দুর্নীতি দমনের নামে কাউকে যেন হয়রনি না করা হয়: প্রধানমন্ত্রী


দুর্নীতি দমনের নামে কাউকে যেন হয়রনি না করা হয়: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, মে ০৪ (টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি দমনের নামে কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর সংশোধনী নিয়ে আলোচনার সময় তিনি একথা বলেন বলে বৈঠক শেষে তার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান। (আরও তথ্যসহ) প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- "সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে কার্যকর ও শক্তিশালী করতে চায়। কারণ দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে। তবে ইতোপূর্বে যা হয়েছে তা যেন না হয়। দুর্নীতির নামে অন্যায়ভাবে, অযাচিতভাবে কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়।" তিনি জানান, ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ সংশোধনের জন্য উত্থাপন করা হয়। কিন্তু কেন এতো দেরিতে উত্থাপন করা হলো তার ব্যাখ্যা চেয়ে তা ফেরত পাঠানো হয়। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের ব্যাখ্যায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে- আইনের বাস্তব প্রয়োগের সময় এর দুর্বল দিকগুলো ধরা পড়ে। কমিশনের প্যানেল আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সংশোধনী প্রস্তাব আনতে বিলম্ব হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ জানান, বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- কমিশন আইনের তফশিলে বর্ণিত দণ্ডবিধির ৪০৮ ধারা বিলুপ্ত হবে। ২৬ ধারায় সহায়-সম্পত্তির প্রশ্নে কমিশন তদন্ত করবে। এ জায়গায় তদন্ত শব্দের পরিবর্তে অনুসন্ধান হবে। কমিশনের দায়ের করা যে কোনো মামলা বা কার্যক্রমের যে কোনো পর্যায়ে আদালতে কেউ প্রতিকার চাইলে কমিশনকে পক্ষভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে কেউ জামিন বা প্রতিকার চাইলে কমিশনকে সঙ্গত সময় দিয়ে শুনানি করতে হবে। আইনের ২৩ (২) ধারার পর ২৩ (৩) ধারা সংযোজনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া কমিশন অনুসন্ধান বা তদন্তের সময় সরকার বা সরকারের অধীন যে কোনো সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের দক্ষ অভিজ্ঞ ও পারদর্শী কর্মকর্তাদের কমিশনে সংযুক্ত করতে চাইলে উক্ত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ কমিশনকে সহযোগিতা করবে বলেও সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদনে বলা হয়েছে।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

Justice order of the day