বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা চূড়ানৱ নিষ্পত্তির উদ্যোগ
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির উদ্যোগ শীঘ্রই আপিলের শুনানি শুরু হবে ঃ আইনমন্ত্রী
।। দিদারম্নল আলম ।।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার চূড়ানৱ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এই লৰ্যে চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে চারজন বিচারপতি। হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত বিচারপতিগণের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী এই নিয়োগ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি মো: জিলস্নুর রহমান সংবিধানের ৯৪(২) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ৰমতাবলে আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা ৭ থেকে উন্নীত করে ১১-তে নির্ধারণ করেছেন। সংবিধানের সংশিস্নষ্ট অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, প্রধান বিচারপতি (যিনি“বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি” নামে অভিহিত হইবেন) এবং প্রত্যেক বিভাগে আসন গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতি যেরূপ সংখ্যক বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনবোধ করিবেন, সেইরূপ সংখ্যক অন্যান্য বিচারক লইয়া সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হইবে। বর্তমানে আপিল বিভাগে ৭ জন বিচারপতি কর্মরত রয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে আরো চারজন বিচারক নিয়োগের পর এই হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির নিয়মিত আপিল শুনানির উদ্যোগ নিতে সরকারের পৰ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অনুরোধ করা হবে। ইতিমধ্যে বিচারপতি নিয়োগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ পাঁচ বিচারপতির নাম সুপারিশ করা হয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয়ের সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়। রাষ্ট্রপতি এদের মধ্য থেকে চারজনকে নিয়োগ দিবেন। চলতি সপ্তাহে এই নিয়োগ দেয়া হবে বলে ইত্তেফাককে জানান আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, আশা করছি বিচারক নিয়োগের পর সহসাই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার নিয়মিত আপিলের শুনানি শুরম্ন ও তা নিষ্পত্তি করা যাবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর ৩৩ বছর পেরিয়ে গেছে। আরো একটি বছর পার হতে যাচ্ছে। তবুও এই মামলার বিচার কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতির অভাবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির নিয়মিত আপিলের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে এক বছরের অধিককাল। ২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরম্নদ্ধে আসামিদের দায়ের করা লিভ-টু আপিল মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ। এরপর আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অর্থাৎ একই বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে তারা সুপ্রিম কোর্টের সংশিস্নষ্ট শাখায় নিয়মিত আপিল করেন। ঐ সময় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতি থাকার পরও সরকার এবং আসামিপৰ উদ্যোগ গ্রহণ না করায় আপিল শুনানি শুরম্ন করা সম্ভব হয়নি। এরপর ২০০৮ সালের মে মাসে আপিল বিভাগের বিচারপতি মোঃ হাসান আমীন অবসরে যান। ফলে পুনরায় বেঞ্চ পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতির অভাব দেখা দেয়।
নিয়ম অনুযায়ী আপিল বিভাগের তিনজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কোন মামলার আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের প্রচলিত বিধান অনুযায়ী কোন মামলা হাইকোর্ট বিভাগে শুনানির পর সেই বিচারপতি আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলে তিনি আপিল বিভাগে উক্ত মামলা শুনানি করতে পারবেন না। কিনৱু মহাজোট সরকার ৰমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই আপিল বিভাগে দুইজন বিচারপতি নিয়োগ দেয়ায় বিচারকের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৭ এ। বর্তমানে আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারপতি এম তাফাজ্জল ইসলাম, বিচারপতি মোঃ জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান ও বিচারপতি মোঃ আব্দুল আজিজ এই হত্যা মামলার শুনানি গ্রহণ করার জন্য উপযুক্ত। কিন্তুু আপিল বিভাগে মামলা জট থাকায় নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার পরও নিয়মিত আপিলের শুনানি শুরম্ন করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার।
সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এই হত্যা মামলার বিষয়ে শুক্রবার ইত্তেফাককে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার ত্বরান্বিত করা ও মামলা জট নিরসনে আপিল বিভাগে এই সপ্তাহে চারজন বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি নিয়োগ দিবেন। তিনি বলেন, বিচারক নিয়োগ হওয়ার পর সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারাধীন আপিলের দ্রম্নত নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য এটর্নি জেনারেলকে বলা হবে। এছাড়া মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার ৰেত্রে সরকারের ভূমিকা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের ফিরিয়ে আনতে বর্তমান মহাজোট সরকার সবসময় সচেষ্ট।
আসামিপৰের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আব্দুলস্নাহ আল-মামুন বলেন, আসামিদের লিভ-টু-আপিল মঞ্জুরের পর আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে নিয়মিত আপিল দায়ের করেছি। আপিল শুনানির জন্য প্রসৱুত। ইতিপূর্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক থাকার পরও আপিলের শুনানি হয়নি। তিনি বলেন, লিভ-টু-আপিল শুনানির জন্য ইতিপূর্বে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। যেহেতু বেঞ্চ গঠিত হয়ে আছে, সেহেতু নিয়ম অনুযায়ী যারা নতুন বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তাদের মধ্য থেকে একজন মামলা শুনানির জন্য উক্ত বেঞ্চে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতি নতুন করেও বেঞ্চ গঠন করে দিতে পারেন। তিনি বলেন, নিয়মিত আপিলের উপর শুনানি গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করা হলে এই মামলার চূড়ানৱ নিষ্পত্তি হবে।
পিছনে ফিরে দেখা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের নয় সদস্যকে হত্যার অভিযোগে ২৩ জনকে আসামি করে ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ১৫ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় প্রদান করেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ গোলাম রসুল। রায়ের বিরম্নদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। বিচারপতি মোঃ রম্নহুল আমিন ও বিচারপতি এবিএম খায়রম্নল হককে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় প্রদান করেন। পরে তৃতীয় আদালতের বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দী পাঁচ আসামি লিভ-টু আপিল দায়ের করেন। তারা হচ্ছেন: অবসরপ্রাপ্ত লে.কর্নেল (বরখাসৱ) সৈয়দ ফারম্নক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারী), একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার) ও মেজর (অব.) বজলুল হুদা।
২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির লিভ-টু-আপিল মঞ্জুর করে। পরে তারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। যা এখন বিচারাধীন রয়েছে। নিয়মিত আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলা দায়েরের পর এক যুগ অতিবাহিত হলেও শেষ হয়নি বহু প্রতীৰিত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার কাজ।
।। দিদারম্নল আলম ।।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার চূড়ানৱ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এই লৰ্যে চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে চারজন বিচারপতি। হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত বিচারপতিগণের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী এই নিয়োগ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি মো: জিলস্নুর রহমান সংবিধানের ৯৪(২) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ৰমতাবলে আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা ৭ থেকে উন্নীত করে ১১-তে নির্ধারণ করেছেন। সংবিধানের সংশিস্নষ্ট অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, প্রধান বিচারপতি (যিনি“বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি” নামে অভিহিত হইবেন) এবং প্রত্যেক বিভাগে আসন গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতি যেরূপ সংখ্যক বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনবোধ করিবেন, সেইরূপ সংখ্যক অন্যান্য বিচারক লইয়া সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হইবে। বর্তমানে আপিল বিভাগে ৭ জন বিচারপতি কর্মরত রয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে আরো চারজন বিচারক নিয়োগের পর এই হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির নিয়মিত আপিল শুনানির উদ্যোগ নিতে সরকারের পৰ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অনুরোধ করা হবে। ইতিমধ্যে বিচারপতি নিয়োগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ পাঁচ বিচারপতির নাম সুপারিশ করা হয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয়ের সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়। রাষ্ট্রপতি এদের মধ্য থেকে চারজনকে নিয়োগ দিবেন। চলতি সপ্তাহে এই নিয়োগ দেয়া হবে বলে ইত্তেফাককে জানান আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, আশা করছি বিচারক নিয়োগের পর সহসাই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার নিয়মিত আপিলের শুনানি শুরম্ন ও তা নিষ্পত্তি করা যাবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর ৩৩ বছর পেরিয়ে গেছে। আরো একটি বছর পার হতে যাচ্ছে। তবুও এই মামলার বিচার কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতির অভাবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির নিয়মিত আপিলের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে এক বছরের অধিককাল। ২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরম্নদ্ধে আসামিদের দায়ের করা লিভ-টু আপিল মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ। এরপর আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অর্থাৎ একই বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে তারা সুপ্রিম কোর্টের সংশিস্নষ্ট শাখায় নিয়মিত আপিল করেন। ঐ সময় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতি থাকার পরও সরকার এবং আসামিপৰ উদ্যোগ গ্রহণ না করায় আপিল শুনানি শুরম্ন করা সম্ভব হয়নি। এরপর ২০০৮ সালের মে মাসে আপিল বিভাগের বিচারপতি মোঃ হাসান আমীন অবসরে যান। ফলে পুনরায় বেঞ্চ পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতির অভাব দেখা দেয়।
নিয়ম অনুযায়ী আপিল বিভাগের তিনজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কোন মামলার আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের প্রচলিত বিধান অনুযায়ী কোন মামলা হাইকোর্ট বিভাগে শুনানির পর সেই বিচারপতি আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলে তিনি আপিল বিভাগে উক্ত মামলা শুনানি করতে পারবেন না। কিনৱু মহাজোট সরকার ৰমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই আপিল বিভাগে দুইজন বিচারপতি নিয়োগ দেয়ায় বিচারকের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৭ এ। বর্তমানে আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারপতি এম তাফাজ্জল ইসলাম, বিচারপতি মোঃ জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান ও বিচারপতি মোঃ আব্দুল আজিজ এই হত্যা মামলার শুনানি গ্রহণ করার জন্য উপযুক্ত। কিন্তুু আপিল বিভাগে মামলা জট থাকায় নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার পরও নিয়মিত আপিলের শুনানি শুরম্ন করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার।
সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এই হত্যা মামলার বিষয়ে শুক্রবার ইত্তেফাককে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার ত্বরান্বিত করা ও মামলা জট নিরসনে আপিল বিভাগে এই সপ্তাহে চারজন বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি নিয়োগ দিবেন। তিনি বলেন, বিচারক নিয়োগ হওয়ার পর সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারাধীন আপিলের দ্রম্নত নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য এটর্নি জেনারেলকে বলা হবে। এছাড়া মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার ৰেত্রে সরকারের ভূমিকা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের ফিরিয়ে আনতে বর্তমান মহাজোট সরকার সবসময় সচেষ্ট।
আসামিপৰের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আব্দুলস্নাহ আল-মামুন বলেন, আসামিদের লিভ-টু-আপিল মঞ্জুরের পর আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে নিয়মিত আপিল দায়ের করেছি। আপিল শুনানির জন্য প্রসৱুত। ইতিপূর্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক থাকার পরও আপিলের শুনানি হয়নি। তিনি বলেন, লিভ-টু-আপিল শুনানির জন্য ইতিপূর্বে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। যেহেতু বেঞ্চ গঠিত হয়ে আছে, সেহেতু নিয়ম অনুযায়ী যারা নতুন বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তাদের মধ্য থেকে একজন মামলা শুনানির জন্য উক্ত বেঞ্চে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতি নতুন করেও বেঞ্চ গঠন করে দিতে পারেন। তিনি বলেন, নিয়মিত আপিলের উপর শুনানি গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করা হলে এই মামলার চূড়ানৱ নিষ্পত্তি হবে।
পিছনে ফিরে দেখা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের নয় সদস্যকে হত্যার অভিযোগে ২৩ জনকে আসামি করে ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ১৫ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় প্রদান করেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ গোলাম রসুল। রায়ের বিরম্নদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। বিচারপতি মোঃ রম্নহুল আমিন ও বিচারপতি এবিএম খায়রম্নল হককে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় প্রদান করেন। পরে তৃতীয় আদালতের বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দী পাঁচ আসামি লিভ-টু আপিল দায়ের করেন। তারা হচ্ছেন: অবসরপ্রাপ্ত লে.কর্নেল (বরখাসৱ) সৈয়দ ফারম্নক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারী), একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার) ও মেজর (অব.) বজলুল হুদা।
২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির লিভ-টু-আপিল মঞ্জুর করে। পরে তারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। যা এখন বিচারাধীন রয়েছে। নিয়মিত আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলা দায়েরের পর এক যুগ অতিবাহিত হলেও শেষ হয়নি বহু প্রতীৰিত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার কাজ।