জোট সরকারের নির্দেশেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে রেজ্জাকুল হায়দার
জোট সরকারের নির্দেশেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে রেজ্জাকুল হায়দার
টিএফআই সেলে আবদুর রহিম
বিশেষ ভবনের কর্তাব্যক্তিই দুবাই ভ্রমণের উদ্যোক্তা ছিলেন
এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানের ব্যাপারে আরেক সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকে দায়ী করেছেন। তিনি এনএসআইয়ের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও পুরো ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা তিনি জানতেন। ঘটনার সময় কি ঘটেছিল এবং অস্ত্রের চালানটি কিভাবে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে তা তৎকালীন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, একটি বিশেষ ভবনের কর্তা ব্যক্তি জানতেন। এর পেছনে ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন সিআইবি (কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তিনি একটি গোয়েন্দা সংস'ার প্রধান হিসাবে তৎকালীন সরকারের নির্দেশ পালন করেছেন বলে টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহিম দুবাই ভ্রমণের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, দুবাই ভ্রমণ তার উদ্যোগে হয়নি। তৎকালীন সরকারের একটি বিশেষ ভবনের একজন কর্তাব্যক্তিই এই ভ্রমণের উদ্যোক্তা ছিলেন। ঐ ভ্রমণে তিনি রাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস'ার প্রধান হিসাবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। তিনি আরো জানান, এনএসআইয়ের চুক্তি ভিত্তিক মহাপরিচালকের দায়িত্ব তিনি পেয়েছিলেন দলীয়ভাবে। এ কারণে তার সঙ্গে ঐ বিশেষ ভবনের কর্তাব্যক্তির যোগাযোগ ছিল। তবে এ ব্যাপারে ঐ সময় ডিজিএফআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বিশেষ ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্রের চালান প্রবেশের সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ডিজিএফআইয়ের সিআইবির পরিচালক ছিলেন। এনএসআইয়ের ডিফেন্সিভ গোয়েন্দাবৃত্তির সঙ্গে ডিজিএফআইয়ের অফেনসিভ গোয়েন্দাবৃত্তি একই সঙ্গে কাজ করে। এর মধ্যস'তাকারী হিসাবে কাজ করে ডিজিএফআইয়ের সিআইবি শাখা। জিজ্ঞাসাবাদে দুবাই ভিত্তিক এআইওয়াই গ্রম্নপ চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্রের চালান এনেছিল কিনা- এ ব্যাপারে এখনও মুখ খোলেননি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম। তিনি এ দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানের পেছনে ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন সিবিআই শাখার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকে দায়ী করেন। তিনি আরো জানান, এনএসআইয়ের তৎকালীন পরিচালক (নিরাপত্তা) উইং কমান্ডার সাহাব উদ্দিন বিশেষ ভবনের কাছের ব্যক্তি ছিলেন। বিশেষ ভবনের কোন পরিকল্পনা থেকে শুরম্ন করে ঐ ভবনের কর্তাব্যক্তির যাবতীয় কার্যক্রম দেখাশুনা করতেন সাহাব উদ্দিন।
জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহিম আরো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তবে এসব তথ্যের সঙ্গে উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিনের দেয়া তথ্যের যথেষ্ট অমিল রয়েছে। তবে এসব তথ্য যাচাই বাছাই করা হ"েছ।