হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী ড. ওয়াজেদ মিয়ার অবস্থা উন্নতির দিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে

বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়াকে দেখার পর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসছেন

স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে গেলেও তিনি শংকামুক্ত নন। তাকে রাখা হয়েছে নিবিড় পর্যবেক্ষণে। আজ শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ড. ওয়াজেদ রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ স্বামীকে দেখার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি স্বামীর শয্যাপাশে বেশ কিছু সময় কাটান ও স্বামীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তার অবস্থা উন্নতির দিকে। বুধবারের চেয়ে ভালো। এদিকে অসুস্থ ওয়াজেদ মিয়াকে দেখার জন্য গতকাল সকাল থেকে দিনভর হাসপাতালে ভিড় জমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সুভানুধ্যায়ীরা। তার রোগমুক্তি কামনায় গতকাল বিকালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। পৃথকভাবে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ক্যাম্পাসে। ওয়াজেদ মিয়ার অন্যতম চিকিৎসক অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, তার অবস্থা গতকালের (বুধবার) চেয়ে একটু ভাল। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তিনি বলেন, সকালে অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে তার দেহ থেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়। তিনি স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখব। গতকালই তার ব্রেনের পরীক্ষার জন্য এমআরআই করা হয়। রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন জানান, ওয়াজেদ মিয়া বেশ কয়েক বছর যাবত অনেকগুলো জটিল রোগে ভুগছেন। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ইস্কিমিক হার্ট ডিজিস, অকেজো কিডনী ও শ্বাসকষ্ট। এজন্য তার সার্বক্ষণিক চিকিৎসা চলছে।বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ওয়াজেদ মিয়া গত এক বছর ধরে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে দিল্লী ও সিঙ্গাপুরেও তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ডা. সানোয়ার জানান, সর্বশেষ দফায় গত ৭ এপ্রিল থেকে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে রয়েছেন। তিনি বলেন, বুধবার সকালে তার হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কোন ওষুধে কাজ হচ্ছিল না বলে তৎক্ষণাৎ উনার হৃদযন্ত্রে কৃত্রিম স্পন্দন যন্ত্র স্থাপন করা হয়। ওয়াজেদ মিয়ার শয্যাপাশেপ্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ স্বামীকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ৩টা ২৫ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে যান। তিনি স্বামীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। সেখানে তিনি আধঘন্টার মতো অবস্থান করেন। বিকাল তিনটা ৫৮ মিনিটে শেখ হাসিনা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। এর আগে গত বুধবার দুপুর তিনটায় অসুস্থ স্বামীকে দেখতে শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে আসেন। কিছুক্ষণ স্বামীর পাশে কাটিয়ে তিনি নিচে নেমে আসেন এবং লিফটের পাশের একটি কক্ষে প্রায় আধঘণ্টা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বিকাল পৌনে চারটায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা। হাসপাতাল ত্যাগের সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।হাসপাতালে নেতাকর্মীদের ভিড়গুরুতর অসুস্থ ড. এম ওয়াজেদ মিয়াকে দেখতে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের সিনিয়র নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। তারা এ সময় তার খোঁজ-খবর জানতে চান। দুপুর পর্যন্ত সিনিয়র নেতাদের মধ্যে হাসপাতালে যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ,সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক মোদাচ্ছের আলী,স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রমুখ। ড. ওয়াজেদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে সেখানে ভিড় করেছে আরো অনেকে।




