ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরম্নদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরম্নদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
৫ সদস্যের সংসদীয়
তদনৱ কমিটি
গঠন
।। ইত্তেফাক রিপোর্ট ।।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ব্যক্তিগত এবং তার দায়িত্বের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদনেৱর জন্য পাঁচ সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংক্রানৱ সংসদীয় কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এ উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
নাসরম্নল হামিদকে আহবায়ক করে গঠন করা এ উপ-কমিটির অপর চার সদস্য হলেন সরকারী দলের আসাদুজ্জামান খান, জহুরম্নল হক ভুঞা মোহন, এনামুল হক এবং বিএনপির লুৎফর রহমান। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ উপ-কমিটি গঠনের কথা জানান। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে উপদেষ্টা থাকাকালীন সময়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের দায়িত্বে থাকা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং তার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য ও অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। সে কারণেই তদনৱ করতে উপ-কমিটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপ-কমিটি প্রয়োজন মনে করলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ডেকে পাঠাতে পারবে।
কমিটির সভাপতি বলেন, দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে পস্নট বরাদ্দ এবং পস্নট পরিবর্তনসহ র্যাংগস ভবন ভাঙ্গার প্রক্রিয়া এবং মইনুল হোসেনের নিজস্ব ভবন মুসাফির টাওয়ারের নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। বিভিন্ন পর্যায় থেকে লিখিত অভিযোগ এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে এ তদনৱ কমিটি করা হয়েছে। ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, তদনেৱর স্বার্থে এখনই বলা যাবে না এমন অনেক অভিযোগও তার বিরম্নদ্ধে রয়েছে। নিশ্চয়ই তদনৱ রিপোর্টে এসব বিষয় উঠে আসবে।
কমিটির সদস্য এবং সংসদের হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ইত্তেফাকের মালিক থাকার পরেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের নামে একাধিক পস্নট দেখা যাচ্ছে। তার স্ত্রী ও ছেলের নামেও পস্নট নেয়া হয়েছে। তাছাড়া মাস্টার পস্নান বদল করে তিনি তার ভবন মুসাফির টাওয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি করেছেন। এগুলো তাকে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি র্যাংগস ভবন নিয়েও বিতর্ক তৈরী করেছেন। লিটন বলেন, আমরাও র্যাংগস ভবন ভাঙার বিরম্নদ্ধে নই। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় ভবনটি ভাঙা হয়েছে তা নিয়েই নানা প্রশ্ন আছে। ভাঙার আয়োজন সুষ্ঠু ছিল না বলেই এখানে ১১ জন কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিভাবে এতোগুলো কর্মীর প্রাণ গেল সেটা জানার অধিকার আমাদের আছে।
তিনি বলেন, মইনুল হোসেনের সময়ে উত্তরা এবং নিকুঞ্জ এলাকায় পস্নট বরাদ্দ দেয়া এবং পস্নট পরিবর্তনের অভিযোগও রয়েছে। লিটন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব কেবল নির্বাচন করা। তাদের সরকারের নীতি-নির্ধারণী কোন কাজ করার কথা নয়। কিন্তু তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসব কাজ করেছেন। কিন্তু কোন্ আদেশে কি নীতিমালার ভিত্তিতে তারা এসব কাজ করেছেন সেটা তদনৱ করে দেখা দরকার।
ব্রিফিংয়ে লিটন বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৰমতা গ্রহণের পর তেজগাঁও এলাকায় শেখ মনির নামে একটি হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। শেখ হাসিনা হাসপাতালের কাজের উদ্বোধনও করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জোট সরকার হাসপাতালের কাজ না করে সেখানে পস্নট বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা চাই শ্রমিক এলাকায় একটি হাসপাতাল খুবই প্রয়োজনীয়। ওই জায়গায় আবার হাসপাতাল ফিরিয়ে আনা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে লিটন বলেন, তদনৱ কমিটির রিপোর্ট দেয়ার পর বলা যাবে পরিস্থিতি শেষ পর্যনৱ কি দাঁড়ায়। তাছাড়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরম্নদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইনানুযায়ী তার বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিটন জানান, চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে ছিল। কিন্তু পরে জোট সরকারের সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এর নাম বদল করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্পদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিভাবে নাম বদল করে? এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জোট সরকারের সময়ে নিকুঞ্জ এলাকায় খেলার মাঠকে তিন ভাগ করে পস্নট করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়েও মন্ত্রণালয়কে খোঁজ-খবর করতে বলা হয়েছে।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, নাসরম্নল হামিদ, আসাদুজ্জামান খান, জহুরম্নল হক ভুঞা মোহন, এনামুল হক, লুৎফর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।
