২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই কাউন্সিল করার প্রস্তুতি আ'লীগের
২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই কাউন্সিল করার প্রস্তুতি আ'লীগের
ঢাকা, জুলাই ১০ নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া ২৫ জুলাইয়ের সময়সীমার মধ্যেই কাউন্সিল করার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি কার্যক্রম পর্যালোচনা করছে দলটি। দু'একদিনের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর আরেকটি সভা আহবান করে কাউন্সিলের দিনক্ষণ ঠিক করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভাপতিমন্ডলীর সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলের দপ্তর সম্পাদক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান। তিনি বলেন, "নির্ধারিত সময়ের আগেই কাউন্সিল করার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে সংশোধন করা দলের গঠনতন্ত্র কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে।" এর আগে গত ৪ জুলাই সভাপতিমন্ডলীর সভায় দলের কাউন্সিল করার সময়সীমা আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, দলীয় কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে দলের স্থায়ী গঠনতন্ত্র আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আবদুল মান্নান জানান, এর আগে এ ধরনের চিন্তাভাবনা থাকলেও এখন আর সেটি করা হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ১৬ জুলাই সকাল ১১টায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। রাজনৈতিক দলের কাউন্সিল বিষয়ে কমিশনের চিন্তাভাবনা সম্পর্কেও জানবেন তারা। এরপর দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভাপতিমণ্ডলীর আরেকটি সভায় কাউন্সিলের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। দু'-একদিনের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর আরেকটি সভা হতে পারে। দলের দপ্তর সম্পাদক বলেন, জাতীয় কাউন্সিলের আগে সম্মেলন হয়নি এমন ৯টি সাংগঠনিক জেলার কমিটি গঠনের কাজ সেরে ফেলা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে একাধিক টিম গঠন করে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কাজী জাফরউল্লাহ এবং আতাউর রহমান খান কায়সার।