চীনের সহিংসতায় গ্রেপ্তার ১৪৩৪, নিহতের সংখ্যা ১৫৬

চীনের সহিংসতায় গ্রেপ্তার ১৪৩৪, নিহতের সংখ্যা ১৫৬















উরুমকি, জুলাই ৭ (রয়টার্স)--- জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমকিতে দাঙ্গা-সহিংসতায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৪০০রও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে চীনের পুলিশ। সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৬ জনে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে। প্রায় ২ হাজার সেনা, পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপণ কর্মী রোববারের বিক্ষুব্ধ দাঙ্গা-সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনার পর উরুমকি এখন অপেক্ষাকৃত শান্ত। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, মোট ১,৪৩৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।


স্থানীয় অধিবাসীরা রয়টার্সকে বলেছে,পুলিশ উইঘুর এলাকাতেই নির্বিচারে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও অন্যান্য এলাকায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ছে। উরুমকির পর সোমবার সন্ধ্যায় 'কাসগর' এ প্রায় ২০০ লোকের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। সিনহুয়া একথা জানিয়েছে। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে কাসগড় বিমানবন্দর ও শহরতলীর মাঝের এলাকায় চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে। কাসগরের অবস্থান জিনজিয়াংয়ের পশ্চিমে। এশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি তদারককারী সংস্থার এডভোকেসি ডাইরেক্টর সোফি রিচার্ডসন চীনের এই সহিংসতার ঘটনার তদন্ত আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, "সহিংসতার সূত্রপাত যেই করুক এ অঞ্চলে জাতিগত উত্তেজনা কমাতে সরকারের উচিত উইঘুরদের ক্ষোভের বিষয়টিতে নজর দেওয়া। যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে না যায়।" চীনে কয়েক দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা। বেইজিংয়ের ৩,২৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে উরুমকি শহরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রোববার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। জুনের শেষ দিকে শাওগুয়ানে সরকারের হান চাইনিজ এবং উইঘুর ফ্যাক্টরি কর্মীদের সংঘর্ষ (ওই সংঘর্ষে দুই উইঘুর নিহত হয়) সামাল দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকির রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করে স্থানীয় উইঘুর আদিবাসীরা। তারা গাড়ি ভাঙচুর করাসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দাঙ্গাপুলিশ ও সেনাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। সরকার জাতিগত এই অস্থিরতাকে তাদের ক্ষমতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়েছে। সরকার এই উত্তেজনার জন্য জাতিগত মুসলিম উইঘুর স�প্রদায়কে দোষারোপ করেছে। ওদিকে, সরকারকে পাল্টা দোষ দিয়েছে উইঘুররা। সিনহুয়া জানায়, সোমবার সকালে "পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।"


জিনজিয়াং টেলিভিশনে স�প্রচারিত এক ভাষণে জিনজিয়াং এর গভর্নর নুয়ের বাইকেলি এদিন বলেন, "শাওগুয়ান ঘটনার পর বিদেশি তিনটি শক্তি এ থেকে ফায়দা লুটতে চাইছে এবং আমাদের ওপরে আক্রমণের একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে, বিক্ষোভ উস্কে দিচ্ছে।" তিনটি শক্তি বলতে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গি এবং ধর্মীয় চরমপন্থিদের বুঝিয়েছেন।




World Uyghur Congress






East Turkistan is the homeland of the Turkic speaking Uyghurs and other Central Asian peoples such as Kazakhs, Kyrgyz, Uzbeks, Tatars and Tajiks. According to latest Chinese census, the current population of East Turkistan is 18.62 million, including 7.49 million ethnic Chinese illegal settled in East Turkistan after 1949 (the ethnic Chinese numbered 200,000 in 1949). The population of Muslims is slightly over 11 million; among these, the 8,68 million Uyghurs constitute the majority. However, the Uyghur sources put the population of Uyghurs around 15 to 20 million.
East Turkistan is located beyond the logical boundary of China, the Great Wall. Historically and culturally, East Turkistan is part of Central Asia, not of China. The people of East Turkistan are not Chinese; they are Turks of Central Asia.


খবরে জানা যায়, গত মাসে দৰিণ চীনের এক কারখানায় হান চীনা এবং উইজার মুসলমানদের মধ্যে এক সংঘর্ষে দুই মুসলিম নিহত হবার ঘটনার বিচার দাবিতে রোববার রাজধানীতে এক শানি-র্পূণ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে হাজার তিনেক উইজার মুসলিম। সেখানে সমাবেশের এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর আকস্মিকভাবে চড়াও হলে সমাবেশটি মুহূর্তে সংঘাতে রূপ নেয় এবং দ্র"ত শহরে ছড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, বিৰুব্ধ দাঙ্গাকারীরা রাস-ার ব্যারিকেড তুলে ফেলছে। তারা বিভিন্ন বাড়ি ও যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে সরকারি বার্তা সংস'া জিনহুয়ার দাবি, বিৰোভের পেছনে ‘বহিঃশত্র"র’ উস্কানি রয়েছে। দাঙ্গায় নেপথ্য উস্কানিদাতা হিসেবে সন্দেহভাজন ৯০ জনকে ধরার লৰ্যে জোর অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন প্রদেশের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা। তার আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে। অন্যদিকে, শানি-পূর্ণ সমাবেশে এ ধরনের পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা করে আন-র্জাতিক হস-ৰেপের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘উইজার আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংস'া। সামপ্রতিক এ দাঙ্গার জন্য সংস'াটির নেত্রী মার্কিন প্রবাসী রিবিয়া কাদিরের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন জিনজিয়ানের গভর্ণর নূর বাকরি। সংঘাতের ঘটনাকে পূর্ব-পরিকল্পিত এবং সুসংগঠিত বলে মনে করছে চীন সরকার। অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সংস'ার সহ-সভাপতি আলিম সেইটফ বলেন, জিনজিয়াংয়ে যে কোনো অসি'রতার জন্য মিজ কাদিরকে দায়ী করাটা অনেকদিন ধরেই চীন সরকারের একটা বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তিব্বতের রাজধানী লাসায় গত বছর ভিৰু-বিৰোভের সময়ও অনুরূপভাবে তারা তিব্বতীদের নির্বাসিত নেতা দালাইলামাকে দায়ী করেছিল।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা