বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া





















Short biography of Dr M A Wazed Miah




Born on February 16 in 1942, in a respectable Muslim family of Fatepur village under Pirganj upazila of Rangpur district, Dr Wajed was the youngest among four sons and three daughters of Abdul Quader Mia.
He studied up to class four at the primary school at his village and then up to class six at a high school under the Pirganj thana. He obtained his matriculation with distinction from Rangpur Government District School in Rangpur district in 1956 in first division and was admitted to Rajshahi Science College from where he passed the Higher Secondary Certificate examination securing second position in merit list.
Wajed Mia was admitted to Physics Department of Dhaka University in 1958 and obtained first class first in B. Sc (hons) in 1961 and first class first in M.Sc in 1962 from same university.
He joined the Pakistan Atomic Energy Commission on April 9 in 1963. He obtained his 'Diploma from Imperial College of London in 1963- 64.Dr M A Wazed Miah returned home in September 1967 after obtaining his PhD degree in Physics from Durham University of the United Kingdom and joined as scientific officer at Atomic Energy Research Centre in Dhaka. Later, he was engaged in post-doctoral research from November 1969 to 1970 in London.
Dr M A Wazed Miah tied his nuptial cord with Sheikh Hasina, daughter of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, on November 17 in 1967. They have a son and a daughter - Sajib Wajed Joy and Saima Wajed Putul.
In 1969 he got the associate-ship of Italy-based International Theoretical Physics Research Centre of Nobel Laureate Professor Dr Salam where he was engaged in a research project under the world- renowned scientist. In the same year he returned home and remained engaged with Atomic Energy research Centre. In 1975 he was in the then West Germany to undergo higher training on atomic reactor science while his wife Sheikh Hasina was with her at that time and thus evaded the August 15, 1975 carnage. He was engaged in research works at the New Delhi-based laboratory of Indian Atomic Energy Commission from 1975 to 1982, the period he actually was forced to leave an exiled life after the killing of Bangabandhu along with most of his family members. On return home, he rejoined the Bangladesh Atomic Energy Commission and retired as its chairman in 1999.
A nuclear scientist of international repute, Dr MA Wajed Mia, who breathed his last at a city hospital yesterday, is known more for his professional excellence in scientific arena but close friends and contemporaries were familiar to his role also as a student leader during the climax of Bengali nationalist movement in 1960s. His quality earned the position of the vice president of Fazlul Haque Muslim Hall while he was always under the affectionate shadow of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. He even was arrested and served in jail for his leading role in the then 1962 students movement against Education Commission recommendations shrinking facilities for higher education. But his academic excellence and knack for academic pursuit made him a nuclear scientist eventually installing to the top position of the country's Atomic Energy Commission after long career as a researcher and fellow at different scientific institutes and organizations in different countries including Germany and India. He all through tried to maintain a low profile while in personal life, led a very simple life and was an amiable person but never compromised with anything unjust.
Apart from his publications on scientific research and nuclear science, Wajed Mia also authored a number of books on social and political issues including one on the memories of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. The books included Fundamentals of Electromagnetics, Fundamentals of Thermodynamics and 'Bangabandhu Sheikh Mujib-ke Ghire Kichhu Ghatana o Bangladesh'



পিতার মৃত্যুতে জয় দেশে ফিরেছেন
ঢাকা, বাংলাদেশ, ১১ মে (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় আজ সোমবার সকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন। তার সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী ক্রিস্টিন ও মেয়ে সোফিয়া।গত ৯ মে জয়ের পিতা দেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ইনে-কাল করেন। জয় তার পিতার কবর জেয়ারত করতে রংপুরের পীরগঞ্জে যাবেন।


Eminent scientist and husband of Prime Minister Sheikh Hasina Dr MA Wazed Miah died at the capitals' Square Hospital today around 4:25pm

বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া
ঢাকা, মে ১০ - প্রধানমন্ত্রীর স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জের ফতেপুরে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। তিনদফা জানাজার পর তাকে দাফন করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার বাদ আসর প্রয়াতের স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে ওয়াজেদের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ১১টার পর ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ নিয়ে পীরগঞ্জ রওনা করে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। এর আগে বেলা ১১টার দিকে আরেকটি হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করে দুপুর সোয়া ১২টায় সেখানে পৌঁছেন। পীরগঞ্জ হাই স্কুলে দুপুর দেড়টার দিকে ওয়াজেদ মিয়ার দ্বিতীয় এবং তারপর ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিকেল তিনটার দিকে তৃতীয় জানাজা হয়। আমাদের রংপুর প্রতিনিধি লিয়াকত আলী বাদল ও পীরগঞ্জ প্রতিনিধি সেরাজুল ইসলাম সেরাজ জানান, পীরগঞ্জ হাই স্কুল মাঠে জানাজার আগে ওয়াজেদ মিয়ার কফিন রাষ্ট্রীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে ওয়াজেদ মিয়া ওরফে সুধা মিয়ার ভাইপো শামীম ,শেখ হাসিনার বেয়াই শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বক্তব্য দেন। তারা সুধা মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের কথা তুলে ধরে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। দুপুর পৌনে ২টার জানাজা নামাজের পর সুধা মিয়ার মরদেহ তার জন্মস্থান ফতেপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজার নামাজে অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার , তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, শ্রম মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুখ, কেন্দ্রীয় নেতা এমদাদ হোসেন মতিন, রংপুর-৬ আসনের সাংসদ আবুল কালাম আজাদ, সাংসদ আশিকুর রহমান, টিপু মুন্সি, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি, এনায়েতুর রহিম, প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহাম্মেদসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। দুপুর সোয়া ২টায় ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ তার ফতেপুর গ্রামের পৈত্রিক ভিটায় নিয়ে আসা হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওয়াজেদের স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন রেহানাকেও কাঁদতে দেখা যায়। পরে ফতেপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর পৌনে ৩ টায় সুধা মিয়াকে তার বাবা-মার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ছোট বোনকে নিয়ে স্বামীর কবর জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত করে বিকেল ৪টায় ঢাকার উদ্দ্যেশে পীরগঞ্জ ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বাবার জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে পারেননি। সোমবার ভোরে তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, ওয়াজেদ মিয়ার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও অসুস্থতার কারণে শিগগির দেশে ফিরতে পারছেন না। কয়েক দিন আগে তিনি মা হয়েছেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজেদ মিয়ার প্রথম নামাজে জানাজা হয়। নামাজ পরিচালনা করেন খতিব মুফতি মওলানা সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক লোক এতে অংশ নেন। জানাজার জন্য জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত মাইক ছিল । জানাজার পর রাষ্ট্রপতি, তিন বাহিনীর প্রধান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ওয়াজেদ মিয়ার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর আগে সকালে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আনা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে মারা যান ওয়াজেদ মিয়া। তারপর তার মরদেহ ধানমণ্ডির বাসভবন সুধা সদনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা রাখার পর রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভাই আব্দুল খালেক মিয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ও মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এলডিপি সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ, বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি এমকে আনোয়ার ও তরিকুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম শফিউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক, এফবিসিসিআইর সভাপতি আনিসুল হক প্রমুখ ঢাকার জানাজায় অংশ নেন ।


স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার দাফন শেষে ঢাকা ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, মে ১১ - স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দাফন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জ থেকে ঢাকা ফিরেছেন রোববার বিকেলে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে ঢাকা ফিরে আসেন। তিনি পুরাতন বিমান বন্দর থেকে সরাসরি যুমনায় তার সরকারি বাসভবনে যান। এর আগে পুরান বিমান বন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে বেলা ১১টার দিকে শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পীরগঞ্জ পৌঁছে প্রথমে উপজেলা পরিষদ গেস্ট হাউজে অবস্থান করেন। সেখান থেকে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফতেপুরে শ্বশুর বাড়িতে যান তিনি। স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার দাফন শেষে বিকেল পৌনে চারটার দিকে শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে স্বামীর কবর জিয়ারত করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ রেহানাসহ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।



তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ

ঢাকা, মে ১০ - ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের শোক পালনের দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। রোববার বিকালে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদের মৃত্যুতে এই শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়। কর্মসূচির মধ্যে আছে, ১১ মে সোমবার রাজধানীর মহানগরীর উদ্যোগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকালে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, ১২ মে মঙ্গলবার সারাদেশে মসজিদ-মন্দির-গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা ও ১৩ মে বুধবার বিকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে নাগরিক স্মরণ সভা। এই তিনদিন দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন । বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন যমুনায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভার পর দলের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, '' আওয়ামী লীগ মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দলীয়ভাবে এই তিনদিনের জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।''

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ওয়াজেদ মিয়ার

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও পরমাণু বিজ্ঞানী, প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দাফন আজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে. রোববার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে তাঁর গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জের ফতেপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ওয়াজেদ মিয়াকে সমাহিত করা হয়।
ওয়াজেদ মিয়ার মূল নামাজে জানাজা হয় রোববার সকালে ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক লোক এতে অংশ নেন। এরপর তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে পীরগঞ্জ নিয়ে আসা হয়। পীরগঞ্জ হাই স্কুলে দুপুর দেড়টার দিকে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়।
এরপর তার মরদেহ ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। বিকেলে সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজার পর তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশেই ড: ওয়াজেদ মিয়াকে সমাহিত করা হয়.

ড. ওয়াজেদের মৃত্যুতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, মে ১০ - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং । রোববার সকালে শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে মনমোহন শোক প্রকাশ করেন এবং তাকে সমবেদনা জানান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব মাহবুবুল হক শাকিল। শাকিল বলেন, "সকাল সোয়া ১০টার দিকে টেলিফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন।" এছাড়া পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রণব মুখার্জী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।

ড. ওয়াজেদের মৃত্যুতে ৪২ দেশের রাষ্ট্রদূতের শোক
ঢাকা, মে ১০ - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশে অবস্থিত ৪২টি দেশের রাষ্ট্রদূত শোক প্রকাশ করেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব মাহাবুবুল হক শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "রোববার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টিসহ ৪২টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।" শাকিল জানান, দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, সৌদি আরব, কুয়েত, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়া ।



ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে আরো সংগঠনের শোক প্রকাশ
ঢাকা, মে ১০ - পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে আরো অনেক রাজনৈতিক, আর্থিক, শিল্প, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে। শোক বার্তায় তারা ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে দেশের অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে রোববার শোকবার্তা পাঠানো সংগঠনের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, কাউন্সিল অব চেম্বার প্রেসিডেন্টস, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর দি অ্যাডভান্সমেন্ট অব সাইন্স প্রমূখ। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে শোক প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বার্তা পাঠিয়েছেন অনেকে।

ড. ওয়াজেদের মৃত্যুতে সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি ও নেতৃবৃন্দের শোক
ঢাকা, মে ০৯ - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুুরী ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। আলাদা শোক বার্তায় তারা প্রয়াত বিজ্ঞানীর প্রতি শোক প্রকাশ ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। অন্যদের মধ্যে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন- বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভুঁইয়া, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত, জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিকল্প ধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, সাবেক সাংসদ মঞ্জুর কাদের, জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল প্রমুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও ঢাকা পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হকও পৃথক বাণীতে শোক প্রকাশ করেছেন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ওয়াজেদ মিয়া । এছাড়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল,আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম, ছাত্রলীগ, বিজিএমইএ, ভলিবল ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউএস কমান্ড কাউন্সিল শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে।
We Mourn, Bangladesh Chattro League, Gournadi Upazilla Branch
ওয়াজেদ মিয়ার অন্তিম যাত্রা
রংপুর, মে ১০ - ড. ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ রোববার দুপুর একটার দিকে তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে পৌঁছেছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ১১টার একটু পর ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ নিয়ে রংপুর রওনা করে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। এর আগে আরেকটি হেলিকপ্টারে করে বেলা ১১টার দিকে প্রয়াতের স্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করেন। তিনি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পৌঁছান এবং এখন শ্বশুর বাড়িতে রয়েছেন। তৃতীয় আরেকটি হেলিকপ্টারে পীরগঞ্জ পৌঁছেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাংসদ শেখ হেলালসহ ১০ জন। পীরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে এ পরমাণু বিজ্ঞানীকে সমাহিত করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার বাদ আসর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে তার কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে। আমেরিকায় বসবাসরত ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বাবার জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে পারছেন না। সোমবার ভোরে তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, ওয়াজেদ মিয়ার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল শারীরিক অসুস্থতার কারণে শিগগির দেশে ফিরতে পারছেন না। কয়েক দিন তিনি মা হয়েছেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজেদ মিয়ার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। নামাজ পরিচালনা করেন খতিব মুফতি মওলানা সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক লোক এতে অংশ নেন। ব্যাপক লোক সমাগম হওয়ায় অনেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশাপাশের এলাকা থেকে জানাজায় শরিক হন। জানাজা উপলক্ষে জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত মাইক লাগানো হয়। জানাজার পর রাষ্ট্রপতি, তিন বাহিনীর প্রধান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ওয়াজেদ মিয়ার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর আগে জানাজার জন্য স্কয়ার হাসপাতাল থেকে ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আনা হয়। শনিবার বিকেলে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তারপর তার মরদেহ ধানমণ্ডির বাসভবন সুধা সদনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা তার মরদেহ রাখা হয়। এরপর রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভাই আব্দুল খালেক মিয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার, সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জালিল ও মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এলডিপি সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ, বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি এমকে আনোয়ার ও তরিকুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম শফিউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক, এফবিসিসিআইর সভাপতি আনিসুল হক প্রমুখ জানাজায় অংশ নেন ।



ড. ওয়াজেদ মিয়ার প্রথম জানাজা সম্পন্ন



ঢাকা, মে ১০ - জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ নামাজ পরিচালনা করেন খতিব মুফতি মওলানা সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদের সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক লোক এতে অংশ নেন। এর আগে জানাজার জন্য স্কয়ার হাসপাতাল গতকাল রোববার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী মরহুম ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দীন



থেকে তার মরদেহ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আনা হয়। শনিবার বিকেলে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ড. ওয়াজেদ মিয়া। তারপর তার মরদেহ ধানমণ্ডির বাসভবন সুধা সদনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা তার মরদেহ রাখা হয়। এরপর রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বায়তুল মোকাররমে প্রথম নামাজে জানাজার পর ড. ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে বিশিষ্ট এ পরমাণু বিজ্ঞানীকে সমাহিত করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন হাওয়ালাদার, এলডিপি সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ, বিএনপির সহ-সভাপতি এমকে আনোয়ার ও তরিকুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম শফিউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক, এফবিসিসিআইর সভাপতি আনিসুল হক প্রমুখ জানাজায় অংশ নেন।

শোকসন্তপ্ত হাসিনার পাশে খালেদা
ঢাকা, মে ৯ - প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রধান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সান্ত্বনা দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর মরদেহের কাছে যান এবং শ্রদ্ধা জানান। খালেদা জিয়া সুধাসদনে ২৫ মিনিট থাকার পর রাত সোয়া নয়টায় চলে যান। খালেদা জিয়ার কিছু সময় পর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ সুদা সদনে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বামীর লাশ হাসপাতালের হিমঘরে পাঠানোর ঘন্টাখানেক পর রাত সাড়ে দশটায় তার সরকারি বাসভবন যমুনায় ফিরে যান। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিক বলেন,'' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া সান্ত্বনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথাও বলেছেন।'' দুই নেত্রীর এ দেখা-সাক্ষাৎ তথা একে অপরের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ দেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, " আমরা প্রার্থনা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শোক কাটিয়ে উঠবেন।" শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়া দলীয় সিনিয়র নেতাদের নিয়ে সুধা সদনে যান। তার সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, ড. আর এ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আ স ম হান্নান শাহ, সহসভাপতি এম কে আনোয়ার। দলের সহ-সভাপতি এম কে আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,'' খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে সান্ত্ব�না দেন। যতক্ষণ বিরোধী দলীয় নেতা সুধা সদনে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পাশেই তিনি বসে আলাপ করেছেন।'' খালেদা জিয়া এই প্রথম তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বাসায় গেলেন। খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মধ্যে দেখা-সাক্ষাত অতি বিরল ঘটনা । সর্বশেষ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে পরস্পরের সঙ্গে হাস্যোজ্জল ভঙ্গিতে কুশল বিনিময় ছাড়াও কথাবার্তা বলেন যা দেশে ব্যাপক আলোড়ন জাগায়।

Eminent scientist Dr Wazed Miah dies at 67








Eminent scientist and husband of Prime Minister Sheikh Hasina Dr MA Wazed Miah died at the capitals' Square Hospital today around 4:25pm, Prime Minister's Press Secretary Abul Kalam Azad said. He was 67.

Hasina was beside her husband at the moment of his death. He was suffering long from high blood pressure, renal failure, diabetes and asthma.
His body was being taken to the Sudha Sadan resident in Dhanmondi from the hospital.His namaz-e-janaza will be held at the Baitul Mokarram National Mosque tomorrow at 10 in the morning. Later, he will be buried at his home village in Pirganj upazila of Rangpur district. Speaker Abdul Hamid and Deputy Speaker Col (retd) Shawkat Ali condoled the death of the scientist. Dr Wazed, a nuclear scientist and former chief of Bangladesh Atomic Energy Commission, was undergoing treatment over the last one year.
He had earlier received treatment in Delhi and Singapore. Dr Wazed achieved Ph. D degree from Imperial College London. He got married in 1968.
He authored many books like Fundamentals of Thermodynamics and Fundamentals of Electromagnetics. He is survived by his wife Sheikh Hasina, son Sajeeb Wazed Joy and daughter Saima Wazed Hossain Putul.



প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার জীবনাবসান
ঢাকা, মে ০৯ - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়া মারা গেছেন। শনিবার বিকেল চারটা ২৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৬। মৃত্যুর সময় তার স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে ছিলেন। ওয়াজেদ মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে বিকেল চারটায় শেখ হাসিনা হাসপাতালে ছুটে যান। এসময় তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। রোববার সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজেদ মিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর তাকে রংপুরের পীরগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্তানে সমাহিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বিকেল সোয়া পাঁচটায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, তার মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ, বিভিন্ন দলের অসংখ্য নেতাকর্মী হাসপাতালে ছুটে যায়। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতাল ত্যাগ করেন। ওয়াজেদ মিয়ার চিকিৎসক এবং স্কয়ার হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ও সার্জারি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন বিকেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এক পর্যায়ে ড. ওয়াজেদ কমায় চলে যান। পরে বিকেল চারটা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।" পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াজেদ মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে কিডনি সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কিছু দিন আগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার এনজিওপ্লাস্টি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র ওয়াজেদ মিয়া মাস্টার্স করে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। চাকরির প্রথমদিকে তত্ত্বীয় পদার্থবিদ হিসেবে পরমাণু শক্তি কমিশনে যোগ দেন ওয়াজেদ মিয়া। অবসরে যাওয়ার কয়েক বছর আগে কমিশনের চেয়ারম্যান হন তিনি। ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এর আগে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ সুধা সদনে
ঢাকা, মে ০৯ - প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মরদেহ তার নিজ বাসা ধানমণ্ডির সুধা সদনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স তার মরদেহ নিয়ে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে রওয়ানা দেয়। পৌনে ছয়টার দিকে এটি সুধা সদনে পৌঁছে। ওয়াজেদ মিয়ার কফিন বাসার ভেতরেই রাখা হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সরাসরি সুধা সদনে চলে যান। ধানমণ্ডির এই বাসাটি ওয়াজেদ মিয়ার ডাক নাম অনুযায়ী রাখা হয় 'সুধা সদন'। অসুস্থ হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির আগে তিনি শেষ দিনগুলো এ বাসাতেই কাটিয়েছেন। পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে তার নিকট আত্মীয়স্বজন, মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধানমণ্ডির বাড়িটিতে ভিড় করছেন।

ষাটের দশকের আন্দোলনেও ছিল ওয়াজেদের ভূমিকা: অজয় রায়
ঢাকা, মে ৯ - ড. ওয়াজেদ মিয়া শুধু মেধাবীই ছিলেন না, ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিকও। ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলনে ওয়াজেদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভূমিকা ছিল বলে তার শিক্ষক ড. অজয় রায় জানান। পরমাণু বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যু খবর শুনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অজয় রায় শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ওয়াজেদ খুব ভাল ছাত্র ছিলেন। ১৯৬২ কিংবা ১৯৬৩ সালে আমার শিক্ষকতা জীবনের প্রথম দিকের ছাত্র ছিলেন তিনি।" ওয়াজেদ মিয়া পদার্থ বিজ্ঞানে ভাল ফলাফল করেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অনার্স ও মাস্টার্স, দুই পরীক্ষাতেই প্রথম শ্রেণী পান তিনি। অজয় রায় বলেন, পড়াশোনা শেষে আনবিক শক্তি কমিশনে জুনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে কাজে যোগ দেন ওয়াজেদ। এরপর বৃত্তি নিয়ে লন্ডনে চলে যান। সেখান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে আবারও তিনি আনবিক শক্তি কমিশনে যোগ দেন বলে অজয় রায় জানান। ওয়াজেদ মিয়ার দেশপ্রেমের কথা বলতে গিয়ে অজয় রায় বলেন, ষাটের দশকে গণ আন্দোলনে বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে তিনিও তাতে যোগ দেন। ওয়াজেদ মিয়া শনিবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।

হাসপাতালে ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে এক ঘন্টা
অজয় রায় ড. ওয়াজেদ মিয়ার সরাসরি শিক্ষক শিক্ষা ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী

ঢাকা, মে ৯ - ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই। সকালে সংবাদপত্রে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার স্বামী হিসেবেই বেশি পরিচিত ওয়াজেদ মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার খবর পড়ে মন খুব খারাপ হয়ে গেলো। গত কয়েক বছর ধরে ড.ওয়াজেদ মিয়া হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই সঙ্গে নিরিবিলি জীবনযাপন করছিলেন সুধাসদনে। সম্ভবত অনেকেই হয়তো জানেন না ওয়াজেদ মিয়া তার নিজস্ব ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যেই পরিচিত। তিনি ছিলেন তত্ত্বীয় পদার্থবিদ ওয়াজেদ মিয়া। স্মৃতিশক্তি আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করলে, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনে তিনি তত্ত্বীয় পদার্থবিদ হিসেবে কাজ করেন। অবসর নেওয়ার কয়েক বছর আগে তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া একজন গতিশীল ব্যক্তিত্ব। অনেকেই ভেবেছিলেন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার তার চাকরির মেয়াদ বাড়াবে। কিন্তু তা করা হয়নি। বহু সুযোগসন্ধানী ড. ওয়াজেদ মিয়াকে চাকরির মেয়াদ বাড়াতে চাপ দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেখ হাসিনা যেমন তাদের হতাশ করেছেন, ঠিক তেমনি ওয়াজেদ মিয়াও তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেননি। কোনো আধা সরকারি সংস্থায়ও তাকে বসানো হয়নি যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বামীর জন্য সহজেই করতে পারতেন। এভাবেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একটি নজীর স্থাপন করেন। অন্যদিকে ড. ওয়াজেদ মিয়াও হাসিনার একেবারে 'বাধ্যগত' স্বামী ছিলেন না। বরং অনেক বিষয়ে তিনি শেখ হাসিনার সমালোচনা করতেন। ল্যাব এইড হাসপাতালের সাত তলার হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন ওয়াজেদকে একদিন আমি দেখতে যাই। ৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় ওয়াজেদ আমার ছাত্র ছিলেন। তখন আমি ছিলাম জুনিয়র শিক্ষক। পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। তাদের মধ্যে চারজনের কথা আমার এখনো মনে পড়ে। তারা হলেন ফরহাদ ফয়সাল, ওয়াজেদ মিয়া, শামসুজ্জামান ও অশোক। প্রত্যেকেরই মেধা ছিল চমৎকার। আমার যতটা মনে পড়ে অধ্যাপক ইন্নাস আলীর তত্ত্বাবধানে ফরহাদ ও ওয়াজেদ তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন। আর শামসুজ্জামান ও অশোক এমএসসি-তে আমার অধীনে ইপিআর স্পেকট্রোস্কপি নিয়ে গবেষণা করেন। পরে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তারা নিজেদের অত্যন্ত সফল বলে প্রমাণিত করতে সক্ষম হন। বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন ফরহাদ, ওয়াজেদ ও অশোক। তাদের মধ্যে ফরহাদ ও ওয়াজেদ তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী হন। আর অশোক নিজেকে পরিচিত করে তোলেন থিওরিটিক্যাল সলিড-স্টেট পদার্থ বিজ্ঞানী হিসেবে। অন্যদিকে ড. শামসুজ্জামান একজন বিশিষ্ট আমলায় হয়ে ওঠেন। হাসপাতালে আমার এক সময়ের প্রিয় ছাত্র ওয়াজেদের অবস্থা দেখে আমি মানসিকভাবে খুবই আঘাত পাই। তাকে খুব বুড়ো বুড়ো দেখাচ্ছিল, স্বাস্থ্য ভেঙে গেছে। বেরিয়ে এসেছে হাড়। যদিও তার বয়স তখনও সত্তুর ছোঁয়নি। আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন খুব কষ্ট করে। আমাকে দেখে ওয়াজেদ খুবই খুশি হয়েছিলেন। মৃদু কণ্ঠে বললেন, "স্যার, আমি ভালো নেই। আমার জন্য দোয়া করবেন।" ফাঁকা সান্ত্বনার কথা বলে আমি তাকে সান্ত্বনা দিলাম, "দুশ্চিন্তা কোরো না। সব ঠিক হয়ে যাবে।" বিষণ��ভাবে হাসলেন ওয়াজেদ। বললেন, "এবার এত সহজ হবে না।" ওয়াজেদ আমাকে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ঘুম ঘুম একটা ভাবের কারণে পারেননি। বস্তুতপক্ষে আমার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই ঘুমিয়ে গেলেন তিনি। আমি আর তার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটালাম না। ওয়াজেদ মিয়াকে দেখার জন্য খুব একটা লোকজন আসছিলেন না। আমি দেখতে পাই কেবল একজন পুরুষ অ্যাটেনড্যান্ট তার দেখাশোনা করছে। আমি ওই অ্যাটেনড্যান্টকে জিজ্ঞেস করলাম ওয়াজেদের বিশেষ কোন সমস্যা রয়েছে কিনা। তিনি আমাকে জানান, এক ধরণের অস্বস্তি ও নিরাপত্তাহীনতাই ওয়াজেদ মিয়ার মূল সমস্যা। স্ত্রীকে গ্রেপ্তার ও কারাবন্দীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে আচরণ করে থাকে, সেই দুঃশ্চিন্তাই তার অসুস্থতার কারণ।

সবিশেষ স্বপ্নবান এক বিজ্ঞানীর কথা
সি.এস. করিম বিজ্ঞানী

পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম.এ. ওয়াজেদ মিয়াকে যখন প্রথম দেখি তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, তিনি তখন ঢাকার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের তরুণ, প্রাণবন্ত এক বিজ্ঞানী। আমি সেখানকার মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবস্থা ব্যবহার করছিলাম যা ছিল তৎকালীন পাকিস্তানে একমাত্র। এ প্রতিষ্ঠানটি সেসময়েই বিশ্বের নানা দেশের অনেক গবেষণাগারের ওপর সুদৃঢ় ছাপ ফেলেছে। কেন্দ্রটির বিজ্ঞানীদের আত্মনিবেদনে ওই সাফল্য সম্ভব হয়েছিল। সেইসব দিনে এখানকার এইসব উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং চমৎকার প্রাণবান মানুষগুলো জ্ঞানের আদান-প্রদান আর যৌথ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে কর্মদক্ষতার উন্নয়নে বিশ্বাসী ছিলেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওয়াজেদ মিয়াকে দেখে মনে হতো তিনি যেন ক্লান্তিহীন, বিজ্ঞানকে সামাজিক উন্নয়নে আরও অর্থবহ করে তোলার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন নতুন সুযোগের সন্ধানে মত্ত। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনে একজন উর্ধ্বতন সহকর্মী হিসেবে তাকে শেষ দিন দেখার কথা আমার এখনও মনে আছে � ১৯ ফেব্র"য়ারি ১৯৯৯, প্রতিষ্ঠানটিতে তার কাজের শেষদিন। ৩৬ বছরের কর্মস্থলের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সে দিনটিতেও তার কর্মোদ্যম একটুও স্তিমিত হতে দেখিনি। একটা মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি অবিচলভাবে প্রতিশ্র"ত থাকার এ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একটা উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়নের প্রেক্ষিত বিবেচনায় বিজ্ঞানচর্চা এবং বিজ্ঞানীদের অনেকে বাস্তবতা বর্জিত এবং অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। কিন্তু তিনি একদিন আমাকে বলেছিলেন, "একটা উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে সম্পদ অপ্রতুল সেখানে একমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিই জাতির জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে পারে।" তার জীবনের সবগুলো কর্মময় বছরই তিনি নিবেদন করেছেন বিজ্ঞান এবং তার পেছনের মানুষগুলোকে মহিমান্বিত করার কাজে। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনে ড. ওয়াজেদের চাকরির শেষ সময় পর্যন্ত বেশ কয়েক বছরের জন্য তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম আমি। প্রাথমিকভাবে ওই কাজ ছিল পরমাণু শক্তি চালু করার সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি এ নিয়ে লেগে ছিলেন। ভিয়েনায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা'র (আইএইএ) প্রধান ড. এল বারাদির সঙ্গে ১৯৯৮ সালে তার কথা বলার কথা মনে আছে আমার। তিনি পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশের প্রতিশ্র"তির বিষয়টি জোর দিয়ে বলেন। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পরমাণু শক্তি প্রকল্প চালুর বিষয়ে সহায়তা করতে এখানে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠাতে এল বারাদিকে অনুরোধ জানান তিনি। তার অনুরোধ গৃহীত হয়েছিল এবং সময়সীমা নির্ধারণ করে দুই পক্ষের কারা কখন কী করবে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনাসহ ঢাকায় একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তার একবছর পর আইএইএ একটি প্রশিক্ষণ কোর্সে অর্থায়ন করে। সম্ভবত সদস্য দেশগুলোকে দেওয়া এ ধরনের সহায়তার মধ্যে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ সহায়তা। তার ওই জোরালো অনুরোধ ছাড়া এ ধরনের একটি আয়োজন করতে কয়েক বছর লেগে যেতো। কঠোর পরিশ্রম করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সফলভাবে কাজ করার তার এরকম আরও বহু দৃষ্টান্ত আছে। ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন এক মেধাবী ব্যক্তিত্ব। তিনি কয়েকবছর আগে কোনো বিষয়ে তার দেওয়া মতামত বা মন্তব্য হুবহু মনে করতে পারতেন। তিনি যে দৃঢ় যুক্তি ও ধী শক্তি খাটিয়েই সিদ্ধান্ত নিতেন এটা তারই প্রমাণ। অনেকেই অল্পদিন আগের কথাও দ্রুত ভুলে যান কেননা তারা জোরালো যুক্তি কিংবা কোনো বিশদ বিশ্লেষণ ও অভিনিবেশ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে এমনটা কল্পনা করাও ছিল অসম্ভব। নিখুঁত ও ভ্রান্তিহীণ না হলে এবং দৃঢ় যৌক্তিকতা না থাকলে একজন বিজ্ঞানীর করা কাজকেও তিনি নাকচ করে দিতেন। তিনি দৃঢ়ভাবে এ চর্চায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞানে তিনি যা কিছু করেছেন তার সবই এ ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। তিনি সম্মিলিত সক্ষমতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন এবং আমাদের দেশের সম্ভাবনায় আস্থাবান ছিলেন। এর বেশিরভাগটাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। উন্নয়নে বিজ্ঞানের ভূমিকা এবং এ লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বে তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। একসময় তিনি বলেছিলেন, আমাদের চাহিদাকে মাথায় রেখে যথোপযুক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করাটা বিজ্ঞানীদের দায়িত্ব এবং অবশ্যই নীতিনির্ধারক পর্যায়ে বিজ্ঞান এবং উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। জ্বালানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা কিংবা শিল্পায়নের সঙ্কট নিরসনে পরমাণু বিজ্ঞানের অনেক সম্ভবনা দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। বিজ্ঞানের জ্ঞাননির্ভর একটি ভবিষ্যত সমাজ তার লক্ষ্য ছিল। ড. ওয়াজেদ মিয়া সাতটি পাঠ্যবই লিখেছিলেন, এরমধ্যে ছয়টিই ইতোমধ্যে প্রকাশিত। আমি যতোদূর শুনেছি, মারা যাওয়ার আগে সপ্তম বইটির সম্পাদনার কাজে ন্যস্ত ছিলেন তিনি। এজন্য তাকে যে কঠোর শ্রম দিতে হয়েছে তার সাক্ষী আমি। পাঠ্যবই হিসেবে এগুলো যেমন বিশদ তেমনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তত্ত্ব ও জ্ঞানের উপাদানে সমৃদ্ধ। তার যুক্তি ছিল স্পষ্ট। উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীরা একটি বিষয়ের জন্য অনেকগুলো পাঠ্যবই কেনার সামর্থ্য রাখে না। পাঠ্যক্রমের বাইরে আরও অগ্রসর হতে চাইলেই কেবল একজন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বই কিনবে। এই পাঠ্যবইগুলো তাই এমনভাবেই লেখা যা মোটামুটিভাবে বিশদ। আমি তাকে দুই একটি পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার কাজ করতে দেখেছিলাম। তিনি প্রত্যেকটি বাক্য, প্যারা দু'বার করে পড়তেন এবং সম্পাদনার কাজ করতেন। সাধারণত পেন্সিল, ইরেজার এমনকি রেজর ব্লেড দিয়েও তিনি নিজে হাতে কাটা বা ঘষামাজার কাজ করতেন। লেখা মনোঃপুত না হওয়া পর্যন্ত এই কষ্টসাধ্য কাজটি তিনি করে যেতেন। লেখা এবং সম্পাদনার মানের প্রশ্নে যতোদূর যাওয়া সম্ভব ততোদূর পর্যন্তই তার মনোনিবেশ এবং ধৈর্য্য ছিল। বিষয়টা এমন না যে তার অফুরন্ত সময় ছিল কিংবা কোনো ধরাবাঁধা লক্ষ্য ছিল না। বরং দিনে ও রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিরিক্ত শ্রম দিয়েই তিনি লক্ষ্যে পৌঁছতেন। ড. ওয়াজেদ তার সহকর্মীদের কার কাছ থেকে কী পেতে পারেন তা সঠিকভাবেই জানতেন এবং তাদের জন্য সে অনুযায়ীই পদক্ষেপ নিতেন। কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া সামান্য বিচ্যুতির জন্য মাশুল গুণতে হতো। তিনি ঠিক এক কি দু'বার শুধু তার দিকে তাকাতেন। আমার ভালো মনে নেই বিষয়টা তবে একবার আমি সম্ভবত একটি কাজ করতে বেশি সময় নিয়ে ফেলেছিলাম কিংবা কাজটা তার ঠিক পছন্দ হয়নি। কিছু একটা হবে। তার সেই বিখ্যাত তাকিয়ে থাকা এতটাই ভীতিকর ছিল যে তার হাত থেকে বাঁচতে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। আমি আমার খুবই ভাল এবং সহৃদয় এক বন্ধুকে দিয়ে তার কাছে ফাইলটি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু পালিয়ে থাকা গেল না। কেননা হৃদরোগের কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলেন এবং আমি তাকে দেখতে গেলাম। হাসপাতাল কক্ষ থেকে বেশিরভাগ দর্শনার্থীকে বের করে দিয়ে তিনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন এবং বললেন, "সি.এস. করিম (তিনি আমাকে এভাবেই ডাকতেন) তুমি কতক্ষণ পালিয়ে বেড়াবা। এই ফাইলগুলো নাও, আমি এরমধ্যেই ওগুলো সাইন করে রেখেছি।" তার ডেস্কে গেলে কোনো কিছু স্বাক্ষর করতে বড়জোর এক থেকে দু'দিন সময় নিতেন তিনি। বেশিরভাগ সময়ই সেসব ফিরে আসতো এক কি দুইটি মন্তব্যসহ যা দেখে এর গ্রহীতাকে এটা ভেবে পস্তাতে হতো যে আমি কীভাবে এমন একটা ভুল করলাম। ড. ওয়াজেদ মনে করতেন সমাজে বিজ্ঞানীদের যথাযথ অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে বিজ্ঞানীদের আগে নিজেদের কাজ করে যেতে হবে তারপরই কেবল জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গবেষণা ও উন্নয়ন (আর এন্ড ডি) প্রকল্পগুলো জাতীয় চাহিদা ও অগ্রাধিকারের বিবেচনায় গ্রহণ করার ওপর জোর দিতেন তিনি এবং বলতেন একজন বিজ্ঞানীকেই খুঁজে বের করতে হবে কোথায় তার সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। তিনি বিভিন্ন পেশাজীবী সংঘ ও সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেখানে তার অন্যতম প্রধান কাজ ছিল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করা। সম্ভবত এভাবে যা অর্জন করা গিয়েছিল তাতে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। বাকী কাজ অবশ্যই এগিয়ে নিতে হবে। এবং সে দায়িত্ব বিজ্ঞানীদের কাঁধেই বর্তায়। আমার এমন কোনো দৃষ্টান্ত জানা নেই যাতে এ দেশে কোনো বিজ্ঞানীকে সন্মান জানানো হয়েছে এমনকী ছোটো করে হলেও। ড. কুদরত-ই-খুদার নামে একটি সড়কের নামকরণই এর একমাত্র ব্যতিক্রম। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যও কি আমরা কিছু একটা করতে পারি না? আমরা কি এমন কিছু করতে পারি না যাতে এই বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের জন্যও অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে? শনিবার, ৯ মে ২০০৯ একজন স্বপ্নবান বিজ্ঞানী ড. এম.এ. ওয়াজেদ মিয়ার জীবন ও দৈনন্দিনতার অবসান হল। বিরল গুণাবলীসম্পন্ন, প্রতিশ্র"তিবদ্ধ এবং বহুমাত্রিক একজন বিজ্ঞানী চলে গেলেন। নিঃসন্দেহে আমরা শোকাহত। কিন্তু একইসঙ্গে এটা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অঙ্গীকার করারও সময়। আলোকবর্তিকা এখন নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের হাতে, ওই একই স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। অফুরান প্রাণশক্তি নিয়ে পূর্বসূরীরা একদিন যা শুরু করেছিলেন সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে পথ চলার জন্য।
MD.Juberi Khan( Koko)
Secretary-General,Bangladesh Chattro League,Gournadi Upazila Branch,Barisal.

On behalf of Bangladesh Chattro League of Gournadi Upazila Branch, Barisal. We are deeply shocked at the sad demise of the country’s eminent nuclear scientist and former Chairman of Bangladesh Atomic Energy Commission Dr. M.A. Wazed Miah. May Allah grant His Soul eternal peace.We also extend our heartfelt sympathy to the members of the bereaved family.

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা