রাজউকের অদক্ষতায় প্রবাসীরা হতাশ
রাজউকের অদক্ষতায় প্রবাসীরা হতাশমোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে:
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় দেশসহ বিভিন্ন আরব দেশ থেকে যেসকল প্রবাসী বাংলাদেশে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উত্তরা ও পূর্বাচলের পস্নট বরাদ্দের আবেদন করেছেন তাদের অনেকেরই অভিযোগ, পস্নট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার স্বচ্ছ ও সুস্থির নিয়মনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। এমনকি পস্নট বরাদ্দের লটারি নিয়েও তাদের নানা সংশয় রয়েছে।
হতাশ প্রবাসীরা মনে করছেন, কয়েক দফায় আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে বিপুল অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হলেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রশাসনিক দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেনি। প্রশ্ন উঠেছে, দেশে বসবাসকারীদের তুলনায় মার্কিন ডলারে অতিরিক্ত জামানত দিয়েও প্রবাসীরা হয়েছেন প্রহসনের শিকার।
রাজউকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হাজার হাজার আবেদনকারীর তালিকাটি চরম অদক্ষতার পরিচায়ক। সেখান থেকে নাম উদ্ধার করা যেমন দুরূহ, তেমনি সেখানে আবেদনকারীর নামটিও যথাযথভাবে তালিকাবদ্ধ হয়নি। এতে দেশ, শহর কিংবা নামের কোনো ক্রমানুক্রম নেই। আছে অর্থের অংকের ক্রমানুক্রম। অথচ প্রবাসীরা রাজউক ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র, হলফনামা ও প্রসপেক্টাস ডাউনলোডসহ অতিরিক্ত ২০ মার্কিন ডলার ফি দিয়েও কোনো প্রকার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রই পাননি। দুই কিসিৱতে যে তালিকা এক্সেল শিটে ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে একটির সঙ্গে অপরটির কোনো কাঠামোগত মিল নেই। বহু আবেদনকারীর পরিবর্তে অর্থ প্রেরণকারী ব্যাংক বা মানি রেমিটিং এজেন্সির নাম ও প্রেরিত অর্থের অংক আছে, আবেদনকারীর নামগুলো নেই। বানানগত ভুল ছাড়াও ‘নাম পাওয়া যায়নি’ বলেও বেশ কিছু তালিকাবদ্ধ হয়েছে। তবে কোনো আবেদনকারীর নামই ঠিকানাসহ উলেস্নখ নেই। ফলে অনুমাননির্ভর হয়ে কিংবা মানি রেমিটিং ব্যাংক, অর্থের অংক ও রেমিটিং তথ্য দেখে প্রবাসীরা এই বলে আশ্বসৱ হচ্ছেন যে, তাদের নামটি সেখানে আছে। আবার অনেকেই আশায় বুক বেঁধে আছেন- নাম যেহেতু ক্রমান্বয়ে আসছে, সুতরাং নাম আসবেই। এই সকল অভিযোগের পাশাপাশি রাজউকের সামপ্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে নগদীকরণের জন্য বেশ কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ জামানতের পে-অর্ডার এবং এফডিডি-র মেয়াদ পুনরায় তিন মাস বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন, ওই ‘দুরূহ তালিকাটি’র কতজনকে সে মেয়াদ বাড়াতে হবে?
এই সকল অনাহুত বিড়ম্বনার পাশাপাশি প্রবাসীরা মনে করছেন, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েও তাদের যথাযথ মূল্যায়ন নেই। ভোটাধিকারের দাবিটি যেমন সুদূরপরাহত, তেমনি রাজউকের পস্নট বরাদ্দের ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষ অহেতুক সময়ক্ষেপণ করছেন এবং সংশয় দেখা দিয়েছে যারা বাংলাদেশের ‘নবায়নকৃত’ পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিয়েছেন তারাই বিবেচিত হবেন, যে কথা রাজউক প্রসপেক্টাসে নেই। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপীয় দেশসমূহে নাগরিকত্ব গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রেও সরকারি নির্দেশনা পরিপন্থী। বিশেষত বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রণীত অধ্যাদেশ অনুসারে। সেখানে বলা আছে, ওই দেশসমূহে ‘নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্য পঠিতব্য শপথ বাক্যে যদি নিজ দেশের (বাংলাদেশের) আনুগত্য প্রত্যাহারের শপথ না থাকে, তাহা হইলে তাঁহার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বহাল থাকিবে’। বলাবাহুল্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের বহু দেশের শপথে পূর্বতন দেশের আনুগত্য প্রত্যাহারমূলক কোনো বাক্য নেই।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় দেশসহ বিভিন্ন আরব দেশ থেকে যেসকল প্রবাসী বাংলাদেশে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উত্তরা ও পূর্বাচলের পস্নট বরাদ্দের আবেদন করেছেন তাদের অনেকেরই অভিযোগ, পস্নট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার স্বচ্ছ ও সুস্থির নিয়মনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। এমনকি পস্নট বরাদ্দের লটারি নিয়েও তাদের নানা সংশয় রয়েছে।
হতাশ প্রবাসীরা মনে করছেন, কয়েক দফায় আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে বিপুল অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হলেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রশাসনিক দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেনি। প্রশ্ন উঠেছে, দেশে বসবাসকারীদের তুলনায় মার্কিন ডলারে অতিরিক্ত জামানত দিয়েও প্রবাসীরা হয়েছেন প্রহসনের শিকার।
রাজউকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হাজার হাজার আবেদনকারীর তালিকাটি চরম অদক্ষতার পরিচায়ক। সেখান থেকে নাম উদ্ধার করা যেমন দুরূহ, তেমনি সেখানে আবেদনকারীর নামটিও যথাযথভাবে তালিকাবদ্ধ হয়নি। এতে দেশ, শহর কিংবা নামের কোনো ক্রমানুক্রম নেই। আছে অর্থের অংকের ক্রমানুক্রম। অথচ প্রবাসীরা রাজউক ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র, হলফনামা ও প্রসপেক্টাস ডাউনলোডসহ অতিরিক্ত ২০ মার্কিন ডলার ফি দিয়েও কোনো প্রকার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রই পাননি। দুই কিসিৱতে যে তালিকা এক্সেল শিটে ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে একটির সঙ্গে অপরটির কোনো কাঠামোগত মিল নেই। বহু আবেদনকারীর পরিবর্তে অর্থ প্রেরণকারী ব্যাংক বা মানি রেমিটিং এজেন্সির নাম ও প্রেরিত অর্থের অংক আছে, আবেদনকারীর নামগুলো নেই। বানানগত ভুল ছাড়াও ‘নাম পাওয়া যায়নি’ বলেও বেশ কিছু তালিকাবদ্ধ হয়েছে। তবে কোনো আবেদনকারীর নামই ঠিকানাসহ উলেস্নখ নেই। ফলে অনুমাননির্ভর হয়ে কিংবা মানি রেমিটিং ব্যাংক, অর্থের অংক ও রেমিটিং তথ্য দেখে প্রবাসীরা এই বলে আশ্বসৱ হচ্ছেন যে, তাদের নামটি সেখানে আছে। আবার অনেকেই আশায় বুক বেঁধে আছেন- নাম যেহেতু ক্রমান্বয়ে আসছে, সুতরাং নাম আসবেই। এই সকল অভিযোগের পাশাপাশি রাজউকের সামপ্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে নগদীকরণের জন্য বেশ কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ জামানতের পে-অর্ডার এবং এফডিডি-র মেয়াদ পুনরায় তিন মাস বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন, ওই ‘দুরূহ তালিকাটি’র কতজনকে সে মেয়াদ বাড়াতে হবে?
এই সকল অনাহুত বিড়ম্বনার পাশাপাশি প্রবাসীরা মনে করছেন, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েও তাদের যথাযথ মূল্যায়ন নেই। ভোটাধিকারের দাবিটি যেমন সুদূরপরাহত, তেমনি রাজউকের পস্নট বরাদ্দের ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষ অহেতুক সময়ক্ষেপণ করছেন এবং সংশয় দেখা দিয়েছে যারা বাংলাদেশের ‘নবায়নকৃত’ পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিয়েছেন তারাই বিবেচিত হবেন, যে কথা রাজউক প্রসপেক্টাসে নেই। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপীয় দেশসমূহে নাগরিকত্ব গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রেও সরকারি নির্দেশনা পরিপন্থী। বিশেষত বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রণীত অধ্যাদেশ অনুসারে। সেখানে বলা আছে, ওই দেশসমূহে ‘নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্য পঠিতব্য শপথ বাক্যে যদি নিজ দেশের (বাংলাদেশের) আনুগত্য প্রত্যাহারের শপথ না থাকে, তাহা হইলে তাঁহার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বহাল থাকিবে’। বলাবাহুল্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের বহু দেশের শপথে পূর্বতন দেশের আনুগত্য প্রত্যাহারমূলক কোনো বাক্য নেই।