অস্ট্রিয়ায় শিল্পী হাশেম খান ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে সংবর্ধনা
অস্ট্রিয়ায় শিল্পী হাশেম খান ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে সংবর্ধনা
নিউইয়র্ক থেকে গত ৭ জুন বিকালে অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাঙ্গালী সমাজের পক্ষ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ভিয়েনায় প্যান এশিয়া হোটেলের হলরুমে খ্যাতনামা শিল্পী হাশেম খান ও প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের সমমানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অস্ট্রিয়া প্রবাসী বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. এম এ মতিন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিন মোঃ আলী, আকতার হোসেন, সাখাওয়াত সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাইফুল ইসলাম কবির, মুক্তিযোদ্ধা বাছেদ করিম, বাঙ্গালী কমিউনিটি নেতা সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মাহাবুবুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক তুলি, আমিনুল ইসলাম মুক্তা, রিফাত হালিম প্রমুখ।সংবর্ধনার জবাবে শিল্পী হাশেম খান এবং অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন তাদের বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অসাম্প্রদায়িক ও গণতন্ত্রের প্রতীক আওয়ামী লীগ সরকারকে সর্বাতক সহযোগিতা করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর জন্য ভোজের আয়োজন করা হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
অস্ট্রিয়া শাখা গঠিতগত ১১ জুন অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার প্যান এসিয়া হোটেলের হল র"মে প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক সভায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অস্ট্রিয়া শাখা কমিটি গঠন করা হয়। অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও লেখক এম নজর"ল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং আমিনুর রহমান মুক্তাকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক তুলি, আল আমিন রবিন, আকতার হোসেন, রবিন মোঃ আলী, সাইফুল ইসলাম কবির, মুক্তিযোদ্ধা বাছেদ করিম ও মোয়াজ্জেম হোসেন। এই আহ্বায়ক কমিটি অতি সত্বর অস্ট্রিয়া প্রবাসীদের সংগঠিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান। সভায় মুনতাসীর মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যেমন জর"রি, তেমনি জর"রি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া আমাদের লৰ্য এবং সে কারণে এসব বিচার সম্পন্ন করা উচিত। তিনি আরো বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুর" করেছে। কিন্তু আমরা জানি এতে প্রতিবন্ধকতা আছে। সে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে বিচার কাজ ত্বরান্বিত না করলে সরকার নানাবিধ প্রশ্নের সম্মুখীন হবে এবং সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বিনষ্ট হবে। শিল্পী হাশেম খান বলেন, জাতিকে শত্র"মুক্ত করতে হলে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করতেই হবে। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আমরা জীবিতকালে এ বিচার দেখে যেতে চাই। কমিটির আহ্বায়ক এম নজর"ল ইসলাম বলেন, আমরা চাই না কোনো চাপের মুখে সরকার বিচার কাজ থেকে সরে আসুক। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, জনমত গঠন এবং তাদের বিচারের বিষয়ে অস্ট্রিয়া প্রবাসীরা সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। বিজ্ঞপ্তি।