বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষার স্বীকৃতি দিতে বান কি-মুনের সমর্থন কামনা
বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষার স্বীকৃতি দিতে বান কি-মুনের সমর্থন কামনা
ঢাকা, জুন ২৫ বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বসংস্থার মহাসচিব বান কি-মুনের ব্যক্তিগত সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারেও জাতিসংঘের সাহায্য চান তিনি। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী হবে বলে দীপু মনি মহাসচিবকে আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, "বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা ঘোষণার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি মহাসচিব বান কি-মুনের ব্যক্তিগত সমর্থন কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী । কেন বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে তার পক্ষেও তিনি যুক্তি তুলে ধরেন। 'বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং উন্নয়নে এর প্রভাব' শীর্ষক জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে দীপু মনি নিউইয়র্কে বিশ্বসংস্থার সদরদপ্তরে অবস্থান করছেন। সম্মেলনে তিনি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) সমন্বয়কারী হিসেবে ভাষণ দেন। সম্মেলনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার তিনি বান কি মুনের সঙ্গে দেখা করে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বান কি-মুনকে এ বিষয়টি পরিষ্কার করেন যে সরকার অন্য দেশের নয় বরং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে কাজ করছে। অন্যদেশ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের এনে তাদের বিচার করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলেও জানান তিনি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে অপরাধীদের বিচার করার বিষয়ে বান কি মুনকে আশ্বস্ত করেন দীপু মনি। বিশ্বমন্দার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এই মন্দার জন্য উন্নত দেশগুলো দায়ী হলেও উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতেই এর প্রভাব পড়েছে বেশি। বর্তমানে সারাবিশ্বে বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা ২৩ কোটি। সংখ্যার বিচারে বাংলার অবস্থান সপ্তম। বাংলাই পৃথিবীর একমাত্র ভাষা যার প্রতি ভালোবাসা ও মর্যাদাবোধ থেকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ফেব্র"য়ারি মাসের ২১ তারিখ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভাষার জন্য বাঙালির লড়াই-সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ ২১ ফেব্র"য়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করেছে। এর আগে গত ৬ এপ্রিল সংসদে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্য একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
ঢাকা, জুন ২৫ বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বসংস্থার মহাসচিব বান কি-মুনের ব্যক্তিগত সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারেও জাতিসংঘের সাহায্য চান তিনি। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী হবে বলে দীপু মনি মহাসচিবকে আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, "বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা ঘোষণার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি মহাসচিব বান কি-মুনের ব্যক্তিগত সমর্থন কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী । কেন বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে তার পক্ষেও তিনি যুক্তি তুলে ধরেন। 'বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং উন্নয়নে এর প্রভাব' শীর্ষক জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে দীপু মনি নিউইয়র্কে বিশ্বসংস্থার সদরদপ্তরে অবস্থান করছেন। সম্মেলনে তিনি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) সমন্বয়কারী হিসেবে ভাষণ দেন। সম্মেলনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার তিনি বান কি মুনের সঙ্গে দেখা করে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বান কি-মুনকে এ বিষয়টি পরিষ্কার করেন যে সরকার অন্য দেশের নয় বরং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে কাজ করছে। অন্যদেশ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের এনে তাদের বিচার করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলেও জানান তিনি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে অপরাধীদের বিচার করার বিষয়ে বান কি মুনকে আশ্বস্ত করেন দীপু মনি। বিশ্বমন্দার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এই মন্দার জন্য উন্নত দেশগুলো দায়ী হলেও উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতেই এর প্রভাব পড়েছে বেশি। বর্তমানে সারাবিশ্বে বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা ২৩ কোটি। সংখ্যার বিচারে বাংলার অবস্থান সপ্তম। বাংলাই পৃথিবীর একমাত্র ভাষা যার প্রতি ভালোবাসা ও মর্যাদাবোধ থেকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ফেব্র"য়ারি মাসের ২১ তারিখ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভাষার জন্য বাঙালির লড়াই-সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ ২১ ফেব্র"য়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করেছে। এর আগে গত ৬ এপ্রিল সংসদে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্য একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।