Posts

Showing posts from 2011

তাঁর নামের সঙ্গে বিশেষণের দরকার নেই

Image
তাঁর নামের সঙ্গে বিশেষণের দরকার নেই আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ॥ আবদুর রাজ্জাক চলে গেলেন (ইন্নালিলস্নাহি...রাজিউন)। লন্ডনের একটি নয় দুটি হাসপাতালে দীর্ঘ কয়েক মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘকাল লিভারের জটিল অসুখে ভুগছিলেন। তাঁর দেহে নতুন লিভার সংযোজন জরুরী হয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত একটি লিভারের ব্যবস্থা হলো। কিন্তু সেটি সুস্থ লিভার নয়। চিকিৎসায় অর্থাভাবও ছিল। সেই অর্থের সংস্থান হলো। কিন্তু নতুন লিভার সংস্থাপনের মতো শারীরিক অবস্থা তাঁর ছিল না। ডাক্তাররা তাঁর দেহে অস্ত্রোপচারের জন্য সময় নিচ্ছিলেন। তাঁর পর তো দেখা গেল, যার কাছ থেকে লিভার পাওয়া নিশ্চিত ছিল তিনি নিজেই অসুস্থ। একটি লিভারের অভাবে আবদুর রাজ্জাককে বাঁচানো যাবে না, এটা তখনই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। চিকিৎসকরাও বলছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা অপারেশন সহ্য করার মতো সবল হয়ে ওঠেনি। তাঁকে শেষ পর্যনত্ম লাইফ সাপোর্ট মেশিনে রাখা হয়েছিল। যখন দেখা গেল তাঁর জীবন রৰার আর কোন উপায় নেই, তখন আজ (২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার) তাঁর শরীর থেকে লাইফ সাপোর্ট মেশিন খুলে নেয়া হয়। দুপুরের পরই সারা লন্ডন শহরে খবর প্রচারিত হয় আব্দুর রাজ্জাক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর বেশ

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক আর নেই

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক আর নেই। দীর্ঘ রোগভোগের পর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্যের। শুক্রবার লন্ডন সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে আব্দুর রাজ্জাকের লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে মৃত্যুর ঘোষণা দেন লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা, বাংলাদেশে সময় তখন রাত ৯টা ৫০ মিনিট। লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরী হাসপাতালে উপস্থিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি সৈয়দ নাহাস পাশাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। যকৃৎ (লিভার), বৃক্ক (কিডনি) ও ফুসফুসে জটিলতা নিয়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাজ্জাক। যকৃৎ প্রতিস্থাপনের জন্য লন্ডন গেলেও পরে অন্য দুটি অঙ্গেও সমস্যা দেখা দেয়। একাত্তরে মুজিব বাহিনীর অন্যতম পুরোধা এবং ’৯০ এর দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাািবতে সূচিত আন্দোলনের সংগঠক এবং গণআদালতের অন্যতম উদ্যোক্তা রাজ্জাকের বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাক এবং দুই ছেলে রেখে গেছেন। রাজ্জাকের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্ডায়। ইমাম উদ্দিন ও আকফতুন নেছার সন্তান রাজ্জাক যতবার সেখান থেকে নির্বাচন করেছিলেন, ততবারই বিজয়ী হন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নানা ষড়যন্ত্র চলছিল। শোনা যাচ্ছিল-এমনকি হতে পারে কমান্ডো হামলা। এমন পরিস্থিতিতে রেসকোর্সে ভাষণের আগে-পরে বঙ্গবন্ধুকে আনা নেওয়ার দায়িত্ব ছিল আমার উপর। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে সেই দায়িত্ব ছিল আমার। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসা থেকে সমাবেশস্থলে আনা নেওয়ায় বিশেষ কৌশল নিতে হয়েছিল। পূর্ব পরিকল্পিত যাত্রাপথ পাল্টে বঙ্গবন্ধুকে আনা হয় রেসকোর্সে। ভাষণের পরেও বদলাতে হয়েছিল পথ। ধানমণ্ডি থেকে রেসকোর্স হয়ে ফের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পরই স্বস্তিবোধ করছিলাম। ১৯৭১ সালে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ১ মার্চেই বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত দেন ৭ মার্চে ভাষণ দেবেন তিনি। এসময় দলমত নির্বিশেষে ছাত্র-যুবা, আওয়ামী লীগসহ শীর্ষনেতারা গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে তাদের মতামত দিতেন। ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সে ভাষণ দেবেন। ওই দিন কী ঘোষণা দেবেন বঙ্গবন্ধু? এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। আগেরদিন (৬ মার্চ) ইকবাল হল থেকে সব ছাত্র আমার কাছে এসে দাবি করলো, কাল (৭ মার্চ) যেনো স্বাধী

বাঙালির বিজয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হলো : আজ উৎসব, আজ আনন্দ

Image
বাঙালির বিজয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হলো : আজ উৎসব, আজ আনন্দ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হলো আজ ১৬ ডিসেম্বর , শুক্রবার। আজ মহান বিজয় দিবস। আজকের প্রভাতে পূর্ব দিগনেৱ যে নতুন সূর্যের উদয় হলো তার রঙ এতো লাল কেন? সেকি ‘হরিদাসী’র সিঁথির সিঁদুর মেখে, নাকি বীর মুক্তিসেনার রক্তের সাগরে স্নাত হয়ে এসেছে বলে? বিজয় আনন্দের, বিজয় গৌরবের, বিজয় মাথা তুলে দাঁড়াবার। কিন্তু বাঙালির বিজয় একাধারে বেদনারও। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যে বিজয়- সে তো বেদনার অশ্রম্নতে সিক্ত হবেই। তবু শত বেদনার মধ্যেও, বিজয় মানেই যে উৎসব! আজ তাই বাঙালির বিজয় উৎসব। ঘরে ঘরে আজ উড়ছে বিজয় কেতন। হৃদয়ে হৃদয়ে স্ফুরিত আনন্দ প্রভা। এই বাংলাদেশ আমাদের, এই স্বাধীনতা আমাদের। এই বিজয় আমাদের।মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির গৌরবময় বিজয়ের ৪০তম বার্ষিকী আজ। এ জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে গৌরবের মহিমায় সমুন্নত অনন্য এই দিনটি। এমন একটি দিনের প্রতীক্ষায় এ দেশের মানুষ প্রহরের পর প্রহর গুনেছে, লড়াই করেছে জীবন বাজি রেখে, ঝরিয়েছে বুকের তাজা রক্ত। অবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের

বিজয়ের ৪০ বছর

Image
বিজয়ের ৪০ বছর" বিজয়ের ৪০ বছর ঢাকা, ডিসেম্বর ১৬ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে দুই যুগের পাকিস্তানী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের এ দিনটি উদযাপনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সকালে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূর্যোদয়ের সঙ্গেসঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে। রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও রং-বেরংয়ের বিভিন্ন পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো বিভিন্ন অনুষ্

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত : সবার কণ্ঠেই আওয়াজ ছিল দ্রম্নত হোক যুদ্ধাপরাধ বিচার

Image
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত : সবার কণ্ঠেই আওয়াজ ছিল দ্রম্নত হোক যুদ্ধাপরাধ বিচার ফুলেল শ্রদ্ধা আর বিনম্র ভালোবাসায় দেশের শ্রেষ্ঠ সনৱান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করলো জাতি। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাবনতচিত্তে দাঁড়িয়ে সবার অঙ্গীকার ছিল রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো। সবার কণ্ঠেই ছিল এক আওয়াজ, দ্রম্নত হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের দ্রম্নত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান তারা।যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবির মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। কাকডাকা ভোরে জনতার ঢল নামে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ আর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন এবং ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও সাংসদ এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা উপসি'ত ছিলেন। শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। মুক্তিযোদ্ধারা তার কাছে বিভিন্ন অনুযোগ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাদের সেগুলো পূরণের আশ্বাস দেন।মুক্তিযোদ্ধাদের একজন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রম্নত শেষ ক

সেরনিয়াবাতের বাসায় গুলিবিদ্ধ : সেই রাতের কথা মনে হলে আঁতকে ওঠেন ডা. জিল্লুর

Image
সেরনিয়াবাতের বাসায় গুলিবিদ্ধ : সেই রাতের কথা মনে হলে আঁতকে ওঠেন ডা. জিল্লুর ঘাতকের বুলেটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েও বেঁচে থাকা ডা. খ ম জিল্লুুর রহমান এখনো রাতে আঁতকে ওঠেন। ১৫ আগস্টের সেই বিভীষিকাময় রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বারবার প্রিয় নেতার কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই রাতের ভয়াল ও লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ঘাতকরা এতোই পাষাণ যে তারা বঙ্গবন্ধুর ছোট শিশু সন্তান শেখ রাসেল ও আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর শিশুপুত্র সুকান্ত বাবুকেও ওরা বাঁচিয়ে রাখেনি। নির্মমভাবে তাদেরকে হত্যা করেছে। ডা. জিল্লুুর বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার ৪০ বছর পর হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেছেন দেখতে পেয়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে। যে বঙ্গবন্ধু না হলে দেশ স্বাধীন হতো না, আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। সেই স্বাধীনতার স্থপতির খুনিদের বিচারে এতো বিলম্ব হওয়াটা জাতির জন্য বড় বেদনাদায়ক। গত ১৪ আগস্ট পবিত্র মাহে রমজানের তারাবির নামাজ আদায়ের পর ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মর্মস্পর্শী ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল রাতের বর্ণনা করেন তিনি। তিনি বলেন, তৎকালীন মন্ত্র

আজ বাঙালির শোকের দিন

Image
আজ বাঙালির শোকের দিন বাঙালির শোকের দিন ১৫ আগস্ট আজ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৬তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনে শোকাচ্ছন্ন রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত এক কালো দিন আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোরে একদল রক্তলোলুপ ষড়যন্ত্রকারীর নীলনকশা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর আদর্শচ্যুত কয়েকজন হিংস্র লোভী ঘাতক ধানম-ির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িটিতে সপরিবারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। বিগত ৩৬টি বছর ধরে সেই ঐতিহাসিক বাড়িটির দেয়ালে দেয়ালে, সিঁড়িতে, সারাবাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে আছে নির্মম সেই হত্যাকা-ের নিদর্শন। বছর ঘুরে আজ আবার এসেছে বেদনাবিধুর সেই ১৫ আগস্ট। তবে এবার এক নতুন প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে জাতির জনকের শাহাদাতবার্ষিকী। অবৈধ ৰমতা দখল চিরতরে রদকল্পে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে মহান জাতীয় সংসদ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির চির অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে

বিশ্বের সেরা নারী নেত্রীদের তালিকায় শেখ হাসিনা

Image
বিশ্বের সেরা নারী নেত্রীদের তালিকায় শেখ হাসিনা বিশ্বের শীর্ষ ১২ নারী নেত্রীর একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনলাইন টাইম ম্যাগাজিন গত ৫ আগস্ট ওইসব নেত্রীর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে ৭ নম্বরে ঠাঁই পেয়েছেন শেখ হাসিনা। তালিকার ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছেন থাইল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যানজেলা মারকেল। ৩ নম্বরে রয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিনা ফার্নান্দেজ ডি কিশ্চেনার। টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এ বিষয়ক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘টপ ১২ ফিমেল লিডারস এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’। অনলাইন নিউজ এজেন্সি ইউকে বিডিনিউজ এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (৬৩) আওয়ামী লীগের নেত্রীও। তার বেঁচে থাকাটাও একটি ইতিহাস। ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের সময় তার পরিবারের ১৭ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা হারিয়েছেন তার তিন ভাই, মা ও পিতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকে। তখন শেখ হাসিনার বয়স ২৮ বছর। তিনি ছিলেন বিদেশে। এজন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পরে তিনি

৬৩ বছরে আওয়ামী লীগ

Image
৬৩ বছরে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটি বৃহস্পতিবার ৬৩ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "ছয় দশকেরও বেশি কাল ধরে পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ম্ুিক্তযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক এবং সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্বদানের সুমহান গৌরব অর্জন করেছে।" তিনি আওয়ামী লীগ গঠনে এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদন স্মরণ করেন। প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে রঙিন পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড টানানো হয়েছে। ২৩ জুন (বৃহস্পতিবার) ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৭ টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবে

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

Image
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ১৭ মে। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবতার শত্র" ঘৃণ্য ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। ঐ সময়ে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের নির্মমতার হাত থেকে রেহাই পান। ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্র"য়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস-বায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চিরঅবসান ঘটিয়ে জনগণের হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়।১৭ মে ১৯৮১ সাল; সারা দেশের গ্রামগঞ্জ, শহর-বন্দর থেকে লাখ লাখ অধিকারবঞ্চিত মুক্তিকামী জনতা সেদিন ছুটে এসেছিল রাজধানী ঢাকায়। স্বাধীনতার অমর স্লোগান ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্

সংবিধানের মূল স-ম্ভগুলো কোনভাবেই পরিবর্তনযোগ্য নয় : প্রধান বিচারপতি

Image
সংবিধানের মূল স-ম্ভগুলো কোনভাবেই পরিবর্তনযোগ্য নয় : প্রধান বিচারপতি মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ, আদর্শ ও চিন-াধারা মাথায় রেখে সংবিধান সংশোধন করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়র"ল হক তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের কথা চিন-া করতে হবে লাখো মুক্তিযোদ্ধা, লাখো শহীদের কথা মাথায় রেখে। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন-র্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নবীন আইনজীবীদের সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। বার কাউন্সিলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়র"ল হক বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো কোনভাবেই পরিবর্তনযোগ্য নয়। বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি থেকে যেন সামান্যতম পদস্খলন না হয়। এছাড়া বিচারপতিদের অভিশংসনের (ইমপিচমেন্ট) বিষয়েও কথা বলেন তিনি। বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার আইনজীবীকে সনদ প্রদান করা হয়। প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়র"ল হক বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন করে

স্মরণ:ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব

ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব গত ১৯ মার্চ ছিলো ভাষা সৈনিক গোলাম মাহবুবের ৫ম মৃতু্যবার্ষিকী। ২০০৬ সালের এ দিনে তিনি ৭৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। গোলাম মাহবুব ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। একজন প্রবীণ আইনজীবী হিসাবে তিনি ১৯৯৩ সালে সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।আমাদের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে কাজী গোলাম মাহবুবের অবদান অবিস্মরণীয়। ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে তিনি ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সে বছর ১১ মার্চ প্রথম গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে। সেদিন সচিবালয়ে পিকেটিংকালে সহকর্মীদের নিয়ে তিনি রাস্তায় আইজি'র গাড়ির সামনে শুয়ে ব্যরিকেড দেন। এ কারণে তাকে বর্বরোচিত পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হয় এবং সে অবস্থায়ই তাকে করা হয় গ্রেফতার। ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা চুক্তি সত্ত্বেও তিনি মুক্তি পাননি। ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাকে ও অন্যান্য রাজবন্দিদের ছাড়া জেল থেকে বের হবেন না বলে ঘোষণা দেন। এ অবস্থায় সরকার তাদেরকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ৩১ জানুয়ারি মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে বার লাইব্রেরির সভায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পর

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

Image
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯১তম জন্মদিন বৃহস্পতিবার। এ দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এদিন সরকারি ছুটি। চলতি বছর এ দিবসের প্রতিপাদ্য- 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নদেশ, দিন বদলের বাংলাদেশ'। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ও মোসাম্মৎ সায়রা বেগমের সংসারে জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে মুজিব ছিলেন তৃতীয়। কালক্রমে মুজিব পরিণত হন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায়। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে তিনি পরিচিত হন 'বঙ্গবন্ধু' হিসেবে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়তো বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বাঙালি জাতির ইতিহাসে তার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির প্রতিভূ। প্রকৃত ইতিহাস জানতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বাঙালির স্বার্থের ব্যাপারে আপসহীন এই নেতা সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করেন ছাত

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু

Image
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু তোফায়েল আহমেদ প্রতি বছর ২৩ ফেব্র"য়ারি দিনটি আমি গভীরভাবে স্মরণ করি। এ দিনটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ১৯৬৯-এর ২৩ ফেব্র"য়ারি ইতিহাসের মহামানব, বাংলার মুকুটহীন সম্রাট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। প্রিয় নেতা তার যৌবনের চৌদ্দটি মূল্যবান বছর পাকিস্তানের কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছিলেন। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে যে নেতা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলার ছবি হূদয় দিয়ে এঁকেছিলেন, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন, সেই নেতাকেই সেদিন জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম। তিনি শুধু বাঙালি জাতিরই মহান নেতা ছিলেন না, সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন। পাকিস-ান প্রতিষ্ঠার পরপরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এ পাকিস-ান বাঙালিদের জন্য হয়নি। একদিন বাঙালিকে বাংলার ভাগ্যনিয়ন-া হতে হবে। সে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে ১৯৪৮-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করে ১৯৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর সংগ্রামের সুদীর্ঘ পথে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জা

সাবেক সামরিক জান্তা বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের কথা

জিয়া ছিলেন যুগপৎ ধূর্ত কপট প্রতারক ষড়যন্ত্রকারী।….এমন অমানুষ সত্যি দুর্লভ " ---- প্রফেসর আহমদ শরীফ সাবেক সামরিক জান্তা বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের কথা ---- ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান - ১। যিনি সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে বিদ্রোহ করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন । ২।যিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ও ফোর্স অধিনায়ক ছিলেন যার বিরুদ্ধে মুজিবনগর সরকার/ সিইনসি ওসমানী শাস্তিমূ্লক ব্যবস্থা নেয় । ৩।যিনি ১৯৭৫ সালে ঘাত-সংঘাতময় সময়ের এক দু্র্বোধ্য চরিত্র ছিলেন ! ৪। যিনি ৭ নভেম্বর '৭৫ এ জাসদের বীরউত্তম কর্নেল তাহেরের পরিকল্পনা ও উদ্যোগে পরিচালিত কথিত সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানি খালেদ-হায়দার-হুদার লাশের উপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন ২য় ফিল্ড রেজিমেন্টে ও ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের অফিসার ও সৈনিকদের প্রত্যক্ষ মদদে । ৫। যিনি তাহেরের সাথে প্রথম দেখায় (৭ নভেম্বর '৭৫) তাকে আলিঙ্গন করে বলেন -"ইউ আর মাই ব্রাদার , ইউ আর মাই সেভার"

****আওয়ামী লীগ-বিএনপি তফাতটা কতদূর*****

**** আওয়ামী লীগ - বিএনপি তফাতটা কতদূর***** ******আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তফাত চিহ্নিত করা না গেলে শুধু তিমির হননের গান গাইতে হবে। প্রভাতের আলোয় চেহারা চিহ্নিত করা যাবে না। আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে যে কি বিসত্মর ব্যবধান তাকে দৃষ্টিগ্রাহ্য করে তুলতেই হবে। কখনও নানা কর্মকাণ্ডে দুই দলের পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, আবার কখনও সে ফারাক এতই মলিন হয়ে পড়ে যে সে একমাত্র অণুবীৰণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে হয়। ******বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই দুই সংগঠনের সাংগঠনিক পরিচয়কে এক আকার করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেনানিবাস আর হাওয়া ভবনের বিএনপি আর রাজপথের আওয়ামী লীগের ভিন্ন পরিচয়কে স্পষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু দু'বছর যেতে না যেতেই আবার জনগণ কিছুটা বিভ্রানত্ম হয়ে পড়েছে দুই সংগঠনের পার্থক্যটা নিয়ে। আচার-আচরণে নেতৃত্বের পরিচয়ে যে পার্থক্য প্রবল হয়ে উঠেছিল, তা যেন আবারও মস্নান হতে শুরু করেছে। *****ভারত বিভাগের পর পূর্ব বাংলার হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল বাঙালীর ওপর পাকিস্তানী শাসকদের ধর্মের নামে যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও কায়েমী স্বার্থের ধারকদের একনায়কসুলভ আচরণ, তার বিরুদ্ধে গণ