বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
উদযাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন
হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক থেকে ৬০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একাংশকে দেখা যাচ্ছে।গৌরব, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬০ টি বছর অতিক্রম করলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামলী লীগ, সিটি আওয়াম লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জাতির পিতা পরিষদ, শেখ হাসিনা মঞ্চ, বঙ্গবন্ধু প্রচারকেন্দ্র সমাজকল্যাণ পরিষদ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব কমান্ড, জাতীয় সমন্ময় কমিটি, জয়বাংলা পরিষদ, শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, গ্রেটার ঢাকা বিভাগ সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ বাসত্মবায়ন ও উন্নয়ন পরিষদ, মুজিব আদর্শ মুল্যায়ন পরিষদ, আমরা ক’জন মুুক্ত সেনা সহ মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে গত ২৪ জুন বুধবার রাত ৯টায় নিউইয়র্কে উডসাইডস্থ অননত্ম ঢাকা কাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করে।ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে ’৭৫-এর ১৫ই আগষ্ট স্বপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমান, ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতা, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, ৫২’র ভাষা আন্দোলনসহ আজ পযনত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে অনুষ্ঠানে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভাষা সৈনিক গাজীউল হক ও কিংবদনত্মী শিল্পী আলী আকবর খাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে উপস্থিত আয়োজক, অতিথি ও সুধীবৃন্দ করতালির মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীর ২টি কেক কাটেন। কেটদুটি কাটেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে ব্যসত্ম থাকার কারনে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আব্দুর রহীম বাদশা এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন। উপস্থাপনায় ছিলেন মোঃ সামসুল আলম, আনিসুল হুদা রিপন, নূরুজ্জামান সর্দার। বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক চন্দন দত্ত, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী এনাম, হিন্দাল কাদির বাপ্পী, লুৎফুল কবীর, রফিকুল বারী চৌধুরী, বদরুল হোসেন খান, রাজু আহমদ মোবারক, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সভাপতি এম.এর আমিন, সহ-সভাপতি মাওলানা বজলুর রহমান, যুবলীগের সভাপতি মিসবাহ আহমদ, যুগ্ন সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দীন দেওয়ান, শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল, সাধারন সম্পাদক কায়কোবাদ খান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন জয়, গোলাম কুদ্দুস, শিমুল, আইয়ুব খান, কাজী আজিজুল হক খোকন, লস্কর ময়নুর রহমান জুয়েল, প্রকৌশলী মিজানুর রহামন, গোলাম কিবরিয়া বাচ্চু, জাহাঙ্গীর আল শরীফ, আব্দুর রকিব পাশা, মোঃ সোলাইমান, জাহিদ হাসান, দিপু, কাজী জোহা, জাহিদ, সাগর সুমন, সনি, নাবিল, আজহার, জামাল আহমেদ, আব্দুর শুকুর খান মাখন, আতাউল গনি আসাদ, আলমগীর আলম, ময়নুল হোসেন, শফিকুল গনি খালেক, আব্দুর রউফ পাশা, এম আনোয়ার প্রমূখ। সভায় শ্রদ্ধার সাথে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সামসুল হক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠাকালীন সকল কর্মকর্তাদের স্বরণ করা হয়।
সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে
ঢাকা, জুন ২৮ সন্ত্রাস দমনে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ 'যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ' গঠন করছে। এ বছরের শেষ নাগাদ এ ওয়ার্কিং গ্রুপের কর্মপদ্ধতি চূড়ান্ত হবে। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রাথমিক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা মেঘনায় এ সংস্থাটি গঠনের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমন বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ওয়েস্ট এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হাসান মাহমুদের মধ্যে বৈঠক হয়। পরে ওয়েস্ট সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের প্রত্যক্ষ শিকার। আমি মনে করি এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে উভয় দেশকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।" "সন্ত্রাসবাদ সারা বিশ্বের জন্যই হুমকি। আর তাই এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি", বলেন ওয়েস্ট। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক উপায়ে সন্ত্রাস দমনের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। লর্ড ওয়েস্ট বলেন, "তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসীদের মধ্যে যোগাযোগ থাকতেও পারে।" বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসীদের মধ্যে আন্তঃ যোগাযোগ থাকতে পারে- এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, "সন্ত্রাসীদের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। তাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ থাকে। তারা পরস্পরকে সহযোগিতা করে। আর সেজন্য আমাদের নিজেদের মধ্যেও নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে।" এ কারণেই এ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। গত বছরের এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকি স্মিথ বাংলাদেশ সফরে এসে সন্ত্রাস দমনে যৌথ ওয়ার্কিং গ্র"প গঠনের প্রস্তাব করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববারের বৈঠক হয়। হাসান মাহমুদ বলেন, "এই গ্রুপের অধীনে আমাদের সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় একটি সেল গঠনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছে বৈঠকে আবেদন জানিয়েছি। তারা খুবই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।" এছাড়ার সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী করায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বৈঠকে তথ্য আদান-প্রদানসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় মন্ত্রীই জানিয়েছেন, বছরের শেষদিকে পরবর্তী বৈঠকে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের কর্মপদ্ধতি চূড়ান্ত হবে।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

Justice order of the day