জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর
জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর
তৌহিদুর রহমান:
জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর সরিয়ে নেয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠছে কয়েকটি সংগঠন। একটি সংগঠন ইতোমধ্যে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ কেউ শুধু স্বাধীনতা বিরোধীদের-ই নয়, সংসদ এলাকা থেকে সব কবরই সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সংসদ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত কবরস্থানে জাতীয় নেতাসহ সাতজনের কবর রয়েছে। তারা হলেন- আতাউর রহমান খান, তমিজউদ্দিন খান, আবুল মনসুর আহমদ, আব্দুস সাত্তার, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, এমএ সবুর খান ও শাহ আজিজুর রহমান।
এই কবরস্থান নিয়ে মাঝে মধ্যে ক্ষীণ প্রশ্ন না উঠলেও এবার প্রকাশ্য বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মুসলিম লীগের এমএ সবুর খানসহ সবার কবর সরিয়ে নেয়ার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধার সনৱানরা কর্মসূচি দিয়েছে। আগামী ৩ জুলাই তারা সংসদ অভিমুখে জাতীয় পতাকা মিছিল করে স্পিকারের নিকট স্মারকলিপি দেবেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনও সংসদ ভবন এলাকা থেকে কবর সরিয়ে নেয়ার দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, এমএ সবুর খান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেন। রাজাকারবাহিনী গড়ে তোলার পেছনে তার বড় ভূমিকা ছিল। শানিৱ কমিটির কার্যক্রমেও নেতৃস্থানীয় ছিলেন তিনি। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম যে ৫০ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ করেছে এর ১৯ নম্বরে রয়েছে সবুর খানের নাম। পাকিসৱানি শাসক গোষ্ঠীর অনুগত হিসেবে তিনি সরকারের অনেক উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। আইয়ুব খানের আমলে মন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে তিনি আত্মগোপন করেন। পরে সবুর খান ১৯৭২ সালে মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তিনি খুলনা, ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানে হাজার হাজার মানুষ হত্যা পরিকল্পনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। সবুর খান ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করলে তাকে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। শাহ আজিজুর রহমান এবং মশিউর রহমান যাদু মিয়াও একাত্তরে প্রকাশ্যে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির আমাদের সময়কে বলেন, সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ থেকে শুধু একাত্তরের ঘাতকদের কবর নয়, সব কবরই সরিয়ে ফেলা উচিৎ। এখানে স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর থাকা জাতির জন্য কলঙ্কের। ওদের কবর এখানে থাকা মানে মুক্তিযুদ্ধের অপমান, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান, স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের অপমান। জিয়া ও এরশাদ আমল থেকেই স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। একাত্তরের ঘাতকদের সংসদ ভবনের সামনে কবর দিয়ে এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করা হয়।
জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর সরিয়ে নেয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠছে কয়েকটি সংগঠন। একটি সংগঠন ইতোমধ্যে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ কেউ শুধু স্বাধীনতা বিরোধীদের-ই নয়, সংসদ এলাকা থেকে সব কবরই সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সংসদ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত কবরস্থানে জাতীয় নেতাসহ সাতজনের কবর রয়েছে। তারা হলেন- আতাউর রহমান খান, তমিজউদ্দিন খান, আবুল মনসুর আহমদ, আব্দুস সাত্তার, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, এমএ সবুর খান ও শাহ আজিজুর রহমান।
এই কবরস্থান নিয়ে মাঝে মধ্যে ক্ষীণ প্রশ্ন না উঠলেও এবার প্রকাশ্য বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মুসলিম লীগের এমএ সবুর খানসহ সবার কবর সরিয়ে নেয়ার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধার সনৱানরা কর্মসূচি দিয়েছে। আগামী ৩ জুলাই তারা সংসদ অভিমুখে জাতীয় পতাকা মিছিল করে স্পিকারের নিকট স্মারকলিপি দেবেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনও সংসদ ভবন এলাকা থেকে কবর সরিয়ে নেয়ার দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, এমএ সবুর খান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেন। রাজাকারবাহিনী গড়ে তোলার পেছনে তার বড় ভূমিকা ছিল। শানিৱ কমিটির কার্যক্রমেও নেতৃস্থানীয় ছিলেন তিনি। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম যে ৫০ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ করেছে এর ১৯ নম্বরে রয়েছে সবুর খানের নাম। পাকিসৱানি শাসক গোষ্ঠীর অনুগত হিসেবে তিনি সরকারের অনেক উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। আইয়ুব খানের আমলে মন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে তিনি আত্মগোপন করেন। পরে সবুর খান ১৯৭২ সালে মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তিনি খুলনা, ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানে হাজার হাজার মানুষ হত্যা পরিকল্পনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। সবুর খান ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করলে তাকে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। শাহ আজিজুর রহমান এবং মশিউর রহমান যাদু মিয়াও একাত্তরে প্রকাশ্যে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির আমাদের সময়কে বলেন, সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ থেকে শুধু একাত্তরের ঘাতকদের কবর নয়, সব কবরই সরিয়ে ফেলা উচিৎ। এখানে স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর থাকা জাতির জন্য কলঙ্কের। ওদের কবর এখানে থাকা মানে মুক্তিযুদ্ধের অপমান, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান, স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের অপমান। জিয়া ও এরশাদ আমল থেকেই স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। একাত্তরের ঘাতকদের সংসদ ভবনের সামনে কবর দিয়ে এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করা হয়।