আমরা দেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই : শেখ হাসিনা
আমরা দেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই : শেখ হাসিনা
ঢাকা, বাংলাদেশ, ৪ জুন (বাসস) : সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় যেসব এলাকায় কোন উন্নয়ন হয়নি, সেসব এলাকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাঁর সরকার দেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।আজ বিকেলে সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সভায় তিনি বলেন, ‘এখনো দেশের অনেক অঞ্চলে রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ নেই। আমরা সেসব এলাকায় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে দেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার উন্নয়নের ব্যাপারে কোন এলাকায় তাদের সংসদ সদস্য আছে বা নেই তা কখনই বিবেচনায় আনবে না।আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের নেতা শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন কার্যক্রম, দ্রব্যমূল্য বিশেষ করে গত ২৫ মে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে সভা শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ সাংবাদিকদের জানান।শেখ হাসিনা আইলা উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জলোচ্ছ্বাসের কারণে এবারের ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। নদ-নদীগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়েছে। ভবিষ্যতে জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে রক্ষায় তাঁর সরকারের ক্যাপিটেল ড্রেজিং-এর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদ-নদীগুলোকে খনন করে একদিকে যেমন জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ জমিও উদ্ধার করা সম্ভব হবে।উপাধ্যক্ষ শহীদ জানান, প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের জন্যে তাদের মেয়াদ পর্যন্ত সরকারি গাড়ি ও কার্যালয়ের ব্যবস্থা করার কথা ঘোষণা করলে সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে তাঁর প্রতি সমর্থন জানান। শেখ হাসিনা সংসদে স্থায়ী কমিটির সভাপতির জন্যে গাড়ি ও লোগোসহ সংসদের পতাকা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেন। তিনি সংসদকে কার্যকর করতে সংসদ সদস্যদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদানেরও আশ্বাস দেন।চিফ হুইপ জানান, আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভার শুরুতে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়াসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপিত হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সুযোগ এবং প্রয়োজনীয় আইন-কানুন প্রণীত হলেই এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।সভায় শেখ হাসিনা দলীয় সংসদ সদস্যদের নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। তিনি কার্যপ্রণালী বিধি অনুসরণ করে সংসদে বক্তব্য উপস্থাপন এবং বাজেটের ওপর পড়াশুনা করে বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্যে দলীয় সংসদ সদস্যদের পরামর্শ দেন।সংসদে বাজেটের ওপর ৪০ ঘণ্টা সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।উপাধ্যক্ষ শহীদ জানান, আজকের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় ২১৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদ, আবদুল মান্নানসহ উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।আলোচনায় দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির বিষয়টি উত্থাপিত হলে সংসদ সদস্যরা সামপ্রতিককালে জঙ্গি এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ায় এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সংসদ সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দ্রব্যমূল্য কমে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।এক প্রশ্নের উত্তরে উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ শতাংশের ভিত্তিতে সংসদ কক্ষের সামনের সারিতে বিএনপি মাত্র ৩টি আসন পায়। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ৫টি আসন দেয়া হয়েছে। এছাড়া এলডিপি’র কর্নেল অলিকেও ১টি আসন দেয়া হয়। তিনি সংসদের আসন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ না করে সংসদে যোগ দেয়ার জন্যে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা, বাংলাদেশ, ৪ জুন (বাসস) : সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় যেসব এলাকায় কোন উন্নয়ন হয়নি, সেসব এলাকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাঁর সরকার দেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।আজ বিকেলে সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সভায় তিনি বলেন, ‘এখনো দেশের অনেক অঞ্চলে রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ নেই। আমরা সেসব এলাকায় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে দেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার উন্নয়নের ব্যাপারে কোন এলাকায় তাদের সংসদ সদস্য আছে বা নেই তা কখনই বিবেচনায় আনবে না।আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের নেতা শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন কার্যক্রম, দ্রব্যমূল্য বিশেষ করে গত ২৫ মে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে সভা শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ সাংবাদিকদের জানান।শেখ হাসিনা আইলা উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জলোচ্ছ্বাসের কারণে এবারের ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। নদ-নদীগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়েছে। ভবিষ্যতে জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে রক্ষায় তাঁর সরকারের ক্যাপিটেল ড্রেজিং-এর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদ-নদীগুলোকে খনন করে একদিকে যেমন জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ জমিও উদ্ধার করা সম্ভব হবে।উপাধ্যক্ষ শহীদ জানান, প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের জন্যে তাদের মেয়াদ পর্যন্ত সরকারি গাড়ি ও কার্যালয়ের ব্যবস্থা করার কথা ঘোষণা করলে সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে তাঁর প্রতি সমর্থন জানান। শেখ হাসিনা সংসদে স্থায়ী কমিটির সভাপতির জন্যে গাড়ি ও লোগোসহ সংসদের পতাকা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেন। তিনি সংসদকে কার্যকর করতে সংসদ সদস্যদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদানেরও আশ্বাস দেন।চিফ হুইপ জানান, আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভার শুরুতে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়াসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপিত হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সুযোগ এবং প্রয়োজনীয় আইন-কানুন প্রণীত হলেই এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।সভায় শেখ হাসিনা দলীয় সংসদ সদস্যদের নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। তিনি কার্যপ্রণালী বিধি অনুসরণ করে সংসদে বক্তব্য উপস্থাপন এবং বাজেটের ওপর পড়াশুনা করে বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্যে দলীয় সংসদ সদস্যদের পরামর্শ দেন।সংসদে বাজেটের ওপর ৪০ ঘণ্টা সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।উপাধ্যক্ষ শহীদ জানান, আজকের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় ২১৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদ, আবদুল মান্নানসহ উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।আলোচনায় দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির বিষয়টি উত্থাপিত হলে সংসদ সদস্যরা সামপ্রতিককালে জঙ্গি এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ায় এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সংসদ সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দ্রব্যমূল্য কমে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।এক প্রশ্নের উত্তরে উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ শতাংশের ভিত্তিতে সংসদ কক্ষের সামনের সারিতে বিএনপি মাত্র ৩টি আসন পায়। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ৫টি আসন দেয়া হয়েছে। এছাড়া এলডিপি’র কর্নেল অলিকেও ১টি আসন দেয়া হয়। তিনি সংসদের আসন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ না করে সংসদে যোগ দেয়ার জন্যে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান।