সীমান্তে হত্যা বন্ধের প্রতিশ্র"তি বিএসএফের
সীমান্তে হত্যা বন্ধের প্রতিশ্র"তি বিএসএফের
ঢাকা, জুলাই ১৪ টোয়েন্টিফোর ডটকম- সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধের প্রতিশ্র"তি দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ঢাকায় তিনদিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনে এ প্রতিশ্র"তি দেওয়া হয়। মহাপরিচালক পর্যায়ের এ সম্মেলন মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। ভারতে থাকা ১ হাজার ২২৭ জন সন্ত্রাসী ও জঙ্গির একটি তালিকা বিএসএফকে দিয়েছে বিডিআর। অপর দিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বা কারাগারের আটক রয়েছে জানিয়ে ৭৭ জনের একটি তালিকা দিয়েছে বিএসএফ। পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সম্মেলনের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিএসফ মহাপরিচালক মহেন্দ্র লাল কুমাওয়াত বলেন, "সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ভারতের সীমান্ত এলাকায় কার্ফু থাকে। আর যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে তার মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগই রাতে ঘটছে। তবে এসব হত্যাকাণ্ড কমে আসবে।" বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম বলেন, "সীমান্ত এলাকায় যারা বসবাস করেন, তাদের অধিকাংশই নিরীহ। তাদের সচেতন করার প্রয়োজন রয়েছে।" সংবাদ সম্মেলনের আগে বিডিআর এবং বিএসএফ প্রধান যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষর শেষে পরস্পরকে কপি হস্তান্তর করেন। বিডিআর এবং বিএসএফ প্রধান জানান, দুই দেশে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসী, জঙ্গী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তালিকা পরস্পরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা জানান, ভারতে আশ্রয় নেওয়া বা কারাগারে আটক ১ হাজার ২২৭ জন সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের একটি তালিকা বিএসএফকে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে বিএসএফও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বা কারাগারের আটক রয়েছে জানিয়ে ৭৭ জনের একটি তালিকা দিয়েছে। এসব তালিকা সংশ্লিষ্ট দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে তারা জানান। ভারতের দেওয়া তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- উলফার চেয়ারম্যান রাজ খোয়া, উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া, বাংলাদেশের কারাগারে আটক উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া, দেব বর্মা, জীবন সিংহ প্রমুখ। বাংলাদেশের তালিকায় রয়েছে, বিহারের জেলে আটক জঙ্গি দুই ভাই মুরসালিন এবং মুত্তাকিন, মহিবুল, আনিসুল, জেহাদ প্রমুখ। সীমান্তে যৌথ টহলের বিষয়ে বিএসএফ'র একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিডিআর মহাপরিচালক বলেন, "যৌথ টহল মানে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনী একত্রিত হয়ে টহল দেবে তা নয়। একইসঙ্গে নিজ নিজ দেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে টহল দিতে পারে।" রোববার বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এ সম্মেলন শুরু হয়। বিডিআর বিদ্রোহের পর মহাপরিচালক পর্যায়ের এটিই প্রথম সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আর ভারতের পক্ষে ছিল এম এল কুমাওয়াতের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি দল।
ঢাকা, জুলাই ১৪ টোয়েন্টিফোর ডটকম- সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধের প্রতিশ্র"তি দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ঢাকায় তিনদিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনে এ প্রতিশ্র"তি দেওয়া হয়। মহাপরিচালক পর্যায়ের এ সম্মেলন মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। ভারতে থাকা ১ হাজার ২২৭ জন সন্ত্রাসী ও জঙ্গির একটি তালিকা বিএসএফকে দিয়েছে বিডিআর। অপর দিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বা কারাগারের আটক রয়েছে জানিয়ে ৭৭ জনের একটি তালিকা দিয়েছে বিএসএফ। পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সম্মেলনের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিএসফ মহাপরিচালক মহেন্দ্র লাল কুমাওয়াত বলেন, "সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ভারতের সীমান্ত এলাকায় কার্ফু থাকে। আর যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে তার মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগই রাতে ঘটছে। তবে এসব হত্যাকাণ্ড কমে আসবে।" বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম বলেন, "সীমান্ত এলাকায় যারা বসবাস করেন, তাদের অধিকাংশই নিরীহ। তাদের সচেতন করার প্রয়োজন রয়েছে।" সংবাদ সম্মেলনের আগে বিডিআর এবং বিএসএফ প্রধান যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষর শেষে পরস্পরকে কপি হস্তান্তর করেন। বিডিআর এবং বিএসএফ প্রধান জানান, দুই দেশে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসী, জঙ্গী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তালিকা পরস্পরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা জানান, ভারতে আশ্রয় নেওয়া বা কারাগারে আটক ১ হাজার ২২৭ জন সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের একটি তালিকা বিএসএফকে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে বিএসএফও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বা কারাগারের আটক রয়েছে জানিয়ে ৭৭ জনের একটি তালিকা দিয়েছে। এসব তালিকা সংশ্লিষ্ট দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে তারা জানান। ভারতের দেওয়া তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- উলফার চেয়ারম্যান রাজ খোয়া, উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া, বাংলাদেশের কারাগারে আটক উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া, দেব বর্মা, জীবন সিংহ প্রমুখ। বাংলাদেশের তালিকায় রয়েছে, বিহারের জেলে আটক জঙ্গি দুই ভাই মুরসালিন এবং মুত্তাকিন, মহিবুল, আনিসুল, জেহাদ প্রমুখ। সীমান্তে যৌথ টহলের বিষয়ে বিএসএফ'র একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিডিআর মহাপরিচালক বলেন, "যৌথ টহল মানে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনী একত্রিত হয়ে টহল দেবে তা নয়। একইসঙ্গে নিজ নিজ দেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে টহল দিতে পারে।" রোববার বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এ সম্মেলন শুরু হয়। বিডিআর বিদ্রোহের পর মহাপরিচালক পর্যায়ের এটিই প্রথম সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আর ভারতের পক্ষে ছিল এম এল কুমাওয়াতের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি দল।