Ex-speaker, deputy speaker, chief whip asked to return Tk 3.5m to state
সাবেক স্পিকার ডেপুটি স্পিকার ও চিফ হুইপকে সংসদীয় কমিটি তলব করবে
সংসদ রিপোর্টারঃ সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ডেপুটি স্পিকার আকতার হামিদ সিদ্দিকী ও চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ সচিবালয়ের দুর্নীতি তদন্তে গঠিত সংসদীয় কমিটি। আগামী ১৪ মে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে তাদের তলব করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কমিটি সূত্র।জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে তদন্ত কমিটির তিনটি সাব-কমিটির মধ্যে দু'টি কমিটি তাদের রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে। আগামী বৈঠকে এ রিপোর্ট দু'টি পর্যালোচনা করা হবে। অপর সাব-কমিটিকে আগামী ১৪ মে পর্যন্ত রিপোর্ট দাখিলের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের কারণে সচিবালয়ের ছয় কর্মকর্তাকে আগামী বৈঠকে তলব করা হতে পারে। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এডভোকেট ফজলে রাববী মিয়া বলেন, দেশের সর্বোচ্চ তিন পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অথচ তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে না এটা তো হতে পারে না। তাদের কথা না শুনে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে তাদের হাতের লেখা নোট রয়েছে। আমরা সেসব বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাইবো। তিনি আরও বলেন, নিয়োগ বিষয়ক বাছাই কমিটির কয়েকজন সদস্যকে আগামী বৈঠকে তলব করা হয়েছে। কারণ তারা যেভাবে আইনের অপব্যাখা দিয়ে, নিয়মনীতি লংঘন করে নিয়োগ দিয়েছেন তা সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না। এক্ষেত্রে কোন জেলা কোটা, মহিলা কোটা মানা হয়নি। এমনকি বয়স প্রমার্জন করে বিধি বহির্ভুতভাবে নিয়োগ দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সংসদীয় তদন্ত কমিটির বৈঠকে গত ১৩ এপ্রিল তিনটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি সংসদ সচিবালয়ে জনবল নিয়োগ, আসবাবপত্র ক্রয় ও সৌন্দর্যবর্ধন এবং চিকিৎসা ব্যয় এর দুর্নীতি খতিয়ে দেখে। এরমধ্যে এস কে আবু বাকের-এর নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটিকে চিকিৎসা বিল, মোঃ মুজিবুল হক-এর নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটিকে জনবল নিয়োগ এবং শাজাহান খানের নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটিকে ক্রয় ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দায়িত্ব দেয়া হয়। এস কে আবু বাকের ও মুজিবুল হক গতকাল তাদের রিপোর্ট দাখিল করেন। শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন সাব-কমিটিকে আরও নয়দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সভাপতি বলেন, আমাদের কমিটির কাজের পরিধি অনেক। বিল, ভাউচার, কাগজপত্রসহ আরও অনেক কিছু খতিয়ে দেখতে হচ্ছে। এজন্য সময় বেশি লাগছে। এদিকে আগামী ২০মে তদন্ত কমিটিকে বেঁধে দেয়া সময় শেষ হচ্ছে। তিনি বলেন, সময় শেষ হলেও স্পিকার বলেছেন, আমাদের রিপোর্ট আগামী সংসদের বৈঠকে দাখিল করতে। আশা করি এ সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, সপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তদন্তের কাজ করা হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে এ ধরনের কমিটি এই প্রথম। ভবিষ্যতে দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে কেউ যেন আইন বহির্ভূত কাজ করতে না পারেন সেজন্য এটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। বৈঠকে কমিটির সদস্য ও হুইপ আ স ম ফিরোজ, মোঃ মজিবুল হক, মোঃ মজাহারুল হক প্রধান, মইনউদ্দিন খান বাদল, এম এ মান্নান, এস কে আবু বাকের, এ. বি. এম আনোয়ারুল হক ও মোঃ হাবিবুর রহমান এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ রিপোর্টারঃ সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ডেপুটি স্পিকার আকতার হামিদ সিদ্দিকী ও চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ সচিবালয়ের দুর্নীতি তদন্তে গঠিত সংসদীয় কমিটি। আগামী ১৪ মে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে তাদের তলব করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কমিটি সূত্র।জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে তদন্ত কমিটির তিনটি সাব-কমিটির মধ্যে দু'টি কমিটি তাদের রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে। আগামী বৈঠকে এ রিপোর্ট দু'টি পর্যালোচনা করা হবে। অপর সাব-কমিটিকে আগামী ১৪ মে পর্যন্ত রিপোর্ট দাখিলের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের কারণে সচিবালয়ের ছয় কর্মকর্তাকে আগামী বৈঠকে তলব করা হতে পারে। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এডভোকেট ফজলে রাববী মিয়া বলেন, দেশের সর্বোচ্চ তিন পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অথচ তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে না এটা তো হতে পারে না। তাদের কথা না শুনে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে তাদের হাতের লেখা নোট রয়েছে। আমরা সেসব বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাইবো। তিনি আরও বলেন, নিয়োগ বিষয়ক বাছাই কমিটির কয়েকজন সদস্যকে আগামী বৈঠকে তলব করা হয়েছে। কারণ তারা যেভাবে আইনের অপব্যাখা দিয়ে, নিয়মনীতি লংঘন করে নিয়োগ দিয়েছেন তা সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না। এক্ষেত্রে কোন জেলা কোটা, মহিলা কোটা মানা হয়নি। এমনকি বয়স প্রমার্জন করে বিধি বহির্ভুতভাবে নিয়োগ দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সংসদীয় তদন্ত কমিটির বৈঠকে গত ১৩ এপ্রিল তিনটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি সংসদ সচিবালয়ে জনবল নিয়োগ, আসবাবপত্র ক্রয় ও সৌন্দর্যবর্ধন এবং চিকিৎসা ব্যয় এর দুর্নীতি খতিয়ে দেখে। এরমধ্যে এস কে আবু বাকের-এর নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটিকে চিকিৎসা বিল, মোঃ মুজিবুল হক-এর নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটিকে জনবল নিয়োগ এবং শাজাহান খানের নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটিকে ক্রয় ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দায়িত্ব দেয়া হয়। এস কে আবু বাকের ও মুজিবুল হক গতকাল তাদের রিপোর্ট দাখিল করেন। শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন সাব-কমিটিকে আরও নয়দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সভাপতি বলেন, আমাদের কমিটির কাজের পরিধি অনেক। বিল, ভাউচার, কাগজপত্রসহ আরও অনেক কিছু খতিয়ে দেখতে হচ্ছে। এজন্য সময় বেশি লাগছে। এদিকে আগামী ২০মে তদন্ত কমিটিকে বেঁধে দেয়া সময় শেষ হচ্ছে। তিনি বলেন, সময় শেষ হলেও স্পিকার বলেছেন, আমাদের রিপোর্ট আগামী সংসদের বৈঠকে দাখিল করতে। আশা করি এ সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, সপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তদন্তের কাজ করা হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে এ ধরনের কমিটি এই প্রথম। ভবিষ্যতে দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে কেউ যেন আইন বহির্ভূত কাজ করতে না পারেন সেজন্য এটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। বৈঠকে কমিটির সদস্য ও হুইপ আ স ম ফিরোজ, মোঃ মজিবুল হক, মোঃ মজাহারুল হক প্রধান, মইনউদ্দিন খান বাদল, এম এ মান্নান, এস কে আবু বাকের, এ. বি. এম আনোয়ারুল হক ও মোঃ হাবিবুর রহমান এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।