জঙ্গিবাদ এখনো বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ: মার্কিন দূত
জঙ্গিবাদ এখনো বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ: মার্কিন দূত
ঢাকা, মে ০৩ বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেছেন, জঙ্গিবাদ এখনো বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এখন দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ; একটি বিদ্যুৎ সমস্যা, আরেকটি জঙ্গিবাদ। আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গির দোহাই দিয়ে দেশে বিদেশি সেনা আনার চেষ্টা চালাচ্ছে- শনিবার পল্টন ময়দানে এক সভায় খালেদা জিয়ার এই অভিযোগের পরদিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করলেন। পল্টনের সভায় খালেদা জিয়া দাবি করেন, দেশে জঙ্গি নেই, যা ছিল তা তারা ধরেছেন এবং শাস্তি দিয়েছেন। মরিয়ার্টি বলেন, "বাংলাদেশের ভোলায় অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে জেএমবি জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে এটি এখনো একটি উদ্বেগের বিষয়।" পাশপাশি তিনি ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলার কথা তুলে ধরেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, "ওয়াশিংটনের হাতে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার 'অপ্রীতিকর নমুনা'র প্রমাণ রয়েছে।" এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে মরিয়ার্টি বলেন, "জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশ হুমকির মধ্যে রয়েছে।" বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জঙ্গি মোকাবেলায় মার্কিন সরকার সর্বপ্রকার সহযোগিতা দেবে বলে জানান তিনি। ইরাক পরিস্থিতির উন্নতি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হ্রাসে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে- এমনটিও দাবি করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। গণতন্ত্র সুসংহত রাখতেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সব রকম সহায়তা দেবে বলে জানান মরিয়ার্টি। সেনানিবাসে খালেদা জিয়ার বাড়ির ইজারা বাতিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদ বয়কট করার বিএনপি'র সিদ্ধান্তের বিষয়ে মরিয়ার্টি বলেন, "এটি ভালো কিছু বয়ে আনবে না। বরং বিষয়টি আইনীভাবে কিংবা সংলাপের মাধ্যমে সুরাহা করা যেতে পারে।" যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "বিষয়টিতে স্বচ্ছতা প্রয়োজন এবং সবকিছুই নিরপেক্ষভাবে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিস্পন্ন করা উচিত।" মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে তার সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। স�প্রতি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা হয়েছে। "এ ধরনের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র খুবই ব্যয়বহুল", বলেন মরিয়ার্টি।
ঢাকা, মে ০৩ বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেছেন, জঙ্গিবাদ এখনো বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এখন দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ; একটি বিদ্যুৎ সমস্যা, আরেকটি জঙ্গিবাদ। আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গির দোহাই দিয়ে দেশে বিদেশি সেনা আনার চেষ্টা চালাচ্ছে- শনিবার পল্টন ময়দানে এক সভায় খালেদা জিয়ার এই অভিযোগের পরদিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করলেন। পল্টনের সভায় খালেদা জিয়া দাবি করেন, দেশে জঙ্গি নেই, যা ছিল তা তারা ধরেছেন এবং শাস্তি দিয়েছেন। মরিয়ার্টি বলেন, "বাংলাদেশের ভোলায় অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে জেএমবি জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে এটি এখনো একটি উদ্বেগের বিষয়।" পাশপাশি তিনি ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলার কথা তুলে ধরেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, "ওয়াশিংটনের হাতে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার 'অপ্রীতিকর নমুনা'র প্রমাণ রয়েছে।" এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে মরিয়ার্টি বলেন, "জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশ হুমকির মধ্যে রয়েছে।" বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জঙ্গি মোকাবেলায় মার্কিন সরকার সর্বপ্রকার সহযোগিতা দেবে বলে জানান তিনি। ইরাক পরিস্থিতির উন্নতি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হ্রাসে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে- এমনটিও দাবি করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। গণতন্ত্র সুসংহত রাখতেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সব রকম সহায়তা দেবে বলে জানান মরিয়ার্টি। সেনানিবাসে খালেদা জিয়ার বাড়ির ইজারা বাতিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদ বয়কট করার বিএনপি'র সিদ্ধান্তের বিষয়ে মরিয়ার্টি বলেন, "এটি ভালো কিছু বয়ে আনবে না। বরং বিষয়টি আইনীভাবে কিংবা সংলাপের মাধ্যমে সুরাহা করা যেতে পারে।" যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "বিষয়টিতে স্বচ্ছতা প্রয়োজন এবং সবকিছুই নিরপেক্ষভাবে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিস্পন্ন করা উচিত।" মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে তার সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। স�প্রতি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা হয়েছে। "এ ধরনের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র খুবই ব্যয়বহুল", বলেন মরিয়ার্টি।