ইরাক যুদ্ধে ১৩ লাখ সাধারণ মানুষ হত্যা
ইরাক যুদ্ধে ১৩ লাখ সাধারণ মানুষ হত্যা
বাগদাদ থেকে মার্কিন সেনাদের বিদায়ে ইরাকিদের উল্লাস
বাগদাদ থেকে মার্কিন সেনাদের বিদায়ে ইরাকে ৬ বছরের বিদেশী সেনা দখলদারিত্ব অবসানের আশায় উল্লাস করেছে ইরাকিরা। মার্কিন সেনারা সোমবার বিকালের মধ্যে বাগদাদ ছেড়ে গেছে। ইরাকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপড়্গীয় চুক্তির আওতায় গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যেই ইরাকের বিভিন্ন শহর ও নগরী থেকে সরে যেতে হবে মার্কিন সেনাদের। এরপর ২০১২ সালের মধ্যে ইরাক থেকে পুরোপুরি বিদায় নিতে হবে তাদের। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল ইন স্টাফ আব্বুদ কানবার জানান, সোমবার বিকেলের মধ্যেই সব মার্কিন সেনা বাগদাদ ছেড়ে চলে গেছে। অন্য এক ইরাকি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাগদাদের বাইরের নগরীগুলোর কিছু ইউনিট চলে যাবে একেবারে শেষ মুহূর্তে। মার্কিন সেনাদের বিদায়লগ্নে যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত গাড়িগুলোতে ইরাকের পতাকা আর ফুল দিয়ে সাজিয়ে ইরাকি সেনারা রাস্তায় রাস্তায় প্যারেড করেছে। জয়ধ্বনি তুলে নেচে গেয়ে উলস্নাস করে তারা। সেনা প্রত্যাহারের কারণে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকলেও বহু ইরাকিকেই এ ঘটনা অনুপ্রাণিত করেছে। বাগদাদের কারাদা জেলার আইসক্রিম বারের মালিক আহমেদ হামিদ (৩৮) বলেন, আমেরিকান বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়টি এমন একটি ব্যাপার যার জন্য প্রত্যেক ইরাকি অপেড়্গা করেছিল। নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো থেকে সবাই। ৩০ জুন আমার কাছে অনেকটা বিয়েবাড়ির মতো আনন্দদায়ক।সম্প্রতি মিসরে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ইরাকে ফেরা হামিদ আরও বলেন, ইরাকের নিরাপত্তা রড়্গায় যে ইরাকিরা সড়্গম এ তারই প্রমাণ। ইরাক সরকার ৩০ জুনকে ‘জাতীয় সার্বভৌম দিবস’ উল্লেখ করে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছে। ইরাকি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকি বলেছেন, আমাদের সার্বভৌমত্ব শুরু হলো এবং এখন আমাদের উচিত একটি আধুনিক রাষ্ট্র গড়ার পথে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অর্জন করেছি তার সুফল ভোগ করা। কিন্তু ইরাক যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৩ লাখের ও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যারা ছিলেন সম্পূর্ণ নিরাপরাধ সাধারণ মানুষ। ওদিকে পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রায়ান হুইটম্যান বলেছেন, ৩০টি ঘাঁটির দায়িত্ব এখনো বুঝিয়ে দেয়ার বাকি। ইরাকে এখনো রয়ে গেছে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন সেনা।