Posts

Image
নেদারল্যান্ডে “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে”র সামনে বিশাল মানববন্ধনে ইউরোপের ১৬টি দেশের শত শত প্রবাসী বাঙ্গালীদের যোগদান মোস্তফা জামান, হল্যান্ড (শনিবার ১৬ জুন ২০১২, ১ আষাড় ১৪১৯, ২৫ রজব ১৪৩৩):- হল্যান্ড আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, ‘৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবীতে-এবং বিশ্বজনমত গড়ে তোলার লক্ষে ১১ই জুন ২০১২, হল্যান্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে, সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সার্বিক সহযোগীতায় নেদারল্যান্ডস্হ ডেনহাগ শহরে “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে”র সামনে এক বিশাল ‘সমাবেশ ও মানববন্ধন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সমাবেশ ও মানববন্ধনে’ সভাপিতত্ব করেনঃ হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাঈদ ফারুক।পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান। উক্ত সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনঃ সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি ও জাতীয় কমিটির সদস্য-শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জ্বনাব এম এ গণি। সমাবেশের প
Image
জাতির নেতৃত্ব দিতে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ঢাকা(সোমবার ২৬ মার্চ ২০১২, ১২ চৈত্র ১৪১৮, ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৩):- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে একটি গর্বিত জাতির প্রকৃত ইতিহাস জানতে আজ শিশুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা শিশুদের উদ্দেশে বলেন, ভবিষ্যতে তোমরাই বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে। ফলে তোমাদেরকে জাতির মূল্যবান সন্তান হতে সকল ধরনের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যাতে বাংলাদেশ নিজস্ব মর্যাদা নিয়ে বিশ্বে এগিয়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী আজ এখানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু সমাবেশে ভাষণদানকালে একথা বলেন। শেখ হাসিনা সুন্দর নৈতিক চরিত্রের অধিকারী এবং দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি শিশুদের প্রতি প্রগতিশীল মানসিকতা গড়ে তোলা এবং সমাজবিরোধী কোন কর্মকাণ্ড অথবা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত না হতে

"যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না"

যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না যাঁরা বলেন পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না, তাঁরা হয় গোবর গনেশ, না হয় জ্ঞানপাপী-জেনেশুনে ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় লিপ্ত। কারণ, আমরা সবাই জানি লাহোর প্রস্তাবকেই পাকিস্তান সৃষ্টির ভিত্তি ধরা হয়। কিন্তু লাহোর প্রস্তাবের আওতায় তৎকালীন পূর্ববঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত করা যে শুভঙ্করের ফাঁকি এবং বাঙ্গালীদের সাথে এক জঘন্য প্রতারণা ছিল তা ঐ লাহোর প্রস্তাব মনোযোগ সহকারে দেখলেই পরিষ্কার বোঝা যায়। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলসমুহ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রসমুহ গঠনের প্রস্তাব সম্বলিত ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হয়, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান প্রস্তাব নামে অভিহিত হয়। শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক উক্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। মূল প্রস্তাবটি ছিল এরকম, নো কন্সটিটিউশনাল প্ল্যান উড বি ওয়য়ার্কেবল ওর এক্সেপ্টেবল টু দ্য মুসলিমস্‌ আনলেস জিওগ্রাফিক্যাল কন্টিগিউয়াস ইউনিটস আর ডিমার্কেটেড ইনটু রিজিওন্স হুইচ শুড বি সো কনস্টিটিউটেড উইথ সাচ টেরিটোরিয়াল রিএডজাস্টমেন্টস এজ ম্যায় বি নেসে

তাঁর নামের সঙ্গে বিশেষণের দরকার নেই

Image
তাঁর নামের সঙ্গে বিশেষণের দরকার নেই আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ॥ আবদুর রাজ্জাক চলে গেলেন (ইন্নালিলস্নাহি...রাজিউন)। লন্ডনের একটি নয় দুটি হাসপাতালে দীর্ঘ কয়েক মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘকাল লিভারের জটিল অসুখে ভুগছিলেন। তাঁর দেহে নতুন লিভার সংযোজন জরুরী হয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত একটি লিভারের ব্যবস্থা হলো। কিন্তু সেটি সুস্থ লিভার নয়। চিকিৎসায় অর্থাভাবও ছিল। সেই অর্থের সংস্থান হলো। কিন্তু নতুন লিভার সংস্থাপনের মতো শারীরিক অবস্থা তাঁর ছিল না। ডাক্তাররা তাঁর দেহে অস্ত্রোপচারের জন্য সময় নিচ্ছিলেন। তাঁর পর তো দেখা গেল, যার কাছ থেকে লিভার পাওয়া নিশ্চিত ছিল তিনি নিজেই অসুস্থ। একটি লিভারের অভাবে আবদুর রাজ্জাককে বাঁচানো যাবে না, এটা তখনই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। চিকিৎসকরাও বলছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা অপারেশন সহ্য করার মতো সবল হয়ে ওঠেনি। তাঁকে শেষ পর্যনত্ম লাইফ সাপোর্ট মেশিনে রাখা হয়েছিল। যখন দেখা গেল তাঁর জীবন রৰার আর কোন উপায় নেই, তখন আজ (২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার) তাঁর শরীর থেকে লাইফ সাপোর্ট মেশিন খুলে নেয়া হয়। দুপুরের পরই সারা লন্ডন শহরে খবর প্রচারিত হয় আব্দুর রাজ্জাক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর বেশ

