রুয়ান্ডায় গণহত্যার বিচার
রুয়ান্ডায় গণহত্যার বিচার
১৯৯৪ সালে ভয়ঙ্কর এক গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল রুয়ান্ডায়৷জাতিসংঘের আদালত ওই হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে কিগালির সাবেক গভর্নর থারিচিসে রেনজাহোকে৷
১৫ বছর আগের ওই রোমহর্ষক হত্যাকান্ডে টুটসি এবং হুটু গোষ্ঠীর ৮ লাখের মতো মানুষ মারা যায়৷ তানজানিয়ার আরুশা শহরে বসা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইবুনাল, আইসিটিআর সেই হত্যাকান্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগে থারিচিসে রেনজাহোকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ, যার মধ্যে ৬০ জন টুটসিকে হত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে৷
আইনজীবীরা জানান, আরেক ঘটনায় সেনাবাহিনী ট্যাঙ্কের গোলায় ৪০ জন টুটসিকে হত্যা করে, রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালির গভর্নর তখন কাছেরই এক হোটেলে ছিলেন৷ হত্যাকান্ডে বাধা দেয়ার কোনো চেষ্টাই করেননি৷ আদালত মনে করে, এটি হত্যাকান্ডে ইন্ধন দেয়ার জোরালো প্রমাণ৷ এর বাইরে ৬৫ বছর বয়সী সাবেক সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে টুটসিদের চিহ্নিত করে মেরে ফেলতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি বা পাথর ফেলার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং বেসরকারি বাহিনীকে রেডিওতে নির্দেশ দেয়া, সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে নারী নিপীড়নে উৎসাহ জোগানোর মতো বক্তব্য রাখার অভিযোগও রয়েছে৷রেনজাহো অবশ্য সব অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে নিজেকে একেবারে নির্দোষ দাবি করেছেন৷ তবে আদালত বলেছে, অভিযোগ প্রমাণিত, সুতরাং রেনজাহোকে জেলে যেতেই হবে৷
আইসিটিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়, রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে টুটসিদের হত্যা করায় রেনজাহোর সমর্থনের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তার নির্দেশেই ঘটনাটি ঘটেছিল৷তিনি অস্ত্র বিতরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন, অস্ত্রগুলো যারা পেয়েছিল, তারাই টুটসিদের হত্যা করেছে৷ জানা গেছে, ১৫ বছর আগের নারকীয় হত্যাকান্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র যে ৯ জনকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল রেনজাহো তাদেরই একজন৷ ২০০২ সালে কঙ্গো থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷রেনজাহোসহ এ পর্যন্ত ৩৯ জনের বিচার করেছে আইসিটিআর৷ এর মধ্যে ৬জন বেকসুর খালাস পেয়েছেন৷
প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
১৯৯৪ সালে ভয়ঙ্কর এক গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল রুয়ান্ডায়৷জাতিসংঘের আদালত ওই হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে কিগালির সাবেক গভর্নর থারিচিসে রেনজাহোকে৷
১৫ বছর আগের ওই রোমহর্ষক হত্যাকান্ডে টুটসি এবং হুটু গোষ্ঠীর ৮ লাখের মতো মানুষ মারা যায়৷ তানজানিয়ার আরুশা শহরে বসা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইবুনাল, আইসিটিআর সেই হত্যাকান্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগে থারিচিসে রেনজাহোকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ, যার মধ্যে ৬০ জন টুটসিকে হত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে৷
আইনজীবীরা জানান, আরেক ঘটনায় সেনাবাহিনী ট্যাঙ্কের গোলায় ৪০ জন টুটসিকে হত্যা করে, রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালির গভর্নর তখন কাছেরই এক হোটেলে ছিলেন৷ হত্যাকান্ডে বাধা দেয়ার কোনো চেষ্টাই করেননি৷ আদালত মনে করে, এটি হত্যাকান্ডে ইন্ধন দেয়ার জোরালো প্রমাণ৷ এর বাইরে ৬৫ বছর বয়সী সাবেক সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে টুটসিদের চিহ্নিত করে মেরে ফেলতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি বা পাথর ফেলার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং বেসরকারি বাহিনীকে রেডিওতে নির্দেশ দেয়া, সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে নারী নিপীড়নে উৎসাহ জোগানোর মতো বক্তব্য রাখার অভিযোগও রয়েছে৷রেনজাহো অবশ্য সব অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে নিজেকে একেবারে নির্দোষ দাবি করেছেন৷ তবে আদালত বলেছে, অভিযোগ প্রমাণিত, সুতরাং রেনজাহোকে জেলে যেতেই হবে৷
আইসিটিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়, রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে টুটসিদের হত্যা করায় রেনজাহোর সমর্থনের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তার নির্দেশেই ঘটনাটি ঘটেছিল৷তিনি অস্ত্র বিতরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন, অস্ত্রগুলো যারা পেয়েছিল, তারাই টুটসিদের হত্যা করেছে৷ জানা গেছে, ১৫ বছর আগের নারকীয় হত্যাকান্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র যে ৯ জনকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল রেনজাহো তাদেরই একজন৷ ২০০২ সালে কঙ্গো থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷রেনজাহোসহ এ পর্যন্ত ৩৯ জনের বিচার করেছে আইসিটিআর৷ এর মধ্যে ৬জন বেকসুর খালাস পেয়েছেন৷
প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী