ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা

DU Riot: DGFI Brigadier General Fazlul Bari Assaulted

http://www.jumpcut.com/view?id=AD0ECBF44FE711DC9336000423CF4092

http://www.jumpcut.com/view?id=BEF865F84FE911DC97EC000423CF4092


ড.ফখরম্নদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চৌধুরী ফজলুল বারী যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।



তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষদিকে তাকে এই নিয়োগ দেয়া হয়। গত ৭ মে থেকে দূতাবাসের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর তাকে প্রকাশ্য দেখা যায়নি। বর্তমান সরকার গত এপ্রিল মাসে তাকে দেশে তলব করে। বেসরকারি বার্তা সংস'া বিডি নিউজ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ১/১১-এর সশস্ত্র বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক হর্তাকর্তাই বিদেশে গিয়ে আশ্রয় নি"েছন। ওই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরম্নদ্দীন আহমদ ইতিমধ্যেই সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় শ্যালক সাবেক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইফতেখার আহমদ চৌধুরীও সেখানে রয়েছেন। দুই নেত্রীকে গ্রেফতারের হোতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর এই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ তিনি এখনো সামরিক বাহিনীতে কর্মরত। উলেস্নখ্য, ফখরম্নদ্দীন সরকারের সময় ব্রিগেডিয়ার বারী ডিজিএফআই-এর পরিচালক (অপারেশন) হিসেবে অত্যনৱ প্রভাবশালী ছিলেন। সে সময় ওই সংস'ার অপর পরিচালক ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন। ব্রিগেডিয়ার আমিন গত সংসদ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যসৱ করা হয়। সেখান থেকে পরে তাকে মূল সার্ভিসে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ড. ফখরম্নদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার কাজে সন'ষ্ট হয়েই তাকে প্রাইজ পোস্টিং হিসেবে ওয়াশিংটনে পাঠায়। তবে তার ব্যাপারে দেশে তদনৱ চলছিল। তার সম্পদের খোঁজ-খবর নেয়া হয়। একটি হাউজিং কোম্পানিতে তার নামে পস্নট বরাদ্দ নিয়েও তদনৱ হয়। ব্রিগেডিয়ার ফজলুল বারী শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং আমলাদের গ্রেফতারে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাশাপাশি সংস্কারবাদী হিসেবে পরিচিত ওই সময় সরকার-ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ব্রিগেডিয়ার বারীই যোগাযোগ রাখতেন বলে জানা যায়। সংস্কার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের হেনসৱা করার জন্যও অনেকে দায়ী করেন তাকে। তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সংস্কারে রাজি না হওয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের হয়রানি করতে এই সেনা কর্মকর্তারা গোয়েন্দা সংস'ার গোপনীয়তার রীতিনীতিও ভঙ্গ করেছিলেন। বিএনপির স'ায়ী কমিটির নামে বৈঠক করাতে এই গোয়েন্দা সংস'ার কর্মকর্তাদের তৎপরতার শেষ ছিল না। বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে হাইজ্যাক করতেও তারা উদ্যোগ নেন। আওয়ামী লীগ ৰমতায় আসার পর আব্দুল জলিল, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু এবং মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মতো জোটের শীর্ষ নেতারা বেসামরিক প্রশাসনে প্রতিরৰা গোয়েন্দা সংস'ার প্রভাব সীমিত করার দাবি জানান। তারা অভিযোগ করেন, কারাবন্দী থাকা অবস'ায় ডিজিএফআই’র লোকজন তাদেরকে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। সরাসরি নাম উলেস্নখ না করেই রাজনীতিবিদরা ব্রিগেডিয়ার বারীর দিকেই ইঙ্গিত করেন। উলেস্নখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে গ্রেফতারে এসব সেনা কর্মকর্তার তৎপরতা লৰ্য করা গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগে তাদের বিরম্নদ্ধে মামলা দায়েরের আগেই গ্রেফতার করা হয়। দুদকের টাস্কফোর্স এৰেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। দুদকের চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী তথাকথিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অতিউৎসাহীর ভূমিকা পালন করেন।


ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা

আর শিবির ক্যাডার আতঙ্কে

ওয়াশিংটন, জুন ০৯ঃ যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চৌধুরী ফজলুল বারী। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এই নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে গত মাসে দেশে তলব করে সরকার। গত ৭ মে তিনি দূতাবাসের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এর পর থেকেই তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। ফজলুল বারী রাজনৈতিক আশ্রয় পাবেন কিনা, তা এখনও সপষ্ট নয়। কারণ এ সুযোগ পাওয়ার জন্য তাকে প্রমাণ করতে হবে, দেশে ফিরলে তার জীবন সংশয়ে পড়তে পারে।সেনা সমর্থিত গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ফজলুল বারী প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের এক জন পরিচালক ছিলেন। শীর্ষ রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের গ্রেপ্তারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বলে মনে করা হয়।ওই সময় সরকার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ব্রিগেডিয়ার বারীই যোগাযোগ রাখতেন বলে জানা হয়। এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্তা করার জন্যও অনেকে দায়ী করেন তাকে।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আব্দুল জলিল এবং মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মতো দলের শীর্ষ নেতারা বেসামরিক প্রশাসনে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাব সীমিত করার দাবি জানান।তারা অভিযোগ করেন, কারাবন্দি থাকা অবস্থায় ডিজিএফআই’র লোকজন তাদেরকে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। সরাসরি নাম উল্লেখ না করেই রাজনীতিবিদরা ব্রিগেডিয়ার বারীর দিকেই ইঙ্গিত করেন।২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের দুই বছরের শাসনকালে দুর্নীতির অভিযোগে দুই প্রধান দলের নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনৈতিক নেতা গ্রেপ্তার হন।২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে।এদিকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত বহুল আলোচিত চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের শিবির ক্যাডার আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এই শিবির ক্যাডার ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির পর জোট সরকার ক্ষমতায় এলে ওয়াশিংটনস্থ ’বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম‘ এর নামটি জোট সরকারের তল্পীবাহক হিসেবে মুছে দেন। বন্ধবন্ধু অডিটোরিয়াম নামটি তুলে ফেলার পিছনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিবির ক্যাডার মূখ্য ভূমিকার পালন করেন। এই শিবির ক্যাডার বর্তমানে বুঝে শুনে চলছেন এবং আতঙ্কে আছেন। উল্লেখ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নামটি পরিবর্তন করতে চাইলেও এই শিবির ক্যাডারের জন্য তা করা সম্ভব হয়নি।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী