দেশেই সেলফোন তৈরি করুন : টেলিকম উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
দেশেই সেলফোন তৈরি করুন : টেলিকম উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ঢাকা, বাংলাদেশ, ৯ জুন (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান আজ বলেছেন, দেশের তরুণ প্রকৌশলী ও আইটি বিশেষজ্ঞরা তাদের মেধা ও তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান দিয়ে মোবাইল ফোনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারে।তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস দেশের আইটি শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী সমাজ এটি ভেবে দেখবেন।’বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ৩য় ঢাকা আন্তর্জাতিক টেলিকম মেলা-২০০৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।বিএমবিএ’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাজিমউদ্দিন জীতুর সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।রাষ্ট্রপতি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে তথ্য প্রযুক্তির যে বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে তা আমাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথকে সুগম করার জন্য কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, বিপুল মাবনসম্পদকে আইটি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির বিশাল জগতে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এ দেশের মানুষকে আমরা তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর একিটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে সক্ষম হবো।তিনি বলেন, প্রযুক্তির নানা আবিষ্কারের মধ্যে মোবাইল ফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এটি আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। এতে একদিকে যেমন মানুষের অর্থ, শ্রম ও সময়ের ব্যাপক সাশ্রয় হয়েছে, অন্যদিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়াও হয়েছে ত্বরান্বিত। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ও মাল্টিমিডিয়া যুক্ত হয়ে এর ব্যবহারের সীমা আরো বিস্তৃত হয়েছে, প্রসারিত হয়েছে সম্ভাবনার ক্ষেত্র।তবে একটি বিপথগামী গোষ্ঠী মোবাইল ফোনের অপব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, যা দেশ ও জাতির জন্য কাঙ্ক্ষিত নয় বলে তিনি ভাষণে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতি মোবাইল ফোনের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘মোবাইল কোম্পানি ও ব্যবসায়ীগণ জনস্বার্থে তাদের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম আরো ব্যাপকতর করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’দেশ ও জাতির প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা তা এর মাধ্যমে অর্জিত হবে বলে তিনি বলেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, দেশের সব মানুষের কাছে তথ্য-প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় এবং আন্তঃজেলা পর্যায়ে টেলিফোন বিলে সমতা আনা হবে।টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য অপটিক্যাল ফাইবার সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী বলেন। দেশকে ই-গভর্নন্সের আওতায় আনার জন্য টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সমস্ত স্কুল এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।তিনি স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ কম্পিউটার সরবরাহের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।রাষ্ট্রপতি পরে সাত ফোন কোম্পানি এবং কয়েক ব্যক্তিকে টেলিকম খাতে অবদানের জন্য বিএমবিএ পুরস্কার প্রদান করেন।৮০টি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ৮টি প্যাভিলিয়নে ৭২টি স্টলে তাদের পণ্যের প্রদর্শনী তুলে ধরেছে।