সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি 'দিবাস্বপ্ন': আশরাফ
সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি 'দিবাস্বপ্ন': আশরাফ
ঢাকা, জুন ৯ - প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব সংসদ ভেঙে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেওয়ার যে দাবি জানিয়েছেন তাকে 'দিবাস্বপ্ন' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মঙ্গলবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ এ কথা বলেন। একইসঙ্গে বিএনপিকে সংসদে আসারও আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দোলোয়ার হোসেন সোমবার বলেন, "গত ৫ মাসে সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। এটা যাচাই করতে চাইলে সংসদ ভেঙে দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। পাতানো নির্বাচন নয়, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।'' এর প্রতিক্রিয়ায় সৈয়দ আশরাফ বলেন, "বাংলাদেশ 'আহাম্মকের স্বর্গ' নয় যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। জনগণ পাঁচ বছরের জন্য আমাদের নির্বাচিত করেছে। গত পাঁচ মাসে এমন কোনো ইস্যু তৈরি হয়নি, এমন কোনও বিষয়ে বিতর্ক হয়নি যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ভেঙ্গে দেওয়ার দিবাস্বপ্ন বাদ দিয়ে সংসদে এসে সংসদকে প্রাণবন্ত করুন।" তিনি বলেন, "আমার বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বিএনপি সংসদে আসবে।" আসন সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি সংসদে যাবে না বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মুখপাত্র বলেন, "এসব ছোট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হাস্যকর। সামনে বা পেছনে যে জায়গায় বসা হোক না কেন সংসদে সবার কথাই শোনা যায়। "সুতরাং এসব বিষয় নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি না করে সংসদে এসে জাতির সমস্যার কথা তুলে ধরুন।" এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, "কে কোথায় বসল তা নিয়ে জাতি চিন্তিত নয়।" দলের কাউন্সিলের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মুখপাত্র বলেন, "কয়েকদিনের মধ্যে অনুষ্ঠেয় সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কাউন্সিল করতে না পারলে প্রয়োজনে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে।" সভায় আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে দলীয় মুখপাত্র আশরাফ বলেন, "আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জমজমাটভাবে পালন করা হবে। এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর মাজার ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।" তিনি জানান, এছাড়া সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে। তবে কখন কোন কর্মসূচি পালন করার হবে, সে বিষয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংসদ উপনেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।