সংগ্রামী ইমেজ ও গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন এই নেতা চট্টগ্রামের তিন-তিনবার মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী

চট্টগ্রামের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর একান্ত সাক্ষাৎকার মেয়ে টুম্পার লাশ দেখেছি, ওকে জীবিত দেখতে দেয়নি, আনোয়ারুল ইকবাল ছিলেন দুর্নীতিবাজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারাগারে দুঃসহ স্মৃতি-১১ সাৰাৎকারটি গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম ব্যুরোর মাহবুব রশীদ ও সাইফুল ইসলাম শিল্পী সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রোষানল থেকে রৰা পাননি চট্টগ্রামের তিন-তিনবার মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সংগ্রামী ইমেজ ও গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন এই নেতাকে বিভিন্ন সময় জেলে যেতে হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জেলে যাওয়া তার জীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হিসেবে তিনি উলেস্নখ করেন। শিৰাজীবন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় মহিউদ্দিন চৌধুরী ’৬২-এর শিৰা আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ শ্রমিক আন্দোলনে সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নেন। ১৯৯৪, ২০০০ ও ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি নির্বাচনী জয়ের হ্যাটট্রিক অর্জন করেন। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়সহ ১৯৯৩ সালে হালিশহর ও বন্দরটিলায় সংঘটিত ঘটনায় তিনি রম্নখে দাঁড়িয়ে নগরবাসীর ব্যাপক আস'া অর্জন করেন। তার আমলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সারাদেশের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলজীবনে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পূর্ব পাকিসৱান ছাত্রলীগের প্রথম সারির কর্মী ও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রমিক নেতা, চট্টগ্রাম মহানগর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাৰাৎকারটি গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম ব্যুরোর মাহবুব রশীদ ও সাইফুল ইসলাম শিল্পী। দিনকাল : ওয়ান-ইলেভেনের প্রেৰাপটে আপনার গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে কিছু বলবেন? মহিউদ্দিন চৌধুরী : আমাকে গ্রেফতার করার বেশ কিছুদিন আগে থেকে যৌথবাহিনী আমার বাসার আশপাশে বিভিন্ন স'ানে অভিযানের মাধ্যমে ‘প্যানিক’ সৃষ্টি করতে থাকে। আমার ভাগিনাসহ কয়েকজনকে ধরে ব্যাপক ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এছাড়া গ্রেফতারের পূর্ব থেকে আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা সাজানোসহ পূর্বের মিথ্যা মামলাগুলোর চার্জশিট তৈরি করে তারা আমাকে গ্রেফতার করার পথ সুগম করে। সম্ভবত ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমাকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বাসা থেকে গ্রেফতার করে। দিনকাল : গ্রেফতারের পর আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল? মহিউদ্দিন চৌধুরী : গ্রেফতারের পর প্রথম কোথায় নিয়েছিল এখন মনে পড়ছে না। তবে একদিন পর আমাকে আদালতে হাজির করলে আদালত আমাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। চট্টগ্রামসহ বান্দরবান কারাগারে ছিলাম বেশ কিছুদিন। বেশি অসুস' হয়ে পড়ায় সেখান থেকে আমাকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে গেলে অসুস'তার কারণে কখনো পিজিতে, কখনো কারাগারে থাকতে হয়েছিল। দিনকাল : রাজনৈতিক জীবনে আপনি বহুবার গ্রেফতার হয়েছেন, সেসব গ্রেফতারের সাথে ওয়ান-ইলেভেনের গ্রেফতারের কোনো পার্থক্য আছে? মহিউদ্দিন চৌধুরী : ছাত্রজীবনে রাজনীতির সাথে সংযুক্ত থাকায় ছাত্রজীবন থেকে কারাগারে যাওয়া শুরম্ন হয়েছিল। সেই থেকে ৭ দফা আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বহুবার আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। তবে ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেফতার হওয়া আমার জন্য যেমন ছিল মর্মানিৱক, তেমনি ছিল দুঃখজনক। গ্রেফতারের প্রক্রিয়া ছিল ‘একটি হিংস্র বাঘ যেন নিরীহ পশুকে আক্রমণ করছে।’ তাদের সবার মধ্যে যেন এই ধরনের আচরণ সারাৰণ বিচরণ করতো। তারা ছিল লেফট-রাইট আর ধুমধাপ পার্টি। ভয় দেখানোই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। দিনকাল : কারাগারে আপনার ওপর কি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হয়েছিল? মহিউদ্দিন চৌধুরী : জেলে যেতে যেতে জেলজীবন আমার অভ্যসৱ হয়ে গিয়েছিল। পাকিসৱান আমল থেকে আমাকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের সময় পুলিশ, ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সংস'ার হাতে নির্যাতিত হতে হয়েছিল। এবার ওদের আচরণে মনে হয়েছিল ওরা আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করবে, হয় বয়স ও খুবই অসুস'তার কারণে সেই নির্যাতনের হাত থেকে বেঁচে গেলেও মানসিক নির্যাতন ছিল সারাৰণ। দিনকাল : কি অপরাধে আপনাকে গ্রেফতার করেছে? মহিউদ্দিন চৌধুরী : প্রথমদিকে ওরা আমাদেরকে সমাজের চোখে অপরাধী বানাতে গ্রেফতার করে, পরে আমার বিরম্নদ্ধে শত চেষ্টা করে তন্ন তন্ন করে কোনো অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি। আমি চেয়েছিলাম চট্টগ্রামকে সুন্দর নগরীতে রূপানৱরিত করতে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চেয়েছি এই বন্দরনগরীকে। কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠানকে চালু রেখে নগরীতে আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছি। স্কুল-কলেজসহ বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দরভাবে পরিচালনা করে চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক নগরে পরিণত করতে চেয়েছি। এই চাওয়াটা ছিল আমার অপরাধ। আমার সাফল্যে তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে গ্রেফতার করেছে। দিনকাল : আপনার বিরম্নদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে? মহিউদ্দিন চৌধুরী : তখনকার এলজিআরডি উপদেষ্টা ছিলেন আমার খুবই আপনজন আনোয়ারম্নল ইকবাল সাহেব। আমরা এক সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। তিনি র‌্যাব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পরে উপদেষ্টা হয়েছেন। অথচ তিনি প্রতিহিংসার কারণে এলজিআরডি উপদেষ্টা হওয়ায় আমাকে বেশি হয়রানি করেছেন। তিনি অনেক চেষ্টা করেও আমার একটি দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি। তবে তিনি ছিলেন দুর্নীতিবাজ। নিশ্চয়ই একদিন তার বিচার বাংলার মাটিতে হবে। দিনকাল : আপনার পরিবারের ওপর কোনো নির্যাতন হয়েছিল? মহিউদ্দিন চৌধুরী : আমাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ওরা আমার অফিস ও বাসায় বিভিন্ন সময় তছনছ করেছে। আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে পশুর মতো আচরণ করেছে। আমার ছেলেরা তখন দেশের বাইরে ছিল। এক মেয়ে তো মারা গেল। আরেক মেয়েসহ পরিবারের ওপর যে জুলুম করেছিল তা ছিল সীমার বাইরে। ১৪/১৫ বছরের এই ছোট্ট মেয়ের সাথে তারা দুর্ব্যবহার করতো। ওদের অত্যাচারে বিভিন্ন সময় ওরা নির্বাক হয়ে পড়েছে। মাঝে-মধ্যে পরিবারের সাথে দেখা হলে ওদের সাহস দিতাম। বলতাম এগুলো সহ্য করতে হবে। কারণ তোমরা রাজনৈতিক পরিবারের সনৱান। এই জুলুম-নির্যাতনের শেষ অবশ্যই একদিন হবে। দিনকাল : ওয়ান-ইলেভেনের ঝড়ে অনেক রাজনীতিবিদ অনেক কিছু হারিয়েছেন, আপনি তেমন কিছু হারিয়েছেন? মহিউদ্দিন চৌধুরী : মৃত্যুপথযাত্রী মেয়ে টুম্পাকে দেখতে না পারাটা ছিল ওয়ান-ইলেভেনে আমার জন্য সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। বিনা অপরাধে আমি ছিলাম কারাগারে। আমার আদরের মেয়ে টুম্পা ক্যান্সার আক্রানৱ হয়ে বিদেশে মৃত্যুর প্রহর গুনছিল প্রতি মুহূর্তে। বারবার আর্তনাদ করে জানিয়েছে, ‘আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই’। আমিও কারাগারের মধ্যে স্বপ্নে দেখি, আমি আমার মেয়েকে দেখতে গেছি। টুম্পা আমাকে দেখে চিৎকার করে বলছে, ‘বাবা, তুমি দেরিতে এসেছো কেন?’ এই বলে মেয়ে আমাকে ধরে চিৎকার করে কাঁদছে। আমিও তখন হয়তো স্বপ্নে কাঁদছিলাম। এই কথাগুলো বলার সময় মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কণ্ঠ সৱব্ধ হয়ে যেতে থাকে। মনে হলো তিনি তখন ভেতরে ভেতরে সত্যিই কাঁদছেন। কয়েক মুহূর্ত থেমে থাকার পর মেয়র কিছুটা অভিমানী কণ্ঠে বললেন, আমি সে সময় মেয়েকে দেখতে বিদেশে যাওয়ার জন্য তৈরি ছিলাম। প্রথমে ওরা আমাকে বেইল দেয়নি। পরে বেইল দিলেও ভিসার কারণে ওরা আমাকে আমার মেয়ের কাছে যেতে দেয়নি। তাই আমাকে শেষ পর্যনৱ আমার কন্যা টুম্পার মৃতদেহ দেখতে হয়েছে। আমার পরিবারের অনেকের বিভিন্ন সময় মৃত্যু হয়েছে। কিন' আমার মেয়ে টুম্পার মৃত্যু ছিল আমার কাছে সবচেয়ে বেদনাদায়ক। একজন পিতার কাছে তার সনৱানের মৃত্যু সহ্য করাটা ছিল সবচেয়ে কঠিন। টুম্পাকে শেষ মুহূর্তে পিতৃস্নেহ দিতে পারিনি বলে এই আৰেপ আমাকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। প্রতি মুহূর্তে এই দায় আমাকে ৰতবিৰত করে চলেছে। দিনকাল : ফখরম্নদ্দীন সরকারের বহুল আলোচিত মাইনাস-টু প্রসঙ্গে কিছু বলবেন? মহিউদ্দিন চৌধুরী : তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো দুই নেত্রীকে মাইনাস করে খেয়ে ফেলতে চেয়েছিল। এগুলো ব্রিটিশ আমল, পাকিসৱান আমলে চলেছে। ভবিষ্যতে এগুলো চলতে পারে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেকবার মাইনাস করার পাশাপাশি খাদ্যে বিষ মিশিয়েও মাইনাসের চেষ্টা চালানো হয়েছে। আলস্নাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। এখনো তার ওপর হুমকি রয়েছে। তাই আলস্নাহর কাছে দোয়া করছি তার ওপর যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। তিনি যেন সুস'ভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারেন। দিনকাল : আপনাকে চট্টগ্রাম থেকে মাইনাস প্রসঙ্গে কিছু বলবেন? মহিউদ্দিন চৌধুরী : দেশকে রাজনীতিকশূন্য করতে চাইলে তা কখনো সফল হবে না। চক্রানৱকারীরা অনেক চেষ্টা করেও আমাকে দমাতে পারেনি। আলস্নাহর রহমতে আমি এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। মৃত্যুর আগপর্যনৱ আমি জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো। দিনকাল : সে সময়ের আলোচিত ‘বিজয় টিভি’ সম্পর্কে কিছু বলবেন? মহিউদ্দিন চৌধুরী : সে সময় ‘বিজয় টিভি’ প্রাথমিকভাবে পরীৰা-নিরীৰা করার অনুমতি নিয়ে পরীৰামূলকভাবে চালিয়েছি। শেষে যে অনুমতি নেয়ার দরকার ছিল তা নেইনি। এটাই ছিল আমার অপরাধ, আমি তো সেখানে নিজের বাড়িঘর নির্মাণ করিনি। নগরবাসীর জন্য একটি টিভি করতে চেয়েছি সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছে আমি আড়াই কোটি টাকা খরচ করেছি। একটি টিভির জন্য আড়াই কোটি টাকা কি খুব বেশি? তাছাড়া খরচের তো সব হিসাব খাতাপত্র রয়েছে। আমি ঘোষণা করেছি, বিজয় টিভি শিগগিরই চালু হবে। দিনকাল : সিন্ডিকেট তথা ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট সম্পর্কে কিছু বলুন। মহিউদ্দিন চৌধুরী : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথমদিকে ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট সম্পর্কে বেশি আলোচিত হলেও তারা তা ভাঙতে পারেনি। তাদের সময় এর শেষদিকে এসব সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশে উঠিয়েছে। বর্তমানে আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙতে চা"িছ। রমজানে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। দিনকাল : ওয়ান-ইলেভেনের নায়ক সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের বিচার চান কি না? মহিউদ্দিন চৌধুরী : অপরাধী যেই-ই হোক না কেন তার বিচার হতে হবে, মইন উ আহমেদ কেন, আমার পিতাও যদি অপরাধ করে তার বিচার হবে। সময়ের প্রেৰিতে সব বিচার একদিন হবে। তবে এসব বিষয়ে আমার দল যে সিদ্ধানৱ নেবে তা আমি মাথা পেতে নেবো। দিনকাল : সাবেক উপদেষ্টাদের দুর্নীতির বিচার চান কিনা? মহিউদ্দিন চৌধুরী : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের দুর্নীতির তদনৱ অবশ্যই হবে। সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, এমএ মতিন, আনোয়ারম্নল ইকবালসহ যাদের বিরম্নদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদের দুর্নীতির বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। দিনকাল : ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি করে যারা রাজনীতিবিদদের হেয় করতে হয়রানি করেছে তাদের বিচার চান কি? মহিউদ্দিন চৌধুরী : অবশ্যই বিচার চাই, যারা অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে বর্বরোচিতভাবে আমাদের কারাগারে নিয়ে গেছে, যারা নিরপরাধ মানুষের ওপর জুলুম চালিয়েছে তাদের বিচারের মাধ্যমে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বুঝাতে হবে যে, অত্যাচারকারী ও নির্যাতনকারীরা পার পেতে পারে না।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা