ভিয়েতনাম যুদ্ধের স্থপতি ম্যাকনামারার প্রস্থান
ভিয়েতনাম যুদ্ধের স্থপতি ম্যাকনামারার প্রস্থান
তখন ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলছে৷ বাঁদিকে ম্যাকনামারা, পরিদর্শন করছেন মার্কিন সেনা ছাউনি, ভিয়েতনামে, ১৯৬১ সালে৷
তখন ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলছে৷ বাঁদিকে ম্যাকনামারা, পরিদর্শন করছেন মার্কিন সেনা ছাউনি, ভিয়েতনামে, ১৯৬১ সালে৷
ম্যাকনামারা৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধের স্থপতি ছিলেন এই ব্যক্তি৷ কিন্তু, শিল্পোন্নয়ন কিংবা বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নেও তাঁর বড় ভূমিকা ছিল৷ তাঁর মৃত্যু হল ৯৩ বছর বয়সে৷
রবার্ট স্ট্রেঞ্জ ম্যাকনামারা৷ ছয়ের দশকের শুরুতে ১৯৬০ সালের নভেম্বরে আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে বসেছিলেন তিনি৷ তখন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির তত্বাবধানে আমেরিকা৷ সে সময়েই ১৯৬১ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে ভুল এক যুদ্ধ৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধ৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধের অন্যতম স্থপতি হিসেবে ম্যাকনামারার নাম ইতিহাসের পাতায় থেকে গেছে৷ সেই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি আর বদনামের ভাগীদার হয়েছে আমেরিকা৷ চরম সমালোচনা শোনা গেছে গোটা বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে৷ প্রথমে মাত্র কয়েকশো সেনা থেকে ম্যাকনামারার নির্দেশেই ক্রমশ ভিয়েতনামে সেনাসংখ্যা বাড়াতে থাকে আমেরিকা৷ হিসাব বলছে, ১৯৬৮ সালে, যে বছর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ম্যাকনামারা, তখন ওই ভিয়েতনামে যুদ্ধ করেছে মোট ৫৩৫,০০০ মার্কিন সেনা৷এবং এই পুরো সেনাবৃদ্ধির ব্যাপারটাই ঘটেছে ম্যাকনামারার তত্বাবধানে৷
সে সময় কোন কথা না বললেও ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত নিজের আত্মজীবনীমূলক 'ইন রেট্রসপেক্ট - দ্য ট্র্যাজেডিস অ্যান্ড লেসনস অব ভিয়েতনাম' নামের গ্রন্থে ম্যাকনামারা কিন্তু স্বীকার করেছেন, মস্ত বড়ো ভুল হয়ে গিয়েছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধের সিদ্ধান্ত৷ এই অন্যায় যুদ্ধে নিজের ভূমিকার জন্য গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি৷
এই যুদ্ধের সঙ্গে যদিও ম্যাকনামারার নাম জড়িত, তবু এর বাইরেও বহু গুণের অধিকারী ছিলেন প্রাণচঞ্চল মানুষটি৷ অত্যন্ত কম বয়সে মাত্র ৪৪ বছরে তরুণ প্রেসিডেন্ট কেনেডির মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার পেয়েছিলেন তিনি বিভিন্ন গুণগত কারণে৷ পড়াশোনা করেছিলেন অর্থনীতি এবং দর্শন নিয়ে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোর্ড-এর চরম দুরবস্থায় ম্যাকনামারার পরামর্শই সংস্থাটিকে বিপুলভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিল৷ নিজের ওপর অগাধ আত্মবিশ্বাস ছিল ম্যাকনামারার৷ ছিল অন্যকে প্রভাবিত করার মত ব্যক্তিত্ব৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে নিজের পেশা অর্থাৎ অর্থনীতিতে ফিরে যান তিনি৷ দায়িত্ব নেন বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট পদের৷ ১৯৬৮ থেকে ১৯৮১ এই দীর্ঘ সময়ের কার্যকালে বিশ্বব্যাঙ্কের উজ্জ্বল আন্তর্জাতিক ভাবমূর্ত্তি তৈরি করেছিলেন এই ম্যাকনামারাই তাঁর প্রতিভা আর পরিশ্রম দিয়ে৷
জন্ম হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে নয় জুন ১৯১৬ সালে৷ তাঁর মাঝের নামটি খুব অদ্ভুত, স্ট্রেঞ্জ - যার অর্থ আশ্চর্য৷ এসেছিল মায়ের কুমারী পদবি থেকে৷ মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৪৩ সালে৷ এরপর দ্রুতগতিতে উত্থান এবং সাফল্য ব্যর্থতা মেশানো এক আলোচিত, বিতর্কিত জীবনযাপন৷ দীর্ঘদিন নানা রোগে ভুগছিলেন ম্যাকনামারা৷ তাঁর মৃত্যু বিশ্ব ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সঙ্গে ওতপ্রোত হয়েই থেকে গেল৷ যে বিষয়ের যাবতীয় সমাধান এখনও পাওয়া যায় নি৷
রবার্ট স্ট্রেঞ্জ ম্যাকনামারা৷ ছয়ের দশকের শুরুতে ১৯৬০ সালের নভেম্বরে আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে বসেছিলেন তিনি৷ তখন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির তত্বাবধানে আমেরিকা৷ সে সময়েই ১৯৬১ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে ভুল এক যুদ্ধ৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধ৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধের অন্যতম স্থপতি হিসেবে ম্যাকনামারার নাম ইতিহাসের পাতায় থেকে গেছে৷ সেই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি আর বদনামের ভাগীদার হয়েছে আমেরিকা৷ চরম সমালোচনা শোনা গেছে গোটা বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে৷ প্রথমে মাত্র কয়েকশো সেনা থেকে ম্যাকনামারার নির্দেশেই ক্রমশ ভিয়েতনামে সেনাসংখ্যা বাড়াতে থাকে আমেরিকা৷ হিসাব বলছে, ১৯৬৮ সালে, যে বছর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ম্যাকনামারা, তখন ওই ভিয়েতনামে যুদ্ধ করেছে মোট ৫৩৫,০০০ মার্কিন সেনা৷এবং এই পুরো সেনাবৃদ্ধির ব্যাপারটাই ঘটেছে ম্যাকনামারার তত্বাবধানে৷
সে সময় কোন কথা না বললেও ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত নিজের আত্মজীবনীমূলক 'ইন রেট্রসপেক্ট - দ্য ট্র্যাজেডিস অ্যান্ড লেসনস অব ভিয়েতনাম' নামের গ্রন্থে ম্যাকনামারা কিন্তু স্বীকার করেছেন, মস্ত বড়ো ভুল হয়ে গিয়েছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধের সিদ্ধান্ত৷ এই অন্যায় যুদ্ধে নিজের ভূমিকার জন্য গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি৷
এই যুদ্ধের সঙ্গে যদিও ম্যাকনামারার নাম জড়িত, তবু এর বাইরেও বহু গুণের অধিকারী ছিলেন প্রাণচঞ্চল মানুষটি৷ অত্যন্ত কম বয়সে মাত্র ৪৪ বছরে তরুণ প্রেসিডেন্ট কেনেডির মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার পেয়েছিলেন তিনি বিভিন্ন গুণগত কারণে৷ পড়াশোনা করেছিলেন অর্থনীতি এবং দর্শন নিয়ে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোর্ড-এর চরম দুরবস্থায় ম্যাকনামারার পরামর্শই সংস্থাটিকে বিপুলভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিল৷ নিজের ওপর অগাধ আত্মবিশ্বাস ছিল ম্যাকনামারার৷ ছিল অন্যকে প্রভাবিত করার মত ব্যক্তিত্ব৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে নিজের পেশা অর্থাৎ অর্থনীতিতে ফিরে যান তিনি৷ দায়িত্ব নেন বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট পদের৷ ১৯৬৮ থেকে ১৯৮১ এই দীর্ঘ সময়ের কার্যকালে বিশ্বব্যাঙ্কের উজ্জ্বল আন্তর্জাতিক ভাবমূর্ত্তি তৈরি করেছিলেন এই ম্যাকনামারাই তাঁর প্রতিভা আর পরিশ্রম দিয়ে৷
জন্ম হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে নয় জুন ১৯১৬ সালে৷ তাঁর মাঝের নামটি খুব অদ্ভুত, স্ট্রেঞ্জ - যার অর্থ আশ্চর্য৷ এসেছিল মায়ের কুমারী পদবি থেকে৷ মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৪৩ সালে৷ এরপর দ্রুতগতিতে উত্থান এবং সাফল্য ব্যর্থতা মেশানো এক আলোচিত, বিতর্কিত জীবনযাপন৷ দীর্ঘদিন নানা রোগে ভুগছিলেন ম্যাকনামারা৷ তাঁর মৃত্যু বিশ্ব ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সঙ্গে ওতপ্রোত হয়েই থেকে গেল৷ যে বিষয়ের যাবতীয় সমাধান এখনও পাওয়া যায় নি৷