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক আর নেই

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক আর নেই। দীর্ঘ রোগভোগের পর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্যের। শুক্রবার লন্ডন সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে আব্দুর রাজ্জাকের লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে মৃত্যুর ঘোষণা দেন লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা, বাংলাদেশে সময় তখন রাত ৯টা ৫০ মিনিট। লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরী হাসপাতালে উপস্থিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি সৈয়দ নাহাস পাশাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। যকৃৎ (লিভার), বৃক্ক (কিডনি) ও ফুসফুসে জটিলতা নিয়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাজ্জাক। যকৃৎ প্রতিস্থাপনের জন্য লন্ডন গেলেও পরে অন্য দুটি অঙ্গেও সমস্যা দেখা দেয়। একাত্তরে মুজিব বাহিনীর অন্যতম পুরোধা এবং ’৯০ এর দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাািবতে সূচিত আন্দোলনের সংগঠক এবং গণআদালতের অন্যতম উদ্যোক্তা রাজ্জাকের বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাক এবং দুই ছেলে রেখে গেছেন। রাজ্জাকের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্ডায়। ইমাম উদ্দিন ও আকফতুন নেছার সন্তান রাজ্জাক যতবার সেখান থেকে নির্বাচন করেছিলেন, ততবারই বিজয়ী হন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নানা ষড়যন্ত্র চলছিল। শোনা যাচ্ছিল-এমনকি হতে পারে কমান্ডো হামলা। এমন পরিস্থিতিতে রেসকোর্সে ভাষণের আগে-পরে বঙ্গবন্ধুকে আনা নেওয়ার দায়িত্ব ছিল আমার উপর। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে সেই দায়িত্ব ছিল আমার। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসা থেকে সমাবেশস্থলে আনা নেওয়ায় বিশেষ কৌশল নিতে হয়েছিল। পূর্ব পরিকল্পিত যাত্রাপথ পাল্টে বঙ্গবন্ধুকে আনা হয় রেসকোর্সে। ভাষণের পরেও বদলাতে হয়েছিল পথ। ধানমণ্ডি থেকে রেসকোর্স হয়ে ফের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পরই স্বস্তিবোধ করছিলাম। ১৯৭১ সালে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ১ মার্চেই বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত দেন ৭ মার্চে ভাষণ দেবেন তিনি। এসময় দলমত নির্বিশেষে ছাত্র-যুবা, আওয়ামী লীগসহ শীর্ষনেতারা গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে তাদের মতামত দিতেন। ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সে ভাষণ দেবেন। ওই দিন কী ঘোষণা দেবেন বঙ্গবন্ধু? এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। আগেরদিন (৬ মার্চ) ইকবাল হল থেকে সব ছাত্র আমার কাছে এসে দাবি করলো, কাল (৭ মার্চ) যেনো স্বাধী

বাঙালির বিজয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হলো : আজ উৎসব, আজ আনন্দ

Image
বাঙালির বিজয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হলো : আজ উৎসব, আজ আনন্দ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হলো আজ ১৬ ডিসেম্বর , শুক্রবার। আজ মহান বিজয় দিবস। আজকের প্রভাতে পূর্ব দিগনেৱ যে নতুন সূর্যের উদয় হলো তার রঙ এতো লাল কেন? সেকি ‘হরিদাসী’র সিঁথির সিঁদুর মেখে, নাকি বীর মুক্তিসেনার রক্তের সাগরে স্নাত হয়ে এসেছে বলে? বিজয় আনন্দের, বিজয় গৌরবের, বিজয় মাথা তুলে দাঁড়াবার। কিন্তু বাঙালির বিজয় একাধারে বেদনারও। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যে বিজয়- সে তো বেদনার অশ্রম্নতে সিক্ত হবেই। তবু শত বেদনার মধ্যেও, বিজয় মানেই যে উৎসব! আজ তাই বাঙালির বিজয় উৎসব। ঘরে ঘরে আজ উড়ছে বিজয় কেতন। হৃদয়ে হৃদয়ে স্ফুরিত আনন্দ প্রভা। এই বাংলাদেশ আমাদের, এই স্বাধীনতা আমাদের। এই বিজয় আমাদের।মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির গৌরবময় বিজয়ের ৪০তম বার্ষিকী আজ। এ জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে গৌরবের মহিমায় সমুন্নত অনন্য এই দিনটি। এমন একটি দিনের প্রতীক্ষায় এ দেশের মানুষ প্রহরের পর প্রহর গুনেছে, লড়াই করেছে জীবন বাজি রেখে, ঝরিয়েছে বুকের তাজা রক্ত। অবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের