৭ মার্চের ভাষণ ও পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের নির্দেশ

৭ মার্চের ভাষণ ও পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের নির্দেশ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ ও ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর কাছে পাকিসৱান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানকে কেন ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে না- মর্মে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে এ রুলের জাবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারকে একটি কমিটি গঠন করে স্থান দুটিকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়। বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ রুল ও নির্দেশনা দেন। আগামী ৬ জুলাই পারবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কেএম শফিউলস্নাহ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন এ রিটটি দায়ের করেন। তারা দুজনেই আদালতে তাদের বক্তব্য পেশ করেন। এ ব্যাপারে কেএম শফিউলস্নাহ এ প্রতিবেদককে বলেন, স্থান দুটি সংরক্ষণ করা আমাদের জাতির জন্য অত্যনৱ গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরো সমৃদ্ধ হবে। মুনতাসির মামুন বলেন, স্থান দুটি ঐতিহাসিক। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক আসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ও স্বাধীন হয় ১৬ ডিসেম্বর। তাই এ দুটি ঘটনার স্থান নতুন প্রজন্মকে সুনির্দিষ্ট করে দেখালে তারা স্বাধীনতার ইতিহাস সহজে বুঝতে পারবে। পিটিশনারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোরসেদ। সম্পাদনা: হাসান জাকির

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা