শেখ হাসিনার জেলমুক্তি দিবস পালন করেছে স্বে"ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ
শেখ হাসিনার জেলমুক্তি দিবস পালন করেছে স্বে"ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : গতকাল ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জেলমুক্তি দিবস। গত বছর শেখ হাসিনা এদিনে দীর্ঘ ১১ মাস আটক থাকার পর মুক্তি পান। তাই দিবসটিকে ঘিরে ছাত্রলীগ, স্বে"ছাসেবক লীগ গতকাল বৃহস্পতিবার নানা কর্মসূচি পালন করেছে। ছাত্রলীগ গতকাল দুপুরে ঢাবি ক্যাম্পাসে শেখ হাসিনার জেলমুক্তির এক বছর পূর্তি উপলৰে ছাত্রলীগ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুর"ত্বপূর্ণ রাস-া প্রদৰিণ শেষে বটতলায় শেষ হয়। সেখানে সংৰিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে আটকে রেখেছিল। কিন' দেশের মানুষের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের স্বার্থে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে।দিবসটি উপলৰে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বে"ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপসি'ত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বে"ছাসেবক লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন নাসিম। ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনার মুক্তি ছিল জনগণ ও গণতন্ত্রের বিজয়। কিছুসংখ্যক উ"চাভিলাষী ব্যক্তি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্ররোচিত করেছিল। তাদের এ অন্যায় সিদ্ধান- জণগণ কোনোভাবে মেনে নেয়নি। পরবর্তী সময় জণগণের মনোভাব বুঝতে পেরে গণতন্ত্রের স্বার্থে নেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে কিছুসংখ্যক গণধিকৃত ব্যক্তির অন্যায়ভাবে ৰমতায় আসার দিবাস্বপ্ন ভূলুণ্ঠিত হয়। উলেস্নখ্য, শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার আটক করে। পরে ২০০৮ সালের ১১ জুন চিকিৎসার জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। এরপর তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর আবার আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব নিয়ে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে।