জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৯
ফাঁসির ৯ আসামির বিরম্নদ্ধে ইন্টারপোলের রেড এ্যালার্ট
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা
।। জামিউল আহসান সিপু ।।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৯ আসামির বিরম্নদ্ধে আনৱর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল রেড এ্যালার্ট জারি করেছে। এক সপ্তাহ আগে ফ্রান্সে অবস্থিত ইন্টারপোলের সদর দফতর থেকে এই রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রেড এ্যালার্ট জারি করা আসামিরা বিদেশের বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে আছেন। রেড এ্যালার্ট জারি করা আসামিরা হলেনঃ লে. কর্নেল (অব.) এসএইচ নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব.) এম এ রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) আহমেদ শরীফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) হাশেম কিসমত, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসার, ক্যাপ্টেন (অব) আব্দুল মজিদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন। উচ্চ আদালতে ঘোষিত রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ৩ জনের বিরম্নদ্ধে রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এরা হলেন মেজর (অব.) আহমেদ শরীফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) হাশেম কিসমত ও ক্যাপেন্ট (অব.) নাজমুল হোসেন আনসার।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের ইন্টারপোল শাখার এএসপি নাছিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইত্তেফাককে বলেন, আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরম্নদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর ঐ সব আসামি বাংলাদেশে অবস্থান করছে কিনা এ ব্যাপারে পুলিশের ছাড়পত্র পাওয়ার পর রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়।
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা দায়রা জজ আদালত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৫ জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিরম্নদ্ধে আসামীরা লিভ টু আপীল করলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের একজন বিচারপতি নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। অপর বিচারপতি ৩ জনকে খালাস দেন। এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে যারা গ্রেফতার আছেন তারা হলে লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারম্নকুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন, মেজর (অব.) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত) ও মেজর (অব.) বজলুল হুদা। পুলিশ সদর দফতরের ইন্টারপোল শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ১৫ জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে। অপরদিকে উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চের দুইজন বিচারপতি দু’ধরনের রায় দেয়ার পর তৃতীয় আদালত ১২ জনকে ফাঁসি ও ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন। বর্তমানে উচ্চ আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রেফতার ৫ আসামির লিভ টু আপীলের শুনানি চলছে। তাই নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৯ আসামির বিরম্নদ্ধে ইস্যু করা গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী ইন্টারপোলে রেড এ্যালার্ট জারির কথা বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের ইন্টারপোল শাখার একটি সূত্র জানায়, রেড এ্যালার্ট জারি করা আসামিদের মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ পাকিসৱানে, লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম কানাডায়, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন থাইল্যান্ডে ও লে. কর্নেল (অব.) এসএইচ নূর চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এছাড়া বাকি আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ দৰিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ায় অবস্থান করছেন বলে ইন্টারপোলের কাছে খবর রয়েছে।
সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, রেড এ্যালার্ট জারি করা তথ্যের মধ্যে লে.কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিমের তথ্যে রয়েছে তার জন্ম ১৯৪৬ সালের ২ ফেব্রম্নয়ারি। বর্তমানে বয়স ৬৩ বছর। জন্মস্থান ঢাকা। তিনি বাংলা, আরবী, ইংরেজি ও উর্দুতে কথা বলতে পারেন। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। বতর্মানে শরীরের ওজন ৭৯ কেজি।
লে. কর্নেল (অব.) এম এ রাশেদ চৌধুরীর তথ্যে দেয়া আছে তার জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। বর্তমান বয়স ৬২ বছর। জন্মস্থান কুমিলস্না। উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি।
ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মজিদের তথ্যে রয়েছে ১৯৫০ সালের ৫ মে তার জন্ম। বর্তমান বয়স ৫৯ বছর। জন্মস্থান ঢাকা। তিনি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারেন।
মেজর (অব.) আহমেদ শরীফুল হোসেনের তথ্যে বলা হয়েছে ১৯৪৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তার জন্ম। জন্মস্থান খুলনা। বর্তমানে তার বয়স ৬৬ বছর। তিনি বাংলা, ইংরেজি, আরবী ও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারেন। উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। বর্তমানে শরীরের ওজন ৭১ কেজি।
ক্যাপ্টেন (অব.) হাশেম কিসমতের তথ্যে দেয়া আছে তার জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে তার বয়স ৫৪ বছর। তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারের তথ্যে দেয়া আছে ১৯৫২ সালের ২৭ জুলাই তার জন্ম। বতর্মানে তার বয়স ৫৬ বছর। তিনি আরবী, বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারেন।
বতর্মানে ইন্টারপোলে বাংলাদেশের ৯৪ জনের বিরম্নদ্ধে রেড এ্যালার্ট জারি করা আছে। এরা বাংলাদেশের পরিচয় দিয়ে বিশ্বের যে কোন দেশের আনৱর্জাতিক বিমান বন্দর ব্যবহার করলে ধরা পড়ে যাবে। এ তালিকায় ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পলাতকরা, জঙ্গি নেতা, পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, হত্যাকারী, প্রতারক, বিদেশে প্রতারকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা
।। জামিউল আহসান সিপু ।।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৯ আসামির বিরম্নদ্ধে আনৱর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল রেড এ্যালার্ট জারি করেছে। এক সপ্তাহ আগে ফ্রান্সে অবস্থিত ইন্টারপোলের সদর দফতর থেকে এই রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রেড এ্যালার্ট জারি করা আসামিরা বিদেশের বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে আছেন। রেড এ্যালার্ট জারি করা আসামিরা হলেনঃ লে. কর্নেল (অব.) এসএইচ নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব.) এম এ রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) আহমেদ শরীফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) হাশেম কিসমত, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসার, ক্যাপ্টেন (অব) আব্দুল মজিদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন। উচ্চ আদালতে ঘোষিত রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ৩ জনের বিরম্নদ্ধে রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এরা হলেন মেজর (অব.) আহমেদ শরীফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) হাশেম কিসমত ও ক্যাপেন্ট (অব.) নাজমুল হোসেন আনসার।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের ইন্টারপোল শাখার এএসপি নাছিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইত্তেফাককে বলেন, আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরম্নদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর ঐ সব আসামি বাংলাদেশে অবস্থান করছে কিনা এ ব্যাপারে পুলিশের ছাড়পত্র পাওয়ার পর রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়।
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা দায়রা জজ আদালত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৫ জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিরম্নদ্ধে আসামীরা লিভ টু আপীল করলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের একজন বিচারপতি নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। অপর বিচারপতি ৩ জনকে খালাস দেন। এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে যারা গ্রেফতার আছেন তারা হলে লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারম্নকুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন, মেজর (অব.) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত) ও মেজর (অব.) বজলুল হুদা। পুলিশ সদর দফতরের ইন্টারপোল শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ১৫ জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে। অপরদিকে উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চের দুইজন বিচারপতি দু’ধরনের রায় দেয়ার পর তৃতীয় আদালত ১২ জনকে ফাঁসি ও ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন। বর্তমানে উচ্চ আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রেফতার ৫ আসামির লিভ টু আপীলের শুনানি চলছে। তাই নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৯ আসামির বিরম্নদ্ধে ইস্যু করা গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী ইন্টারপোলে রেড এ্যালার্ট জারির কথা বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের ইন্টারপোল শাখার একটি সূত্র জানায়, রেড এ্যালার্ট জারি করা আসামিদের মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ পাকিসৱানে, লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম কানাডায়, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন থাইল্যান্ডে ও লে. কর্নেল (অব.) এসএইচ নূর চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এছাড়া বাকি আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ দৰিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ায় অবস্থান করছেন বলে ইন্টারপোলের কাছে খবর রয়েছে।
সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, রেড এ্যালার্ট জারি করা তথ্যের মধ্যে লে.কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিমের তথ্যে রয়েছে তার জন্ম ১৯৪৬ সালের ২ ফেব্রম্নয়ারি। বর্তমানে বয়স ৬৩ বছর। জন্মস্থান ঢাকা। তিনি বাংলা, আরবী, ইংরেজি ও উর্দুতে কথা বলতে পারেন। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। বতর্মানে শরীরের ওজন ৭৯ কেজি।
লে. কর্নেল (অব.) এম এ রাশেদ চৌধুরীর তথ্যে দেয়া আছে তার জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। বর্তমান বয়স ৬২ বছর। জন্মস্থান কুমিলস্না। উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি।
ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মজিদের তথ্যে রয়েছে ১৯৫০ সালের ৫ মে তার জন্ম। বর্তমান বয়স ৫৯ বছর। জন্মস্থান ঢাকা। তিনি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারেন।
মেজর (অব.) আহমেদ শরীফুল হোসেনের তথ্যে বলা হয়েছে ১৯৪৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তার জন্ম। জন্মস্থান খুলনা। বর্তমানে তার বয়স ৬৬ বছর। তিনি বাংলা, ইংরেজি, আরবী ও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারেন। উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। বর্তমানে শরীরের ওজন ৭১ কেজি।
ক্যাপ্টেন (অব.) হাশেম কিসমতের তথ্যে দেয়া আছে তার জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে তার বয়স ৫৪ বছর। তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারের তথ্যে দেয়া আছে ১৯৫২ সালের ২৭ জুলাই তার জন্ম। বতর্মানে তার বয়স ৫৬ বছর। তিনি আরবী, বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারেন।
বতর্মানে ইন্টারপোলে বাংলাদেশের ৯৪ জনের বিরম্নদ্ধে রেড এ্যালার্ট জারি করা আছে। এরা বাংলাদেশের পরিচয় দিয়ে বিশ্বের যে কোন দেশের আনৱর্জাতিক বিমান বন্দর ব্যবহার করলে ধরা পড়ে যাবে। এ তালিকায় ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পলাতকরা, জঙ্গি নেতা, পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, হত্যাকারী, প্রতারক, বিদেশে প্রতারকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।