স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পালানোর কোন কারণ! শপথ নিয়ে অভিমানী বালকের আচরণ
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পালানোর কোন কারণ! শপথ নিয়ে অভিমানী বালকের আচরণ
নঈম নিজাম:
মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। অপমান করেছেন জনগণের দেয়া ভোটকে। রাজনীতি ও সরকার নিয়ে অভিমানী বালকের মতো কাণ্ডের অধিকার আপনার নেই। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন বলেছেন, ‘কোনো মানুষ যখন গণআস্থা পরিগ্রহণ করে, তখন তার উচিত নিজেকে জনগণের সম্পদ মনে করা।’ আর রোনাল্ড রিগ্যান বলেছেন, ‘জনগণকে বিশ্বাস করো-সেটাই ইতিহাসের সবচে জরুরি শিক্ষা’। আপনি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেননি। নিজেকে জনগণের সম্পদও মনে করেননি। বরং আপনার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন। বিব্রত করেছেন সরকারকে।
মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আপনার পিতা তাজউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহানায়ক। তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোদ্ধা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সঙ্গে আপনার মিলছে না। ভালো কথা। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ডেকে নিয়েছেন। ধৈর্য ধরতে বলেছেন। আপনি কারো কথা শুনলেন না। অভিমানী বালকের মতো পালিয়ে গেলেন। তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে এভাবে পালাতে পারে না। আপনি জনগণের সামনে নিজেকে, তাজউদ্দিন আহমেদকে খাটো করেছেন। রাজনীতি কানামাছি খেলা নয়। পছন্দ হয়নি বলে না খেলে পালিয়ে যাবো।
মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে জানি। আপনার স্মার্টনেস আমাকে মুগ্ধ করে। এটিএন বাংলার অনেক টক-শোতে আপনি অংশ নিয়েছেন আমার আমন্ত্রণে। ২০০৫ সালের নভেম্বরে আপনি, আমি দিলিস্ন গিয়েছিলাম আজকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। হোটেল ইমপিরিয়ালে কিংবা আজমিরে আপনার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। বঙ্গভবনে শপথ নেয়ার পর আপনাকে অভিনন্দন জানালাম। আপনি বুক মিলিয়ে জবাব দিলেন। আপনার আনৱরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে। আমার বিশ্বাস ছিল সততা, নিষ্ঠা, আনৱরিকতা, পরিশ্রম ও দক্ষতায় সোহেল তাজ হবেন দেশসেরা মন্ত্রী। অনেক পুলিশ অফিসার বন্ধুর মুখে আপনার প্রশংসা শুনে ভালো লাগতো। কিন্তু হঠাৎ কী থেকে কী হয়ে গেলো?
মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আপনি নিজেও জানেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সীমাবদ্ধতার কথা। তার আচরণে, কথায় এত অভিমানের কী আছে? আপনি শপথ নিয়েছেন প্রজাতন্ত্রের কাছে। দায়বদ্ধ দেশের জনগণের কাছে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ভালো জানেন। স্নেহ করেন। অভিমান করবেন কার ওপর? গাজীপুর আপনার পিতার আসনের মানুষ আপনাকে নির্বাচিত করেছে। তাদের অনেক আশা-ভরসা। আপনার আচরণে তারা কি হতাশ হননি? আমি শুধু কাপাসিয়ার মানুষের কথা বলবো না। সারা বাংলাদেশে রয়েছে আপনার মুগ্ধ অনেক ভক্ত। যারা আপনাকে ভালোবাসে। আপনার পিতাকে ভালোবাসে। আপনার আচরণে তারা কি কষ্ট পাননি?
অভিমানী আচরণ আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। ইতিহাস নির্মম। একই পুনরাবৃত্তি বারবার। সবশেষে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের উপমা টানছি। লুথার কিং বলেছেন, ‘জীবনের সবচে নাছোড় এবং জরুরি প্রশ্ন হলো তুমি অন্যদের জন্য কী করছো?’ দায়িত্ব নিয়ে আপনি কতটা পালন করেছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের মূল্য আপনি দেননি। নিজেকে শুধু নয়- বঞ্চিত করেছেন দেশের মানুষকে। কাপাসিয়ার জনগণকে। প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সরকারকে। তার চেয়ে বেশি আপনার নিজেকে।
মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। অপমান করেছেন জনগণের দেয়া ভোটকে। রাজনীতি ও সরকার নিয়ে অভিমানী বালকের মতো কাণ্ডের অধিকার আপনার নেই। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন বলেছেন, ‘কোনো মানুষ যখন গণআস্থা পরিগ্রহণ করে, তখন তার উচিত নিজেকে জনগণের সম্পদ মনে করা।’ আর রোনাল্ড রিগ্যান বলেছেন, ‘জনগণকে বিশ্বাস করো-সেটাই ইতিহাসের সবচে জরুরি শিক্ষা’। আপনি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেননি। নিজেকে জনগণের সম্পদও মনে করেননি। বরং আপনার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন। বিব্রত করেছেন সরকারকে।
মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আপনার পিতা তাজউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহানায়ক। তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোদ্ধা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সঙ্গে আপনার মিলছে না। ভালো কথা। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ডেকে নিয়েছেন। ধৈর্য ধরতে বলেছেন। আপনি কারো কথা শুনলেন না। অভিমানী বালকের মতো পালিয়ে গেলেন। তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে এভাবে পালাতে পারে না। আপনি জনগণের সামনে নিজেকে, তাজউদ্দিন আহমেদকে খাটো করেছেন। রাজনীতি কানামাছি খেলা নয়। পছন্দ হয়নি বলে না খেলে পালিয়ে যাবো।
মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে জানি। আপনার স্মার্টনেস আমাকে মুগ্ধ করে। এটিএন বাংলার অনেক টক-শোতে আপনি অংশ নিয়েছেন আমার আমন্ত্রণে। ২০০৫ সালের নভেম্বরে আপনি, আমি দিলিস্ন গিয়েছিলাম আজকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। হোটেল ইমপিরিয়ালে কিংবা আজমিরে আপনার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। বঙ্গভবনে শপথ নেয়ার পর আপনাকে অভিনন্দন জানালাম। আপনি বুক মিলিয়ে জবাব দিলেন। আপনার আনৱরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে। আমার বিশ্বাস ছিল সততা, নিষ্ঠা, আনৱরিকতা, পরিশ্রম ও দক্ষতায় সোহেল তাজ হবেন দেশসেরা মন্ত্রী। অনেক পুলিশ অফিসার বন্ধুর মুখে আপনার প্রশংসা শুনে ভালো লাগতো। কিন্তু হঠাৎ কী থেকে কী হয়ে গেলো?
মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আপনি নিজেও জানেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সীমাবদ্ধতার কথা। তার আচরণে, কথায় এত অভিমানের কী আছে? আপনি শপথ নিয়েছেন প্রজাতন্ত্রের কাছে। দায়বদ্ধ দেশের জনগণের কাছে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ভালো জানেন। স্নেহ করেন। অভিমান করবেন কার ওপর? গাজীপুর আপনার পিতার আসনের মানুষ আপনাকে নির্বাচিত করেছে। তাদের অনেক আশা-ভরসা। আপনার আচরণে তারা কি হতাশ হননি? আমি শুধু কাপাসিয়ার মানুষের কথা বলবো না। সারা বাংলাদেশে রয়েছে আপনার মুগ্ধ অনেক ভক্ত। যারা আপনাকে ভালোবাসে। আপনার পিতাকে ভালোবাসে। আপনার আচরণে তারা কি কষ্ট পাননি?
অভিমানী আচরণ আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। ইতিহাস নির্মম। একই পুনরাবৃত্তি বারবার। সবশেষে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের উপমা টানছি। লুথার কিং বলেছেন, ‘জীবনের সবচে নাছোড় এবং জরুরি প্রশ্ন হলো তুমি অন্যদের জন্য কী করছো?’ দায়িত্ব নিয়ে আপনি কতটা পালন করেছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের মূল্য আপনি দেননি। নিজেকে শুধু নয়- বঞ্চিত করেছেন দেশের মানুষকে। কাপাসিয়ার জনগণকে। প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সরকারকে। তার চেয়ে বেশি আপনার নিজেকে।