শোকাহত ব্রিটিশ সৈন্যরা তাদের সতীর্থদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন
আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনীতে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে
শোকাহত ব্রিটিশ সৈন্যরা তাদের সতীর্থদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন
শোকাহত ব্রিটিশ সৈন্যরা তাদের সতীর্থদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন
আফগানিস্তানের দক্ষিণে হেলমন্দ প্রদেশে তালেবান বিদ্রোহীদের দমন করতে আন্তর্জাতিক বাহিনী ১০ দিন আগে নতুন উদ্যমে অভিযান শুরু করলেও সহিংসতা বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
রবিবার আফগানিস্তানের দক্ষিণে বোমা হামলায় ন্যাটো বাহিনীর ৪ মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে৷ এদিকে গত মাসে বোমার আঘাতে আহত এক সৈন্যের আজ মৃত্যু হয়েছে৷ মার্কিন ও ব্রিটিশ সৈন্যদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা বেড়েই চলেছে৷ গত সোমবার আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৭ জন মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে৷ হেলমন্দ প্রদেশে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে মাত্র ১০ দিনে ১৫ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়েছে৷ এই প্রবণতার ফলে বিশেষ করে ব্রিটেনে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন৷ আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে তিনি ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা টেলিভিশনে বার বার বক্তব্য রাখছেন৷ হেলমন্দের রণভূমি শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের ভিয়েতনাম হয়ে উঠতে পারে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে ব্রাউন বলেন, অভিযানের ফলে ইতিমধ্যেই সাফল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ তবে হেলমন্দে অভিযানের কারণে নয়, ব্রাউনের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, যে এমন অভিযানের জন্য যে ধরণের সাজ-সরঞ্জামের প্রয়োজন, তার কোনো ব্যবস্থা করা হয় নি৷ বিরোধী রক্ষণশীল দলের সদস্য ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী টম কিং বলেন, এমন অভিযানে যত সংখ্যক হেলিকপ্টারের প্রয়োজন, সেই তুলনায় অনেক কম হেলিকপ্টার কাজে লাগানো হচ্ছে৷ সরকার অবশ্য এই অভিযোগ খণ্ডন করে বলেছে, আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনী চাহিদা অনুযায়ী সব রকম সরঞ্জামই পেতে পারে৷
আফগানিস্তানে ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ‘স্কাই নিউজ’ টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, ব্রিটেনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান আমেরিকা ও ইউরোপ – দুই পক্ষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা আমেরিকার তুলনায় হয়ত বেশী, বলেন ওবামা৷ একারণেই টোনি ব্লেয়ার ও গর্ডন ব্রাউন – দুই নেতাই আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান সম্পর্কে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন৷ আন্তর্জাতিক বাহিনী তালেবান বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করতে পেরেছে বটে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পথ অত্যন্ত দীর্ঘ, বলেন ওবামা৷ তাছাড়া অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ন্যাটো দেশগুলির তাদের কৌশল নতুন করে খতিয়ে দেখা উচিত৷
রবিবার আফগানিস্তানের অন্যান্য অংশে হামলা ও সংঘর্ষের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে৷ এর মধ্যে দক্ষিণের উরুসগান প্রদেশের রাজধানী তারিন কোটে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী আইসাফ ও আফগান বাহিনী গোপন তালেবান ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে ১২ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে৷ এছাড়া লোগার ও কুনার প্রদেশ থেকেও কিছু হিংসাত্মক ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে৷
রবিবার আফগানিস্তানের দক্ষিণে বোমা হামলায় ন্যাটো বাহিনীর ৪ মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে৷ এদিকে গত মাসে বোমার আঘাতে আহত এক সৈন্যের আজ মৃত্যু হয়েছে৷ মার্কিন ও ব্রিটিশ সৈন্যদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা বেড়েই চলেছে৷ গত সোমবার আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৭ জন মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে৷ হেলমন্দ প্রদেশে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে মাত্র ১০ দিনে ১৫ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়েছে৷ এই প্রবণতার ফলে বিশেষ করে ব্রিটেনে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন৷ আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে তিনি ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা টেলিভিশনে বার বার বক্তব্য রাখছেন৷ হেলমন্দের রণভূমি শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের ভিয়েতনাম হয়ে উঠতে পারে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে ব্রাউন বলেন, অভিযানের ফলে ইতিমধ্যেই সাফল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ তবে হেলমন্দে অভিযানের কারণে নয়, ব্রাউনের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, যে এমন অভিযানের জন্য যে ধরণের সাজ-সরঞ্জামের প্রয়োজন, তার কোনো ব্যবস্থা করা হয় নি৷ বিরোধী রক্ষণশীল দলের সদস্য ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী টম কিং বলেন, এমন অভিযানে যত সংখ্যক হেলিকপ্টারের প্রয়োজন, সেই তুলনায় অনেক কম হেলিকপ্টার কাজে লাগানো হচ্ছে৷ সরকার অবশ্য এই অভিযোগ খণ্ডন করে বলেছে, আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনী চাহিদা অনুযায়ী সব রকম সরঞ্জামই পেতে পারে৷
আফগানিস্তানে ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ‘স্কাই নিউজ’ টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, ব্রিটেনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান আমেরিকা ও ইউরোপ – দুই পক্ষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা আমেরিকার তুলনায় হয়ত বেশী, বলেন ওবামা৷ একারণেই টোনি ব্লেয়ার ও গর্ডন ব্রাউন – দুই নেতাই আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান সম্পর্কে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন৷ আন্তর্জাতিক বাহিনী তালেবান বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করতে পেরেছে বটে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পথ অত্যন্ত দীর্ঘ, বলেন ওবামা৷ তাছাড়া অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ন্যাটো দেশগুলির তাদের কৌশল নতুন করে খতিয়ে দেখা উচিত৷
রবিবার আফগানিস্তানের অন্যান্য অংশে হামলা ও সংঘর্ষের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে৷ এর মধ্যে দক্ষিণের উরুসগান প্রদেশের রাজধানী তারিন কোটে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী আইসাফ ও আফগান বাহিনী গোপন তালেবান ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে ১২ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে৷ এছাড়া লোগার ও কুনার প্রদেশ থেকেও কিছু হিংসাত্মক ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে৷