দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল
দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল
শুক্রবার জি-এইটের বাৎসরিক সম্মেলনের শেষ দিনে জানানো হয়েছে, দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক তহবিল গঠনের কথা৷ দরিদ্র দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম করে তোলাই এই সহযোগিতার মূল লক্ষ্য৷
তাই দরিদ্র দেশেগুলোর কৃষিখাতে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করা হবে৷ সম্মেলনে আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেবার সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে৷
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য খাদ্য সাহায্য তহবিল গঠন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান জাক দিউফ বলেন, খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন, কেননা বহু মানুষ খরা, খাদ্যাভাব, সংঘাতের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে৷ তাদের জরুরিভিত্তিতে খাবার প্রয়োজন৷ তবে যদি ১০০ কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে অন্ন যোগাতে হয়, তাহলে তাদের সাহায্য করতে হবে যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে পারে, বলেন দিউফ৷
এই সম্মেলনে উপস্থিত জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, বলা যেতে পারে যে, বিশ্ব একজোট হয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেল৷ সম্মান ও বন্ধুত্বের মনোভাব এবং দৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে এক সঙ্গে মিলে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন রাজনীতিকরা৷
সম্মেলনে অংশ নেয়া শীর্ষ নেতারাকেননা আমরা জানি, বিশ্বের কোন দেশই আজ একা তার সমস্যাগুলো সমাধান করতে সক্ষম নয়৷ আমরা সবাই সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর নির্ভরশীল৷শুক্রবার জি-এইটের বাৎসরিক সম্মেলনের শেষ দিনে জানানো হয়েছে, দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক তহবিল গঠনের কথা৷ দরিদ্র দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম করে তোলাই এই সহযোগিতার মূল লক্ষ্য৷
তাই দরিদ্র দেশেগুলোর কৃষিখাতে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করা হবে৷ সম্মেলনে আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেবার সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে৷
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য খাদ্য সাহায্য তহবিল গঠন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান জাক দিউফ বলেন, খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন, কেননা বহু মানুষ খরা, খাদ্যাভাব, সংঘাতের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে৷ তাদের জরুরিভিত্তিতে খাবার প্রয়োজন৷ তবে যদি ১০০ কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে অন্ন যোগাতে হয়, তাহলে তাদের সাহায্য করতে হবে যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে পারে, বলেন দিউফ৷
এই সম্মেলনে উপস্থিত জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, বলা যেতে পারে যে, বিশ্ব একজোট হয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেল৷ সম্মান ও বন্ধুত্বের মনোভাব এবং দৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে এক সঙ্গে মিলে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন রাজনীতিকরা৷
তিন দিনের এই সম্মেলনের প্রথম দুই দিন জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বের চলমান আর্থিক সংকট প্রসঙ্গ ছিল গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়৷ কিন্তু তৃতীয় এবং শেষ দিনে আলোচনায় উঠে আসে দরিদ্রদেশগুলোর জন্য সাহায্য তহবিল গঠনের প্রসঙ্গটি৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, নতুন এই তহবিলের বিশাল একটি অংশ যাবে আফ্রিকার দেশগুলোতে৷ কিন্তু কোন দেশ কত পাবে, বা কবে নাগাদ এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন ঘোষণা আসেনি৷
খাদ্যের জন্য কৃষিখাতে বিনিয়োগ করার এই পরিকল্পনাটি আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে৷ অবশ্য শুক্রবার আফ্রিকার নেতাদের সঙ্গে প্রাত:রাশের সময়ে নতুন এই সহায়তার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ সম্মেলনে শেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভ্যাটিকান সিটিতে যান পোপ ষোড়শ বেনিডেক্ট এর সঙ্গে সাক্ষাত করতে৷ এর আগে তিনি ইরান প্রসঙ্গে বলেন, ইরান পরমাণু কর্মসূচির কাজ অব্যাহত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে জি-এইট নেতারা একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ব্যাপারে অনির্দিষ্টকালের জন্য তো আর বসে থাকতে পারেন না৷
অন্যদিকে, নেতারা মনে করছেন এখন কেবল আটটি দেশ নয়, বিশ্বের ধনী দেশগুলোর সঙ্গে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশগুলোকেও রাখতে হবে এই ফোরামে৷ যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, কানাডা এবং ইটালির সঙ্গে এই জোটে চীন, ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মিশরকে যুক্ত করার কথাই বলা হচ্ছে৷ যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এই গোষ্ঠীর নাম হবে জি- ফোরটিন৷সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে প্রথা অনুসারে গ্রুপ ছবি তোলার পর লাকিলা শহরের ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে নেতারা যখন এক মিনিট নিরবতা পালন করছিলেন.. তখন বাইরে দাঁড়ানো এক দল বিক্ষুদ্ধ লোকের মুখে শ্লোগান ধ্বনিত হচ্ছিল ... নো জি-এইট৷