস হওয়া স্থানীয় সরকার আইনে উপজেলার বিষয়ে সাংসদের পরামর্শ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যা নিয়ে চেয়ারম্যানদের তীব্র আপত্তি আছে। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রথম সভা আহ্বান করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে চেয়ারম্যান অথবা তার বিকল্প ব্যক্তিরও অনুপস্থিতিতে সভা আহ্বান করবেন ইউএনও। উপজেলার কোন কাজ দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজনে চেয়ারম্যান নিজে অথবা এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের তলবী নোটিশের মাধ্যমে সভা আহ্বান করতে পারবেন। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ইউএনও নিজেও একই পদ্ধতিতে সভা আহ্বান করতে পারবেন। প্রতিটি সভার কার্যবিবরণী স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে হবে। উপজেলা পরিষদের সভায় নিস্পত্তিযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে আর্থিক, উন্নয়নমূলক, অপারেশনাল, সমন্বয় ও বিবিধ। বিবিধের অন্তর্ভূক্ত হলো: পরিষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়। নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রয়োজনে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য ইউএনওকে দিতে পারবেন। চেয়ারম্যানের অনুমোদন প্রয়োজন এমন বিষয়গুলো ইউএনও এর মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। ইউএনও আবার চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপনের আগে তার মন্তব্য বা মতামত নথিতে উল্লেখ করবেন। চেয়ারম্যানের সাময়িক অনুপস্থিতি বা ওই পদে সাময়িক শুন্যতা দেখা দিলে ভাইস-চেয়ারম্যান অথবা প্যানেল চেয়ারম্যানরা সে দায়িত্ব পালন করবেন। এজন্য চেয়ারম্যানকে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রয়োজন হবে না। তিনি শুধুমাত্র লিখিতভাবে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে জানাবেন এবং জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে তার অনুলিপি পাঠাবেন। পরিষদের তহবিল চেয়ারম্যান ও ইউএনও এর যৌথ স্বাক্ষরে যৌথভাবে পরিচালিত হবে। তবে চেয়ারম্যান পরিষদের সকল নথি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা