একুশে আগস্ট হামলার তথ্য জানতেন ওবায়দুলস্নাহ

একুশে আগস্ট হামলার তথ্য জানতেন ওবায়দুলস্নাহ গ্রেনেড সরবরাহ করে লস্কর-ই-তৈয়বা
।। ইত্তেফাক রিপোর্ট ।।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তথ্য ভারতীয় লস্কর-ই-তৈয়বা নেতা মুফতি ওবায়দুলস্নাহ আগে থেকেই জানতেন। হরকাতুল জিহাদ যে ওই সময় বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালাবে সে বিষয়ে তিনি পূর্ব থেকে অবগত ছিলেন। হামলার জন্য পাকিসৱান ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার কাছ থেকে গ্রেনেড আনা হয়েছিল। ৭ দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি ওবায়দুলস্নাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তাকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টিএফআই সেলে নেয়া হয়নি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ডিবির উপ-কমিশনার মনিরম্নল ইসলাম জানান, ২১ আগস্টসহ কয়েকটি ঘটনায় গ্রেনেড ও বোমা বিস্ফোরণের ব্যাপারে ওবায়দুলস্নাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তাকে আরো গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার সহযোগীদের ধরতে ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
বিগত জোট সরকারের আমলে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় যে গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছিল ঐ সব গ্রেনেড পাকিসৱান ও ভারত ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন মুফতি ওবায়দুলস্নাহ। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় মুফতি ওবায়দুলস্নাহ মাদারীপুরে শিবচরস্থ জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় শিৰকতা করতেন। ঐ সময় হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি হান্নান, মুফতি রউফ, মুফতি কামাল উদ্দিন, মদিনা হুজুরসহ একাধিক নেতার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। ডিবির একটি সূত্র জানায়, মুফতি ওবায়দুলস্নাহ বাংলাদেশে হরকাতুল জিহাদের বোমা ও গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে অনেক তথ্যই জানেন। এসব হামলার ব্যাপারে তার সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, দেশে আফগান ফেরত প্রায় ৫শ’ যোদ্ধার মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম ঠিকানা মুফতি ওবায়দুলস্নাহ জানিয়েছেন। এরা ঢাকা, সাতৰীরা, যশোর, জামালপুর, শরীয়তপুর এলাকায় বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিৰকতা করছেন বলে ওবাদুলস্নাহ তথ্য দিয়েছেন। ভারত ও পাকিসৱানে লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ কয়েকজন নেতার নাম জানিয়েছেন যাদের সঙ্গে ওবায়দুলস্নাহর যোগাযোগ ছিল। তার মোবাইলের কললিস্ট পরীৰা করে ভারত ও পাকিসৱানের কয়েকটি মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে।
ডিবি জানায়, মুফতি ওবায়দুলস্নাহর জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করতে সহযোগিতাকারীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। ওবায়দুলস্নাহ বাংলাদেশে আসার পর কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন আবু জাফর। স্ত্রীর নাম হাসিবার পরিবর্তে রাখেন নাসিমা আক্তার। ছেলে মহিবুলস্নার নাম রাখা হয় মতিউর রহমান। তার ২ ভাই ভারতের কাশ্মীরে একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন বলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন মুফতি ওবায়দুলস্নাহ।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা