ওবামার আহ্বান
ওবামার আহ্বান আমেরিকার সাথে মুসলিম বিশ্বের সম্পর্কের রুপরেখা নতুনভাবে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বারাক ওবামা বলেন যে ইসলাম ধর্মের কাছে সভ্যতার যে ঋণ সে সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অবহিত ।
তিনি জানান ইসলাম যেখানে আর্বিভূত হয়েছে সেই অঞ্চলে আসার আগে তিনি তিনটি উপমহাদেশে ইসলাম সম্পর্কে জেনেছেন । আর সেই অভিজ্ঞতাই তাঁর বিশ্বাসের ভিত্তি যে আমেরিকার সাথে ইসলামের সম্পর্কের ভিত্তি হবে ইসলাম যা, তাই – ইসলাম যা নয় - সেটা নয় এবং তাঁর বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে এটা তাঁর দায়িত্ব যে যেখানেই ইসলামকে গৎবাঁধা নেতিবাচক ধারায় দেখানো হয় সেখানেই সেই ধারণার বিরুদ্ধে লড়াই করা । মি ওবামা বলেন যে মুসলমানরা যেমন এধরণের স্থূল গৎবাঁধা সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না – ঠিক তেমনি আমিরিকা সম্পর্কেও একই গৎবাঁধা ধারণা গ্রহণযোগ্য নয় যে দেশটি একটি স্বার্থপর সাম্রাজ্য।
মি ওবামা বলেন যে আমেরিকা ইসলামের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধে লিপ্ত নয়, তবে যেকোন ইসলামী উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার জন্য আমেরিকা সাধ্যমতো চেষ্টা চালাবে
প্রায় সাতচল্লিশ মিনিটের বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট ওবামা বেশ কয়েকবার কোরআন থেকে উদ্ধৃতি দেন ।
আমেরিকার সাথে আরব তথা মুসলিম দেশগুলোর যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে তার প্রায় সবগুলো বিষয় নিয়েই কথা বলেন মি ওবামা ।তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন যে জঙ্গীরা যখনই পরাজিত হবে তখনই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে ।আমেরিকা সেখানে কোন সামরিক ঘাঁটি চায় না । আফগানিস্তানের লড়াই খুবই ব্যয়বহুল এবং এটা অব্যাহত রাখাও রাজনৈতিকভাবে খুবই কঠিন । প্রেসিডেন্ট ওবামা জানিয়ে দেন, যখন তাঁরা আশ্বস্ত হবেন যে আফগানিস্তানে এবং পাকিস্তানে এমন কোন সহিংস জঙ্গী নেই যারা যতো বেশী সংখ্যায় সম্ভব ততোজন আমেরিকানকে হত্যা করতে চায়, তখনই তাঁরা তাঁদের প্রত্যেকটি সৈন্যকে ফিরিয়ে আনবো .
মি ওবামা বলেন যে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু আমেরিকার একার লড়াই নয়৻ ইসরায়েলী-ফিলিস্তিনী সংঘাত সম্পর্কে মি.ওবামা বলেন যে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনী উভয় জনগোষ্ঠীরই বৈধ আশা-আকাঙ্খা রয়েছে - একটি পক্ষের দিক থেকে সমস্যাটা দেখা হলে সত্য থেকে দূরে থাকা হবে৻
তিনি দুই রাষ্ট্রের পাশাপশি অবস্থানকেই সমাধান হিসাবে উল্লেখ করে বলেন যে ইজরায়েলীদেরকে অবশ্যই তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হবে. তাঁর মতে ইসরায়েলীদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে ইসরায়েলের অস্তিত্ত্বকে যেমন অস্বীকার করা যাবে না ঠিক তেমনই ফিলিস্তিনীদের অস্তিত্ত্বকেও অস্বীকার করা যায় না৻ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখাকে কোনভাবেই সমর্থন করে না ।
মি ওবামা ফিলিস্তিনী জনগণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য যেমন ইসরায়েলীদের প্রতি আহ্বান জানান - তেমনি ফিলিস্তিনীদের প্রতিও সহিংসতার পথ বর্জন করার আহ্বান জানান৻
ইরান প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন যে উভয়দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে যে অবিশ্বাস তৈরী হয়েছে তা দূর হতে সময় লাগবে – তবে সাহস এবং দৃঢ়তার সাথে তাঁরা অগ্রসর হবেন৻
তিনি বলেন ইরানসহ যেকোন রাষ্ট্রেরই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি কাজে লাগানোর অধিকার রয়েছে , তবে পরমাণূ অস্ত্রের বিস্তাররোধ চুক্তিও একইসাথে মেনে চলার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে৻
তিনি বলেন যে মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা হতে দেওয়া যায় না ।
মি ওবামা বলেন যে সরকারপদ্ধতি কী হবে বা হবে না তা কোন দেশ অন্য একটি দেশের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না । বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলছেন যে এই বক্তৃতা কোন পরাশক্তির উপদেশ বা নির্দেশনা ছিলো না ।বরং, এতে ছিলো ইরাক, গুয়ানতানামো বে এবং অন্য আরো যেসব জায়গায় আমেরিকা ভূল করেছে সেগুলো স্বীকার করে নেওয়ার প্রয়াস ।
আরব বিশ্বে গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের বিষয়ে এটা ছিলো অনেকটাই একজন বন্ধুর পরামর্শের মতো ।
তিনি জানান ইসলাম যেখানে আর্বিভূত হয়েছে সেই অঞ্চলে আসার আগে তিনি তিনটি উপমহাদেশে ইসলাম সম্পর্কে জেনেছেন । আর সেই অভিজ্ঞতাই তাঁর বিশ্বাসের ভিত্তি যে আমেরিকার সাথে ইসলামের সম্পর্কের ভিত্তি হবে ইসলাম যা, তাই – ইসলাম যা নয় - সেটা নয় এবং তাঁর বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে এটা তাঁর দায়িত্ব যে যেখানেই ইসলামকে গৎবাঁধা নেতিবাচক ধারায় দেখানো হয় সেখানেই সেই ধারণার বিরুদ্ধে লড়াই করা । মি ওবামা বলেন যে মুসলমানরা যেমন এধরণের স্থূল গৎবাঁধা সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না – ঠিক তেমনি আমিরিকা সম্পর্কেও একই গৎবাঁধা ধারণা গ্রহণযোগ্য নয় যে দেশটি একটি স্বার্থপর সাম্রাজ্য।
মি ওবামা বলেন যে আমেরিকা ইসলামের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধে লিপ্ত নয়, তবে যেকোন ইসলামী উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার জন্য আমেরিকা সাধ্যমতো চেষ্টা চালাবে
প্রায় সাতচল্লিশ মিনিটের বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট ওবামা বেশ কয়েকবার কোরআন থেকে উদ্ধৃতি দেন ।
আমেরিকার সাথে আরব তথা মুসলিম দেশগুলোর যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে তার প্রায় সবগুলো বিষয় নিয়েই কথা বলেন মি ওবামা ।তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন যে জঙ্গীরা যখনই পরাজিত হবে তখনই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে ।আমেরিকা সেখানে কোন সামরিক ঘাঁটি চায় না । আফগানিস্তানের লড়াই খুবই ব্যয়বহুল এবং এটা অব্যাহত রাখাও রাজনৈতিকভাবে খুবই কঠিন । প্রেসিডেন্ট ওবামা জানিয়ে দেন, যখন তাঁরা আশ্বস্ত হবেন যে আফগানিস্তানে এবং পাকিস্তানে এমন কোন সহিংস জঙ্গী নেই যারা যতো বেশী সংখ্যায় সম্ভব ততোজন আমেরিকানকে হত্যা করতে চায়, তখনই তাঁরা তাঁদের প্রত্যেকটি সৈন্যকে ফিরিয়ে আনবো .
মি ওবামা বলেন যে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু আমেরিকার একার লড়াই নয়৻ ইসরায়েলী-ফিলিস্তিনী সংঘাত সম্পর্কে মি.ওবামা বলেন যে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনী উভয় জনগোষ্ঠীরই বৈধ আশা-আকাঙ্খা রয়েছে - একটি পক্ষের দিক থেকে সমস্যাটা দেখা হলে সত্য থেকে দূরে থাকা হবে৻
তিনি দুই রাষ্ট্রের পাশাপশি অবস্থানকেই সমাধান হিসাবে উল্লেখ করে বলেন যে ইজরায়েলীদেরকে অবশ্যই তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হবে. তাঁর মতে ইসরায়েলীদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে ইসরায়েলের অস্তিত্ত্বকে যেমন অস্বীকার করা যাবে না ঠিক তেমনই ফিলিস্তিনীদের অস্তিত্ত্বকেও অস্বীকার করা যায় না৻ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখাকে কোনভাবেই সমর্থন করে না ।
মি ওবামা ফিলিস্তিনী জনগণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য যেমন ইসরায়েলীদের প্রতি আহ্বান জানান - তেমনি ফিলিস্তিনীদের প্রতিও সহিংসতার পথ বর্জন করার আহ্বান জানান৻
ইরান প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন যে উভয়দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে যে অবিশ্বাস তৈরী হয়েছে তা দূর হতে সময় লাগবে – তবে সাহস এবং দৃঢ়তার সাথে তাঁরা অগ্রসর হবেন৻
তিনি বলেন ইরানসহ যেকোন রাষ্ট্রেরই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি কাজে লাগানোর অধিকার রয়েছে , তবে পরমাণূ অস্ত্রের বিস্তাররোধ চুক্তিও একইসাথে মেনে চলার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে৻
তিনি বলেন যে মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা হতে দেওয়া যায় না ।
মি ওবামা বলেন যে সরকারপদ্ধতি কী হবে বা হবে না তা কোন দেশ অন্য একটি দেশের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না । বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলছেন যে এই বক্তৃতা কোন পরাশক্তির উপদেশ বা নির্দেশনা ছিলো না ।বরং, এতে ছিলো ইরাক, গুয়ানতানামো বে এবং অন্য আরো যেসব জায়গায় আমেরিকা ভূল করেছে সেগুলো স্বীকার করে নেওয়ার প্রয়াস ।
আরব বিশ্বে গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের বিষয়ে এটা ছিলো অনেকটাই একজন বন্ধুর পরামর্শের মতো ।