জাতিসংঘ ও ওয়াশিংটনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে বহুমুখী তৎপরতা

জাতিসংঘ ও ওয়াশিংটনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে বহুমুখী তৎপরতা
এনা, নিউইয়র্ক থেকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ এবং ক্যাপিটল হিলে জোর লবিং শুরু হয়েছে। লবিংয়ের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই একাত্তরের নৃশংসতার জন্যে পাকিস্তানী বাহিনীকে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি মাটিচাপা পড়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। শুধু তাই নয়, মহাজোট সরকার যে বিচারের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সেখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকরাই কাঠগড়ায় দাঁড়াবে-এমন বক্তব্য রেখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে বার্তা সংস্থা এনা জানতে পেরেছে, পাক হানাদারদের দোসর হিসেবে চিহ্নিতরা এ কাজে বিপুল অর্থ ঢালছেন। লবিংয়ে সক্রিয় রয়েছেন মার্কিন রাজনীতিক, পাকিস্তানী প্রশাসন এবং সৌদি বাদশার লোকজন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বছর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির প্রধান শাহরিয়ার কবীর নিউইয়র্কে এসে কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলীর সাথে বৈঠক করেছেন। সে সময় মিঃ ক্রাউলী শাহরিয়ার কবীরকে জানিয়েছেন যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সপক্ষে ওয়াশিংটনে আমরা সোচ্চার হলেই পাকিস্তানী লবিস্টরাও বসে থাকবে না। কেননা ক্যাপিটল হিলে পাকিস্ত-ানীদেরও জোর তৎপরতা রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম পার্টির সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে এমন একটি সংগঠন (মুসলিম উমমাহ ইন নর্থ আমেরিকা) এর পক্ষ থেকেও নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগাযোগের। জাতিসংঘে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সমেমলনে যোগদানকারী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সাথেও লবিংয়ে নিযুক্তরা সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বলে একাধিক সূত্রে বার্তা সংস্থা এনা জানতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, লবিংয়ের কৌশল এতই জোরালো যে ওয়াশিংটন ডিসিতে কনভেনশন সেন্টারে ‘ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার’র (ইসনা)৪৬তম বার্ষিক সমেমলনেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন একজন কর্মকর্তার যোগদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়েছিল। তা বাস্তবায়িত হয়নি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ঐ সমেমলনের আয়োজকদের (যারা বাংলাদেশী ও পাকিস্তানী আমেরিকান) মতলব অবহিত হওয়ার ফলে। উল্লেখ্য যে, ৩-৬ জুলাই ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসনার ঐ সমেমলন। জানা গেছে, ইসনার কয়েকজন নেপথ্য সংগঠকের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিতদের সম্পর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশের জামাতে ইসলামী পার্টির নেতৃবৃন্দ আমেরিকায় এলে ঐ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক হয় । দীপু মনি নিউইয়র্কে এসেছিলেন ২৪ জুন এবং ঢাকায় ফিরে গেছেন ২৯ জুন। এ সময়ে জাতিসংঘের ঐ সমেমলনে যোগদানকারী বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে তার বৈঠক হয়। মহাসচিব বান কি-মুন, সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি, আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক কর্মকর্তা, মানবাধিকার কাউন্সিলসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে দীপু মনির বৈঠক হয়। এছাড়া সমেমলন চলাকালেও অনেক দেশের নীতি-নির্ধারকদের সাথে তার কথা হয়। ঐসব বৈঠকের পর জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, দীপু মনি জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন যে, একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে বিদেশী নাগরিকেরা অন্তর্ভক্তুক্ত হবে না। দীপু মনির এমন মনোভাব থেকেই একাত্তরের ঘাতকদের বিচার নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় বেড়েছে। কেননা পাকিস্তানী হায়েনারা যদি বিচারে অন্তর্ভুক্ত না হয় তাহলে শুধুমাত্র তাদের দোসর বদর-রাজাকার-শান্তি কমিটির লোকজনের বিচার হবে কীভাবে?