শিগগিরই ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

শিগগিরই ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
: সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে তীব্র ডাক্তার সংকট কাটাতে এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শিগগিরই ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ৩ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হ"েছ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৬৩ বছর পূর্তি উপলৰে কলেজের ডা. শহীদ মিলন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব ঘোষণা দেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে শিগগিরই ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে পরে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তিন হাজার শূন্য পদের বিপরীতে নার্স নিয়োগ এবং সকল নার্সকে আধুনিক প্রশিৰণ প্রদানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে যে সব পদৰেপ নেয়া হয়েছিল, পরবর্তী সরকার তার ধারাবাহিকতা রৰা করেনি। আগের মেয়াদে ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট ডিএমসি-২ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও বিএনপি-জামাত জোট সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। সারা দেশে নির্মাণ করা ১০ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকও বন্ধ করে দেয়া হয়। তেজগাঁও এলাকায় শেখ মনি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু জোট সরকার ৰমতায় এসে নামের কারণে এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, তেজগাঁও এলাকায় প্রস্তাবিত হাসপাতালের জায়গায় তাদের পার্টির লোকদের নামে পস্নট বরাদ্দ দিয়েছে। এতে ৰতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। জনস্বার্থে করা কোনো কাজ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করলে চলবে না। শিগগিরই হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুর" করতে অনুষ্ঠানের মধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন তিনি। জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে অনেকগুলো প্রকল্প আবার চালু করার পদৰেপ নেয়া হ"েছ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কথা উলেস্নখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকার নিয়ম বহির্ভূতভাবে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের চাকরি দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে একটি আঁস্তাকুড়ে পরিণত করতে চেয়েছিল। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের জন্য একে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। জনগণের স্বাস্থ্যসেবার আধুনিকায়নে সরকার ইতিমধ্যে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নের কাজ শুর" করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলামনাই ট্রাস্টের পুনর্মিলনী-২০০৯ অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. আ ফ ম র"হুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মণি, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদা"েছর আলী, সাংসদ রাশেদ খান মেনন, সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ডা. এম আমানুলস্নাহ, কলেজের অধ্যৰ ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাপিচ) মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সনাল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কলেজের আবাসিক সার্জন ডা. মনিলাল আইচ লিটু।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃতী শিৰার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট প্রদান করেন। সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে পৌঁছে একটি ১২ তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।এর আগে সকালে বষপূর্তি উপলৰে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এতে শিৰকসহ কলেজের নবীন ও প্রবীণ শিৰার্থীরা অংশ নেন। দিবসটি উপলৰে বর্ণিল সাজে গতকাল সাজানো হয়েছিল মেডিকেল কলেজটিকে। পূর্ববঙ্গের একমাত্র মেডিকেল কলেজ হিসেবে ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। মেডিকেল, সার্জারি, গাইনোকলজি ও নাক, কান ও গলা এই ৪টি বিভাগ নিয়ে কলেজটির যাত্রা শুর" হলেও বর্তমানে কলেজে ১২টি বিভাগ রয়েছে। বর্তমানে কলেজে ১৭৬ জন শিৰক এবং ১ হাজার ৫০ জন শিৰার্থী অধ্যয়ন করছেন।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

Justice order of the day