আজ তাজউদ্দিন আহমদের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী
আজ তাজউদ্দিন আহমদের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী
।। ইত্তেফাক রিপোর্ট ।।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জননেতা তাজউদ্দীন আহমদের আজ বৃহস্পতিবার ৮৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার অদূরে কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাজউদ্দীন আহমদ ছাত্র জীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে এদেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে তার প্রতিটিতে তিনি গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদের তিনি একজন। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ঐ বছরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। ৬ দফার অন্যতম রূপকার ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭০ সালে পাকিসৱানের নির্বাচনের পর সামরিক শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ৰমতা হসৱানৱর না করলে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে শুরম্ন হয় অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনায় তাজউদ্দীন আহমদ যথেষ্ট সাংগঠনিক দৰতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। এরপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিসৱান সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর শুরম্ন করে একতরফা গণহত্যাযজ্ঞ। শুরম্ন হয় বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর অনুপসি'তিতে তখন নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদের ওপর। ১৯৭১ সালে এক চরম সংকটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাকিসৱানের বিরম্নদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যনৱ তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৰমতা দখলকারী ঘাতকচক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করে। পরে তাকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়। বন্দি থাকা অবস'ায় তাকে এবং আরো তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানার অভ্যনৱরে একই বছরের ৩ নভেম্বর ঘাতকচক্র নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। আমাদের কাপাসিয়া সংবাদদাতা জানান, দিবসটি উপলৰে তার জন্মস'ানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কাঙ্গালীভোজ, মিলাদ মাহফিল, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, তবারক বিতরণ প্রভৃতি।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জননেতা তাজউদ্দীন আহমদের আজ বৃহস্পতিবার ৮৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার অদূরে কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাজউদ্দীন আহমদ ছাত্র জীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে এদেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে তার প্রতিটিতে তিনি গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদের তিনি একজন। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ঐ বছরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। ৬ দফার অন্যতম রূপকার ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭০ সালে পাকিসৱানের নির্বাচনের পর সামরিক শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ৰমতা হসৱানৱর না করলে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে শুরম্ন হয় অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনায় তাজউদ্দীন আহমদ যথেষ্ট সাংগঠনিক দৰতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। এরপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিসৱান সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর শুরম্ন করে একতরফা গণহত্যাযজ্ঞ। শুরম্ন হয় বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর অনুপসি'তিতে তখন নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদের ওপর। ১৯৭১ সালে এক চরম সংকটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাকিসৱানের বিরম্নদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যনৱ তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৰমতা দখলকারী ঘাতকচক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করে। পরে তাকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়। বন্দি থাকা অবস'ায় তাকে এবং আরো তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানার অভ্যনৱরে একই বছরের ৩ নভেম্বর ঘাতকচক্র নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। আমাদের কাপাসিয়া সংবাদদাতা জানান, দিবসটি উপলৰে তার জন্মস'ানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কাঙ্গালীভোজ, মিলাদ মাহফিল, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, তবারক বিতরণ প্রভৃতি।