রাষ্ট্রপতি ভৈরবকে জেলায় পরিণত করতে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন


রাষ্ট্রপতি ভৈরবকে জেলায় পরিণত করতে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন


ভৈরব, বাংলাদেশ, ১৩ জুলাই (বাসস) : রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেছেন, তিনি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির বিষয়টি উপলব্ধি করে ভৈরব উপজেলাকে জেলায় পরিণত করতে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবেন।আজ তাঁর নিজ এলাকার হাজী আসমত কলেজ প্রাঙ্গণে তাঁকে দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভৈরবকে জেলায় পরিণত করার দাবি পূরণে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো।’ রাষ্ট্রপতির ছেলে ও স্থানীয় সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন এবং বাজিতপুর-নিকলি আসনের বর্তমান এমপি আফজাল হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।এতে সভাপতিত্ব করেন ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি এম সাইদুল্লাহ মিয়া। ভৈরব মিউনিসিপলিটি আওয়ামীলীগ সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন।রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমি ভৈরবকে জেলায় পরিণত করা, শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন, ট্রমা হাসপাতাল নির্মাণ এবং বিদ্যমান সকল স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়নসহ আপনাদের সকল যৌক্তিক দাবির সাথে একমত’।রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ভৈরববাসীর দীর্ঘদিনের দাবিসমূহ বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংসদ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং আশা প্রকাশ করেন, তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে তিনি সফল হবেন।তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নামে মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর পুনঃনামকরণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও স্বপ্ন ছিল দেশকে ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করার। কিন্তু স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও আমরা সেই লক্ষ্য এখনো অর্জন করতে পারিনি।’‘দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে জাতির জনককে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির জনকের কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার জন্য বারবার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’গ্রেনেড হামলায় নিজ পত্নী আইভি রহমানের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো সক্রিয় রয়েছে।’তিনি বলেন, ‘তাই গণতন্ত্র ও দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ২০২১ সালের মধ্যে একটি আইটি-ভিত্তিক দেশ গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘ভিশন ২০২১’-এর উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের সকলকে এই ভিশন বাস্তবায়নে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, ‘আমি সকলকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ গঠনে অবদান রাখার আহ্বান জানাই।’রাষ্ট্রপতি তাঁকে এরকম একটি বিরাট সংবর্ধনা দেয়ার জন্য এবং ১৯৭০ সাল থেকে তাঁকে সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য ভৈরববাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, ‘আমি আমৃত্যু আপনাদের পাশে থাকবো এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবো। আমার কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া নেই। আমার জন্য দোয়া করবেন।’পরে রাষ্ট্রপতি ভৈরব শহরে স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ উদ্বোধন করেন।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা