Posts

Showing posts from January, 2011

*ইতিহাসের ধারাবাহিকতা ও জিয়া পরিবারের গন্তব্য কোথায়...?

*ইতিহাসের ধারাবাহিকতা ও জিয়া পরিবারের গন্তব্য কোথায়...? বেগম জিয়া বললেন "২৬ মার্চ জাতীয় জীবনে ঐতিহাসিক দিন। এদিনে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।"স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে বেগম জিয়ার এই নতুন বক্তব্য পড়ে হাসতে ইচ্ছা করলেও হাসতে পারলাম না। কারণ এতদিন জানতাম মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন এবং কোনদিন কারও কাছে শুনিনি যে জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরে বেগম জিয়া বললেন "২৬ মার্চ জাতীয় জীবনে ঐতিহাসিক দিন। এদিনে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। "****মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি চেতনা অন্তরে লালন করে থাকি। বাংলা আর বাঙালী ছাড়া অন্তরে আর কিছুই খুঁজে পাই না। বাংলা ভাষা, বাঙালিত্ব এই ধারণ করে স্বাধীনতার এই চল্লিশ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাস বিশ্লেষণ করে স্বাধীনতার ইতিহাসের কোথাও জিয়াউর রহমানের অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ সাল বাঙালীর স্বাধীনতা আর সংগ্রামের ইতিহাস। বাঙালীদের দীর্ঘ ২৩ বছরের এই সং

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : বিজয় পূর্ণতা পায় যেদিন

Image
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : বিজয় পূর্ণতা পায় যেদিন ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালি জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কাছে প্রায় ৯৩ হাজার পাকসেনার আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ২৬৬ দিনের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান হলো, অর্জিত হলো আমাদের কাঙিৰত বিজয়। সেদিন থেকেই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। ক্যালেন্ডারের পাতায় ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ শুধুই আমাদের, আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত প্রশিৰিত ও পেশাদার পাকসেনার বিপরীতে বাংলার আবালবৃদ্ধবনিতার লাঠি, তীর, ধনুক ও মান্ধাতার আমলের অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ নিতান-ই ছিল একটি অসম যুদ্ধ। যে বাঙালিকে তারা ভীর" ও কাপুর"ষ বলে তিরস্কার করতো, সৈনিক হিসেবে যে বাঙালিকে কখনই উপযুক্ত বলে মনে করতো না সেই বাঙালি জাতি যে তাদেরকে পরাজিত করে বিশ্ব দরবারে বীরের জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে তা তাদের বোধগম্য ছিল না। বাঙালির এ বীরত্বের কাহিনী তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বিশ্ববাসীকে। বাঙালি তাদের এ অসাধ্য সাধনের মূলমন্ত্র মূলত খুঁজে পেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে। তর্জনী উঁচিয়ে সেদিন তিনি উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন প্রতিটি বাঙালিকে। বজ্রকণ্ঠ নামে খ্যাত ঐতিহাসিক এ

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Image
জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ জানুয়ারি বৃহষ্পতিবার ঢাকায় বর্তমান সরকারের দু‘বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম প্রিয় দেশবাসী, আস্‌সালামু আলাইকুম। ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা নিন। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে বিজয়ী করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করি। আজ সরকারের দুই বছর পূর্ণ হল। এ সময় সরকার পরিচালনায় সহযোগিতা করার জন্য আমি আপনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতীয় ৪-নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানের প্রতি। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা পেয়েছি। আমি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রত

আজ ছাত্রলীগের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আজ ছাত্রলীগের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী গৌরব আর ঐতিহ্যে ছাত্রলীগের ৬৪ বছরে পদার্পণ। আজ মঙ্গলবার ছাত্রলীগের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ-নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং বাঙালি জাতির ভাষা, সংস্কৃতি ও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লৰ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে নানান আন্দোলনের মাধ্যমে সংগঠনটি গৌরব ও ঐতিহ্য লাভ করে। সংগঠনটি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তি ও '৯০-এর গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির মূলমন্ত্র নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি স্বাধিকার আন্দোলন শুরু করে। '৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। '৫৪ এর সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুক্তফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত ক