কসোভো যুদ্ধ সমাপ্তির ১০ বছর
কসোভো যুদ্ধ সমাপ্তির ১০ বছর,
জাতিসংঘের বাহিনী এখনো কসোভোর সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছে
১০ বছর আগে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর ৭৮ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছিল৷ আজ কসোভো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও সুরক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমাজের সহায়তা ছাড়া সেদেশের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন৷ যুদ্ধের ১০ বছর পর সার্বিয়ার কসোভো সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব অলিভার ইভানোভিচ মনে করেন, যে ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ সার্বিয়ার জন্য ছিল অর্থহীন৷ জয়েরও কোনো সম্ভাবনা ছিল না৷ কসোভোর আলবেনীয় জনগোষ্ঠী ও প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ নিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্লবোদান মিলোসেভিচ ও তাঁর সরকার গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল৷
জাতিসংঘের বাহিনী এখনো কসোভোর সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছে
১০ বছর আগে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর ৭৮ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছিল৷ আজ কসোভো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও সুরক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমাজের সহায়তা ছাড়া সেদেশের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন৷ যুদ্ধের ১০ বছর পর সার্বিয়ার কসোভো সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব অলিভার ইভানোভিচ মনে করেন, যে ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ সার্বিয়ার জন্য ছিল অর্থহীন৷ জয়েরও কোনো সম্ভাবনা ছিল না৷ কসোভোর আলবেনীয় জনগোষ্ঠী ও প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ নিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্লবোদান মিলোসেভিচ ও তাঁর সরকার গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল৷
কসোভোর স্বীকৃতি
গত বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি সার্বিয়ার কসোভো প্রদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে৷ প্রায় ৬০টি দেশ ইতিমধ্যে কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যাদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২২টি দেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে৷ এমনকি সার্বিয়া ও বসনিয়া হ্যারৎসোগোভিনা ছাড়া বল্কান অঞ্চলের বাকি দেশগুলিও কসোভোর স্বাধীনতা মেনে নিয়েছে৷ কসোভোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেনুন পায়াসিতি মনে করেন, তাঁর দেশ আজ এক নিরাপদ, স্থিতিশীল গণতন্ত্র হয়ে উঠেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক সমস্যা সত্ত্বেও কসোভো আজ এক স্থিতিশীল রাষ্ট্র৷ কসোভোর নিরাপত্তা মূলত এক রাজনৈতিক সমস্যা, তবে সব জনগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করতে আমাদের আরও কাজ করতে হবে৷ কসোভোর প্রতিষ্ঠানগুলি সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে৷ জাতিসংঘের মিশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুশাসন কমিশনের সহায়তায় আমরা দ্রুত সাফল্য অর্জন করবো৷’’
বলাই বাহুল্য, সার্বিয়ার দৃষ্টিভঙ্গীতে যুদ্ধের ১০ বছর পর কসোভো মোটেই মুক্ত বা নিরাপদ দেশ নয়৷ সার্বিয়ার কসোভো সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব অলিভার ইভানোভিচ মনে করেন, ‘‘কসোভোয় এখনো এক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রয়েছে৷ তারা হলো সার্ব জনগোষ্ঠী – শুধু সার্ব হওয়ার কারণে যাদের অনেক সমস্যা রয়েছে৷ সমস্যাটা আসলে আরও বড়৷ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক পুলিশের উপস্থিতিতে সার্বরা মোটেই নিরাপদ বোধ করছে না৷’’
গত বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি সার্বিয়ার কসোভো প্রদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে৷ প্রায় ৬০টি দেশ ইতিমধ্যে কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যাদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২২টি দেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে৷ এমনকি সার্বিয়া ও বসনিয়া হ্যারৎসোগোভিনা ছাড়া বল্কান অঞ্চলের বাকি দেশগুলিও কসোভোর স্বাধীনতা মেনে নিয়েছে৷ কসোভোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেনুন পায়াসিতি মনে করেন, তাঁর দেশ আজ এক নিরাপদ, স্থিতিশীল গণতন্ত্র হয়ে উঠেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক সমস্যা সত্ত্বেও কসোভো আজ এক স্থিতিশীল রাষ্ট্র৷ কসোভোর নিরাপত্তা মূলত এক রাজনৈতিক সমস্যা, তবে সব জনগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করতে আমাদের আরও কাজ করতে হবে৷ কসোভোর প্রতিষ্ঠানগুলি সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে৷ জাতিসংঘের মিশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুশাসন কমিশনের সহায়তায় আমরা দ্রুত সাফল্য অর্জন করবো৷’’
বলাই বাহুল্য, সার্বিয়ার দৃষ্টিভঙ্গীতে যুদ্ধের ১০ বছর পর কসোভো মোটেই মুক্ত বা নিরাপদ দেশ নয়৷ সার্বিয়ার কসোভো সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব অলিভার ইভানোভিচ মনে করেন, ‘‘কসোভোয় এখনো এক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রয়েছে৷ তারা হলো সার্ব জনগোষ্ঠী – শুধু সার্ব হওয়ার কারণে যাদের অনেক সমস্যা রয়েছে৷ সমস্যাটা আসলে আরও বড়৷ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক পুলিশের উপস্থিতিতে সার্বরা মোটেই নিরাপদ বোধ করছে না৷’’
সংখ্যালঘুদের সমস্যা
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কসোভোর নিজস্ব বাহিনীর হাতেই ক্রমশঃ দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে৷ কসোভোর সরকার সংখ্যালঘু সার্বদেরও সরকারী প্রতিষ্ঠানে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে৷ স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে কসোভোয় তেমন কোনো অপ্রিয় ঘটনা না ঘটলেও একটা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে – যে কারণে আন্তর্জাতিক বাহিনীর উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তার কথা অনেকেই স্বীকার করছে৷ জার্মান সেনাবাহিনীও আন্তর্জাতিক বাহিনীর অংশ হিসেবে কসোভোয় সক্রিয় রয়েছে৷ এমন এক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম৷ কসোভোর সরকার ও সার্বিয়া – দুই পক্ষই এমন পরিস্থিতি আজ কল্পনা করতে পারে না৷ ইভানোভিচ মনে করেন, পরিস্থিতি শান্ত হলেও স্থিতিশীল নয়৷ তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক বাহিনীকে কমপক্ষে আরও ১৫ বছর কসোভোয় থাকতে হবে৷ অন্যদিকে কসোভোর সরকার সংখ্যালঘু সার্বদের নিজস্ব সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনীকে বর্তমান উত্তেজনার জন্য দায়ী করছে৷
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কসোভোর নিজস্ব বাহিনীর হাতেই ক্রমশঃ দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে৷ কসোভোর সরকার সংখ্যালঘু সার্বদেরও সরকারী প্রতিষ্ঠানে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে৷ স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে কসোভোয় তেমন কোনো অপ্রিয় ঘটনা না ঘটলেও একটা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে – যে কারণে আন্তর্জাতিক বাহিনীর উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তার কথা অনেকেই স্বীকার করছে৷ জার্মান সেনাবাহিনীও আন্তর্জাতিক বাহিনীর অংশ হিসেবে কসোভোয় সক্রিয় রয়েছে৷ এমন এক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম৷ কসোভোর সরকার ও সার্বিয়া – দুই পক্ষই এমন পরিস্থিতি আজ কল্পনা করতে পারে না৷ ইভানোভিচ মনে করেন, পরিস্থিতি শান্ত হলেও স্থিতিশীল নয়৷ তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক বাহিনীকে কমপক্ষে আরও ১৫ বছর কসোভোয় থাকতে হবে৷ অন্যদিকে কসোভোর সরকার সংখ্যালঘু সার্বদের নিজস্ব সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনীকে বর্তমান উত্তেজনার জন্য দায়ী করছে৷