বগুড়ার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এ কে মুজিবুর রহমানের ইন্তেকাল
বগুড়ার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এ কে মুজিবুর রহমানের ইন্তেকাল
বগুড়া, ২২ মে (বাসস) : বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আওয়ামী লীগ নেতা এ কে মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় বগুড়া শহরের সূত্রাপুরস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নাল্লিল্লাহে... রাজেউন)।তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। এ কে মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ৬০ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। স্বাধীনতার আগে তিনি আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ’৭৩ সালে বগুড়া সদর আসনের এমপি নির্বাচিত হন। ’৫২ ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ যুক্তফ্রন্ট আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে স্বক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।তাঁর মৃত্যর সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ তাঁর বাসায় ভীড় জমায়। আজ বাদ জুম্মা বগুড়া আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী বগুড়ার শহরের কাছে ‘ভাই পাগলা মাজার কবরস্থানে’ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।জানাজা ও দাফনের সময় প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া, ২২ মে (বাসস) : বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আওয়ামী লীগ নেতা এ কে মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় বগুড়া শহরের সূত্রাপুরস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নাল্লিল্লাহে... রাজেউন)।তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। এ কে মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ৬০ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। স্বাধীনতার আগে তিনি আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ’৭৩ সালে বগুড়া সদর আসনের এমপি নির্বাচিত হন। ’৫২ ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ যুক্তফ্রন্ট আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে স্বক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।তাঁর মৃত্যর সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ তাঁর বাসায় ভীড় জমায়। আজ বাদ জুম্মা বগুড়া আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী বগুড়ার শহরের কাছে ‘ভাই পাগলা মাজার কবরস্থানে’ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।জানাজা ও দাফনের সময় প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে না পারা আওয়ামী সরকারের ব্যর্থতা - লন্ডনে সুলতান মনসুর
বৃহস্পতিবার, 21 মে 2009
বৃহস্পতিবার, 21 মে 2009
লন্ডন ডেস্ক :আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোঃ মনসুর বলেছেন, বর্তমান সরকার সফলতার সাথে দেশে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দেশকে একটি অনিবার্য যুদ্ধাবস্থা থেকে রক্ষা করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে লন্ডনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মিই সংস্কারের পক্ষ্যে, যেটি হওয়া উচিত সম্পুন্ন সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে। তাই দল সংস্কারপন্থি ও সংস্কারবিরোধী শিবিরে বিভক্ত নয়।
সুলতান মোঃ মনসুর নিজেকে দলের প্রতি আনুগত্যশীল উল্ল্যেখ করে বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ায় কোন প্রকার ক্ষোভ নেই তার মনে। তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী রাজনীতি একটি আদর্শের রাজনীতি। তাই নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও আওয়ামী লীগে কোন প্রকার কোন্দলের স্থান নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর না করতে পারা সরকারের এই চার মাসের প্রধান ব্যর্থতা। তিনি আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সুসম্পন্ন হবে। সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সুলতান মনসুর বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আওয়ামী সরকারের আমলেই সম্পন্ন হবে। তিনি জানান, আজম জে চৌধুরীর সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে এবং একারনে দলের মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছেন - এধরনের প্রচারনা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়।
উল্লেখ্য, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোঃ মনসুর আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ৯১ সাল থেকে পর পর নির্বাচন করে আসলেও বিগত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে মৌলবীবাজার-২ থেকে দলের টিকেটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে লন্ডনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মিই সংস্কারের পক্ষ্যে, যেটি হওয়া উচিত সম্পুন্ন সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে। তাই দল সংস্কারপন্থি ও সংস্কারবিরোধী শিবিরে বিভক্ত নয়।
সুলতান মোঃ মনসুর নিজেকে দলের প্রতি আনুগত্যশীল উল্ল্যেখ করে বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ায় কোন প্রকার ক্ষোভ নেই তার মনে। তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী রাজনীতি একটি আদর্শের রাজনীতি। তাই নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও আওয়ামী লীগে কোন প্রকার কোন্দলের স্থান নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর না করতে পারা সরকারের এই চার মাসের প্রধান ব্যর্থতা। তিনি আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সুসম্পন্ন হবে। সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সুলতান মনসুর বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আওয়ামী সরকারের আমলেই সম্পন্ন হবে। তিনি জানান, আজম জে চৌধুরীর সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে এবং একারনে দলের মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছেন - এধরনের প্রচারনা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়।
উল্লেখ্য, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোঃ মনসুর আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ৯১ সাল থেকে পর পর নির্বাচন করে আসলেও বিগত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে মৌলবীবাজার-২ থেকে দলের টিকেটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।