৫ম সংশোধনী বাতিল হলেও বহুদলীয় গণতন্ত্র বহাল থাকবে : আইনমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলেও বহুদলীয় গণতন্ত্র বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি আরো বলেন, সংসদের চেয়ে সংবিধান বড়। গতকাল বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের প্রাধান্য বা শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখা সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র চলছে কি-না সংবিধানের বাইরে কেউ ক্ষমতা দখল করলো কি-না, এসব দেখার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ পঞ্চম সংশোধনীর রায় প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার খন্ডন করতে গিয়ে আইন মন্ত্রী বলেন, উনারা এতো অভিযোগ করছেন যে, বর্তমান সরকার আদালতকে মামলার জন্য ব্যবহার করছে। এই কথাটি একেবারেই অসত্য। মামলার রায়টি হয়েছে ২০০৫ সালে। এখনও রায়টি স্টে'- করা আছে যেটি বাতিল হয়নি। এই রায়ে যা প্রতিফলিত হয়েছে, তাহলো বাংলাদেশের সংবিধানে যেখানে সামরিক শাসন বা ফরমান জারি করার কোনো বিধান নেই, সেখানে কোনো এক ব্যক্তি যদি সামরিক শাসন জারি করে সেটা কতটুকু সাংবিধানিক তা দেখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, যেহেতু সংবিধানে সামরিক শাসন জারি করার কোনো বিধান নেই, আজকে যদি পার্লামেন্টের সমস্ত সদস্যরা বলেন যে, বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি করতে পারবে না, তাহলে ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে একজন সিভিলিয়ান প্রথম মার্শাল দিল কিভাবে? মোস্তাক মার্শাল জারি করলেন ১৫ তারিখ থেকে (১৫ আগস্ট-১৯৭৫)। আর ফরমান জারি করলেন তার ৫ দিন পরে এখন প্রশ্ন সেখানেই যে একজন সিভিলিয়ান সামরিক শাসন জারি করতে পারেন কি না। তার ৮৩ দিন পরে এই ব্যক্তিটি সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে রাষ্ট্রপতি হলেন। ৮৩ দিন পরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি যে শপথ নিয়েছেন যে, বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত রাখবেন বা রক্ষা করবেন, উনি নিজে আবার প্রধান সামরিক শাসক হলেন। কাজেই জনগণের জানা উচিত যে, বাংলাদেশের সংবিধানে আছে একজন প্রধান বিচারপতি প্রধান সামরিক প্রশাসক হতে পারেন না বা নিজে নিজে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে পারেন না। পঞ্চম সংশোধনী সংক্রান্ত মামলায় এসব বিষয়াদি আলোচিত হয়েছে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান এ দেশে প্রথম সামরিক শাসক হলেন। তারপর নিজে প্রেসিডেন্ট হলেন, এগুলো হলো সাংবিধানিক বিষয়। একজন সিভিলিয়ান, একজন প্রধান বিচারপতি, একজন সেনাপ্রধান সামরিক শাসন জারি করতে পারেন কি-না, সামরিক শাসন জারি করে দেশ পরিচালনা করতে পারেন কি না। পার্লামেন্ট যদি সামরিক শাসন জারি করতে না পারে তাহলে এক ব্যক্তি সামরিক শাসন দিয়ে এই সংবিধানকে পরিবর্তন করলো, পার্লামেন্ট কি করে এটাকে বৈধতা দেবে যে সামরিক ফরমান জারি করতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন যে, সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে, পরিবর্তন করা হয়েছে। আমার মনে হয় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ আমাদের সংবিধানের যে ক্ষমতা আছে, এ সমস্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, সংবিধানের আলোকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন উচ্চ আদালতের রায় দেখেই এই রায়টা দিয়েছেন। এই রায়ে অনেক দেশের নজির দিয়েছেন, এই রায়টি এখন স্থগিত আছে, বাতিল হয়নি। কাজেই এই প্রেক্ষিতে যদি কেউ বলে যে এই রায়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে, এটা আমার মনে হয় অসম্ভব কথা। কেউ বলে যে আদালতকে প্রভাবিত করে এই রায় দেয়া হয়েছে, তবে এটা সঠিক নয়। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী এবং আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে, এ ধরনের উক্তি সঠিক নয়। এটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য। কাজেই সাবেক একজন আইনমন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান শুরু হয় প্রিয়াম থেকে। বিসমিল্লাহ উপরে আছে। এই রায়ে বিসমিল্লাহ্ থাকবে না বলে তেমন কোনো অভিমত নেই। কাজেই বিসমিল্লাহ থাকবে না বলে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল জারি করেছিলেন, পরবর্তীতে একটা মামলা হয়। সেটিও পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বলে যে মার্শাল দিয়েছে তা ঠিক নয়। পরবর্তীতে ইয়াহিয়া খান যখন মার্শাল দিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়, তখন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন হামিদুর রহমান। আদালত বলেছিল এই মার্শাল আইন সিদ্ধ হয় নাই। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে, ইয়াহিয়া খানের মার্শাল বে-আইনী। কাজেই সাবেক আইনমন্ত্রী (ব্যারিস্টার মওদুদ) সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই কথা বলছেন। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে ৪র্থ সংশোধনীতে ফিরে গেলে একদলীয় শাসন কায়েম হবে কি না, উত্তরে মন্ত্রী বলেন, তা হতে পারে না। শুধু মার্শালকে অবৈধ করা হয়েছে। আপনারা '৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাচ্ছেন? না আমরা ৭২-এর সংবিধানের মৌলিক নীতির কথা বলছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছি। অসাম্প্রদায়িক মানে যে যার ধর্ম পালন করবেন। গণতন্ত্র সমাজ গঠন করে। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলে কি হবে? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা বলবো যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা হয়েছে। '৭২-এর সংবিধানের ৪টি মূলনীতি জনগণ অমৃত হিসেবে গ্রহণ করেছে। সংবিধানে দুটি অঙ্গীকার আছে। একটি হচ্ছে যে উদ্দেশ্যে জনগণ আত্মত্যাগ করেছে তা রক্ষা করা, আর সংবিধানের ৪টি মূলনীতি রক্ষা করা।



সহিংসতার অভিযোগ তদন্তে কমিশন
বাংলাদেশের হাইকোর্ট, দেশটিতে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বিভিন্ন সহিংসতার অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করতে, সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে.
একটি মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেয়. রীট আবেদনকারী আইনজীবী বলছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর নির্যাতনের শিকার হয়েও যারা আইনী প্রতিকার পাননি তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্যেই এই আবেদন করা হয়েছে. বিষয়টিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত কমিশন গঠন এবং পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে এর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনাও আদালত দিয়েছেন বলে রীট আবেদনকারী বলছেন. তিনি আরো বলছেন যে, বিগত সাত বছর তার ভাষায় বিচার দেওয়ার সুযোগ ছিলনা বলেই তারা এখন রীট দায়ের করেছেন. রীট আবেদনকারী বলছেন, নির্যাতনের প্রমাণস্বরূপ তারা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টের কথা আদালতে উল্লেখ করেছেন. এদিকে সরকারের অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল বলছেন, এখন আদালতের নির্দেশনা মেনেই সরকার কাজ করবে.

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা