দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দুবাইয়ে বৈঠক করেন সাবেক ৪ বি এন পি –জামাতের মন্ত্রী
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দুবাইয়ে বৈঠক করেন বি এন পি –জামাতের সাবেক ৪ মন্ত্রী
মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দুবাইয়ে বৈঠক করেছেন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের চারজন মন্ত্রী ,দুটি গোয়েন্দা সংস্ট্থার তৎকালীন প্রধানসহ হাওয়া ভবনের কর্ণধারও। যুদব্দাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ এক নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে মাফিয়াদের। ঢাকায় দাউদ ইব্রাহিমের ক্যাডারদের সব ধরনের খরচ বহন করে পার্শ্ববর্তী একটি রাষেদ্ব্রর গোয়েন্দা সংস্ট্থা। এমন সব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ রিমান্ডে থাকা দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুল রউফ দাউদ মার্চেন্ট ও ছোটা শাকিলের এজেন্ট জাহিদ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, রিমান্ডে থাকা রউফ ও জাহিদ মাফিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা অনস্নত দেড় ডজন রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর নাম বলেছে। এ পর্যনস্ন যাদের নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এদের মুখে কারও নাম আসা মানেই তারা অভিযুক্ত নন। তবে কারও ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেলে অবশ্যই তাকে গ্রেফতার করা হবে। গোয়েন্দা সহৃত্র জানায়, দুবাইয়ে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট সরকারের চারজন মন্ত্রী কী বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন তা জানাতে পারেনি রউফ বা জাহিদ। তারা শুধু বৈঠকের তথ্য জানিয়ে বলেছে, এসব মন্পী বা ছোটা শাকিল বৈঠকের বিষয় বলতে পারবে। গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, ১০ ট্রাক অস্ট্পের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের কোনো সমঙৃক্ততা থাকতে পারে। কারণ হাওয়া ভবনের কর্ণধার যখন এসব বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তখন তার সঙ্গে ছিলেন দুটি গোয়েন্দা সংস্ট্থার তৎকালীন প্রধানরা। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে তারা কিছু জানে না। আর যুদব্দাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ এক নেতার সঙ্গেও যোগাযোগের বিষয় তারা জানালেও কোথাও বৈঠক হয়েছে কি-না তা তারা জানে না। বাংলাদেশে দাউদ ইব্রাহিম বা ছোটা শাকিলের বাহিনী সদস্য কতজন হবে গোয়েন্দাদের এমন প্রশেম্নর জবাবে জাহিদ জানিয়েছে, বাংলাদেশে ৩শ’ জনেরও বেশি লোক রয়েছে তাদের। আর তাদের সব ধরনের খরচ বহন করে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্ট্থা। তবে ছোটা শাকিলও মাঝে মধ্যে খরচ বাবদ কিছু টাকা দিয়ে থাকে। সহৃত্র জানায়, বিগত জোট সরকারের যেসব মন্ত্রী ও রাজনীতিকের নাম এসেছে তাদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। চলছে গোয়েন্দা নজরদারি। যে কোনো সময় তাদের কেউ গ্রেফতার হতে পারেন। গোয়েন্দা সহৃত্র জানায়, পার্শ্ববর্তী রাষেদ্ব্রর যে গোয়েন্দা সংস্ট্থার বিরুদেব্দ দাউদ ইব্রাহিমের লোকজনকে টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে ১০ ট্রাক অস্ট্প মামলায় সমঙৃক্ততার কথা জানিয়েছেন এনএসআইর সাবেক ডিজি আবদুর রহিম। ফলে ১০ ট্রাক অস্ট্পের সঙ্গে মাফিয়াদের কোনো সমঙৃক্ততা ছিল কি-না সে বিষয়টি গুরুত্ম্ব সহকারে তদনস্ন করছে গোয়েন্দারা। কারণ রিমান্ডে রউফ ও জাহিদ সাবেক যে মন্পীদের নাম বলেছে তাদের অধিকাংশের সঙ্গেই ১০ ট্রাক অস্ট্পের চোরাচালানে সমঙৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে ১০ ট্রাক অস্ট্প ও দাউদ ইব্রাহিমের বিষয় নিয়ে যৌথভাবে তদনস্ন করছেন গোয়েন্দারা। সহৃত্রমতে, গোয়েন্দা সংস্ট্থার সাবেক যে দু’জন প্রধানের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের বৈঠকের কথা জানিয়েছে রউফ তাদের একজন ১০ ট্রাক অস্ট্প মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। অপরজনের নাম ১০ ট্রাক অস্ট্প মামলায় এখনও আসেনি বলে জানা গেছে। আবদুল রউফ জানিয়েছে, হাজী সাহেব (ছোটা শাকিল) আমাদের যেভাবে নির্দেশ দেয় আমরা সেভাবেই কাজ করে থাকি। তার নির্দেশ নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে সে। আর জাহিদ জানিয়েছে, ৮ বছর আগে বাংলাদেশে আসার আগে ছোটা শাকিল তাকে বলেছে, বাংলা ভাষা শিখে বাঙালি হয়ে যাও। যাতে কেউ বুঝতে না পারে। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আবদুল রউফ দাউদ মার্চেন্ট বিভ্রানিস্নকর তথ্য দিচ্ছে। তার দেওয়া তথ্যে অনেক সময় অভিযান চালিয়ে কোনো ফল হচ্ছে না। তিনি বলেন, বর্তমানে ডিবির দুটি টিম রিজার্ভ রাখা হয়েছে। যে কোনো সময় প্রাপ্টস্ন তথ্যের ভিত্তিতে তারা অভিযান পরিচালনা করছে।