৫ সদস্যের সংসদীয়
তদনৱ কমিটি
গঠন
।। ইত্তেফাক রিপোর্ট ।।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ব্যক্তিগত এবং তার দায়িত্বের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদনেৱর জন্য পাঁচ সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংক্রানৱ সংসদীয় কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এ উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
নাসরম্নল হামিদকে আহবায়ক করে গঠন করা এ উপ-কমিটির অপর চার সদস্য হলেন সরকারী দলের আসাদুজ্জামান খান, জহুরম্নল হক ভুঞা মোহন, এনামুল হক এবং বিএনপির লুৎফর রহমান। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ উপ-কমিটি গঠনের কথা জানান। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে উপদেষ্টা থাকাকালীন সময়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের দায়িত্বে থাকা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং তার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য ও অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। সে কারণেই তদনৱ করতে উপ-কমিটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপ-কমিটি প্রয়োজন মনে করলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ডেকে পাঠাতে পারবে।
কমিটির সভাপতি বলেন, দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে পস্নট বরাদ্দ এবং পস্নট পরিবর্তনসহ র্যাংগস ভবন ভাঙ্গার প্রক্রিয়া এবং মইনুল হোসেনের নিজস্ব ভবন মুসাফির টাওয়ারের নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। বিভিন্ন পর্যায় থেকে লিখিত অভিযোগ এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে এ তদনৱ কমিটি করা হয়েছে। ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, তদনেৱর স্বার্থে এখনই বলা যাবে না এমন অনেক অভিযোগও তার বিরম্নদ্ধে রয়েছে। নিশ্চয়ই তদনৱ রিপোর্টে এসব বিষয় উঠে আসবে।
কমিটির সদস্য এবং সংসদের হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ইত্তেফাকের মালিক থাকার পরেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের নামে একাধিক পস্নট দেখা যাচ্ছে। তার স্ত্রী ও ছেলের নামেও পস্নট নেয়া হয়েছে। তাছাড়া মাস্টার পস্নান বদল করে তিনি তার ভবন মুসাফির টাওয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি করেছেন। এগুলো তাকে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি র্যাংগস ভবন নিয়েও বিতর্ক তৈরী করেছেন। লিটন বলেন, আমরাও র্যাংগস ভবন ভাঙার বিরম্নদ্ধে নই। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় ভবনটি ভাঙা হয়েছে তা নিয়েই নানা প্রশ্ন আছে। ভাঙার আয়োজন সুষ্ঠু ছিল না বলেই এখানে ১১ জন কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিভাবে এতোগুলো কর্মীর প্রাণ গেল সেটা জানার অধিকার আমাদের আছে।
তিনি বলেন, মইনুল হোসেনের সময়ে উত্তরা এবং নিকুঞ্জ এলাকায় পস্নট বরাদ্দ দেয়া এবং পস্নট পরিবর্তনের অভিযোগও রয়েছে। লিটন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব কেবল নির্বাচন করা। তাদের সরকারের নীতি-নির্ধারণী কোন কাজ করার কথা নয়। কিন্তু তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসব কাজ করেছেন। কিন্তু কোন্ আদেশে কি নীতিমালার ভিত্তিতে তারা এসব কাজ করেছেন সেটা তদনৱ করে দেখা দরকার।
ব্রিফিংয়ে লিটন বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৰমতা গ্রহণের পর তেজগাঁও এলাকায় শেখ মনির নামে একটি হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। শেখ হাসিনা হাসপাতালের কাজের উদ্বোধনও করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জোট সরকার হাসপাতালের কাজ না করে সেখানে পস্নট বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা চাই শ্রমিক এলাকায় একটি হাসপাতাল খুবই প্রয়োজনীয়। ওই জায়গায় আবার হাসপাতাল ফিরিয়ে আনা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে লিটন বলেন, তদনৱ কমিটির রিপোর্ট দেয়ার পর বলা যাবে পরিস্থিতি শেষ পর্যনৱ কি দাঁড়ায়। তাছাড়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরম্নদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইনানুযায়ী তার বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিটন জানান, চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে ছিল। কিন্তু পরে জোট সরকারের সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এর নাম বদল করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্পদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিভাবে নাম বদল করে? এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জোট সরকারের সময়ে নিকুঞ্জ এলাকায় খেলার মাঠকে তিন ভাগ করে পস্নট করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়েও মন্ত্রণালয়কে খোঁজ-খবর করতে বলা হয়েছে।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, নাসরম্নল হামিদ, আসাদুজ্জামান খান, জহুরম্নল হক ভুঞা মোহন, এনামুল হক, লুৎফর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।