নিউইয়র্কে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার কয়েকটি সংগঠন এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডজনখানেক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এনাকে বলেছেন, ইতিপূর্বে মহাজোট সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায়। কিন্তু দীপু মনি জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের সময় সে ব্যাপারে ততটা জোরালো বক্তব্য রাখেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের উর্দ্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তা এনাকে বলেছেন, পাকিস্তানের বেনজীর ভুট্টোর হত্যাকান্ডের তদন্তের উদ্যোগ যেভাবে নেয়া হয়েছে ঠিক একইভাবে বাংলাদেশে একাত্তরের ঘাতকদের ব্যাপারেও জাতিসংঘ একটি কমিশন গঠন করতে পারে। আর এটা সম্ভব হতে পারে কেবলমাত্র বাংলাদেশ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পর। কম্যুনিটির সুধিজনে প্রশ্ন উঠেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে গত নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ যে রায় দিয়েছে তাকে যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না করে ‘লোক দেখানো বিচার’ করা হলে সেটি হবে মহাজোট সরকারের জন্যে বড় একটি ভুল এবং এ ভুলের মাশুল হতে পারে ইতিহাসে আরেকটি নিষ্ঠুরতম অধ্যায়। উপরোক্ত পরিস্থিতির আলোকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারী (প্রেস) শারকে চমন খান এনাকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পাকিস্তানের কোন মন্ত্রী অথবা অন্য কোন পর্যায়ের কর্মকর্তার সাথে আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠক হয়েছে বলে আমরা জানি না। একইভাবে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপপ্রধান শেখ মোহামমদ বেলাল এনাকে বলেছেন, ইসনার জাতীয় সমেমলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির আসার কথা ছিল বলে আমার জানা নেই।
উপরোক্ত গুঞ্জন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ডাঃ মাসুদুল হাসান, যুক্তরাষ্ট্র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কর্মকর্তা খোরশেদ খন্দকার, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডঃ নূরন্নবী এবং সেক্রেটারী শিতাংশু গুহ, স্বাধীনতা চেতনামঞ্চের সেক্রেটারী হেলাল মাহমুদ পৃথক পৃথকভাবে এনাকে বলেছেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের দাবি এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। গত নির্বাচনে সারা বাংলাদেশের মানুষ ঐ নরঘাতকদের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেছে। জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই শুধু সংহত হবে না, বাংলাদেশ অনেক পুরনো একটি কলংক থেকে মুক্ত হবে।
আগস্টেই মান্নান ভূঁইয়ার দলের আত্মপ্রকাশ
এনাম হক, ঢাকা থেকে অবশেষে বিএনপিতে ফেরার চিন্তা বাদ দিয়ে নতুন দল গঠনের পথেই এগোচ্ছেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। দলের নাম চূড়ান্ত না হলেও গঠনতন্ত্র তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গঠনতন্ত্র তৈরি করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক- জসীমউদ্দিন আহমেদ ও ড. তারেক শামসুর রেহমান এবং সাংবাদিক কাজী সিরাজ। পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহে বিভাগীয় সফরে নেমেছেন মান্নান ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ তিন নেতা মেজর জেনারেল (অব.) জেডএ খান, আশরাফ হোসেন এবং নজির হোসেন। আগস্টের প্রথম দিকে সংবাদ সমেমলনের মাধ্যমে নতুন দলের নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রীয়ভাবে সমমনা নেতা ও দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন মান্নান ভূঁইয়া নিজেই। সংস্কারপন্থী বলে পরিচিত বিএনপি নেতা ছাড়াও নানা কারণে বিএনপির ওপর বিক্ষুব্ধ অন্তত অর্ধশতাধিক সাবেক সাংসদ-মন্ত্রী ও নেতা তার ডাকে সাড়া দেবেন বলে খবর পাওয়া গেছে।উলে-খ্যযোগ্যদের মধ্যে যারা মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে থাকছেন বলে সূত্র জানিয়েছে তারা হলেন- সাবেক সিপকার শেখ রাজ্জাক আলী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য মাজিদুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার কবীর তালুকদার, প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাম তালুকদারের বোন ফিরোজা তালুকদার, আলমগীর কবীর, কবীর হোসেন, সাবেক সাংসদ ডা. জিয়াউল হক মোল-া, সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুজ্জামান, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, নাসিরুল হক সাবু, শাহরিয়ার আখতার বুলু প্রমুখ। এছাড়া পঞ্চগড় জেলার এলডিপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ও মোবারক হোসেনসহ বেশকিছু জেলার স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাও নতুন দলে যোগ দিতে পারেন।দল গঠনের প্রস্তুতি হিসেবে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল সফরের কথা স্বীকার করে আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, তারা এখন কেবল জনগণের মতামত নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বড় দু’দলের বাইরে তৃতীয় কোন রাজনৈতিক দলের চাহিদা জনগণের মধ্যে আছে কি না, তা-ই আমরা ঘুরে দেখছি।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দল গঠনের দিকেই এগোচ্ছি। তবে চূড়ান্ত রূপ দিতে আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগবে। জেডএ খান ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সফরের কথা স্বীকার করে বলেন, জনগণ তৃতীয় দল চায় কি-না সে ব্যাপারে মতামত নিচ্ছি। তিনি বলেন, দলে কে থাকছেন সে বিষয়টি মান্নান ভূঁইয়াই তদারকি করছেন।সাবেক এমপি নজির হোসেন দল গঠন ও সিলেট অঞ্চল সফরের কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেন, দু’দলের বাইরে অবশ্যই তৃতীয় একটি রাজনৈতিক দল বা জোটের প্রয়োজন এদেশে রয়েছে। সূত্র জানায়, ঘনিষ্ঠদের অনেকে প্রথমে একটি রাজনৈতিক দল এবং পরে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে ফ্রন্ট গঠনের পরামর্শ দিচ্ছেন মান্নান ভূঁইয়াকে। ফলে দল গঠনের পাশাপাশি ফ্রন্ট গঠনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। একটি সূত্র মতে, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে পিডিপি নেতা ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী এবং এলডিপি নেতা মেজর (অব.) মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। ফেরদৌস কোরেশী জানান, শুনছি নতুন দল গঠনের জন্য মান্নান ভূঁইয়ার অনুসারীরা জেলায় জেলায় সফর করছেন। তবে আমার সঙ্গে এখনও কোন যোগাযোগ হয়নি।শেখ রাজ্জাক আলী জানান, কিছুদিন আগে নতুন দলের ব্যাপারে আমাকে মান্নান ভূঁইয়ার পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু ইদানীং অসুস্থ থাকায় কোন খোঁজখবর জানি না। তিনি বলেন, এদেশে রাজনীতি করার সাধ মিটে গেছে। নতুন দলে যোগদানের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে মাজিদুল হক বলেন, নতুন দল হলে খারাপ কী! তিনি বলেন, মান্নান ভূঁইয়া আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। অনেকদিন আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। দেখা যাক কী হয়!সাখাওয়াত হোসেন বকুল ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘রাজনীতিই আর করব না।’গঠনতন্ত্র তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ড. তারেক শামসুর রেহমান। তবে মান্নান ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওয়ান ইলেভেনের পর তার উত্থাপিত বহুল আলোচিত সংস্কার প্রস্তাবের আলোকে দলের গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি হচ্ছে। এতে পরপর দুই মেয়াদের বেশি দলের চেয়ারম্যান না থাকার বিধান রাখা হচ্ছে। দল গঠনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সমেমলন ডেকে ওই গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগ ও জেলা সফরকারী এক নেতা জানিয়েছেন, অন্তত ৩০টি জেলায় এখনই কমিটি গঠনের মতো সাড়া পাওয়া গেছে। সবচেয়ে কম সাড়া পাওয়া গেছে বরিশাল বিভাগে।নতুন দল গোছানোর দায়িত্ব পালনকারী নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে ছাত্র ও যুব সংগঠন গোছানোর কাজ চলছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মূল দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কাজ শুরু হবে। এরপর আগস্টে নতুন দলের নাম ঘোষণা করা হবে। তার আগে ভাড়া নেয়া হবে একটি নতুন অফিস। তাই নতুন দলের জন্য অফিসও খোঁজা শুরু হয়েছে। অবশ্য আপাতত দলের কাজ-কর্ম হচ্ছে মান্নান ভূঁইয়ার গুলশানের ন্যাম ফ্লাটের বাসার সামনের কহিনুর টাওয়ারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্নান ভূঁইয়া বলেন, এখনও কোন কিছু চূড়ান্ত হয়নি।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

Justice order of the day