চলে গেলেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হক

বগুড়ায় সমাহিত হবেন গাজীউল হক
শহীদ মিনারে গাজীউল হকের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা
ঢাকা, জুন ১৮ ফুলেল শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট গাজীউল হককে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষজন সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মরহুমের কফিনে ফুল দিচ্ছেন। প্রয়াত ভাষাসৈনিকের মরদেহ দুপুর ১২ পর্যন্ত রাখা হবে ভাষা আন্দোলনের মূল স্মারক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এর পর তার মরদেহ বগুড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। বগুড়া শহরে পারিবারিক কবরস্থানে গাজীউল হককে দাফন করা হবে। সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গাজীউল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সালাহউদ্দিন জানাজায় ইমামতি করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, সহসভাপতি এম কে আনোয়ারসহ মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিক, আইনজীবীরা জানাজায় অংশ নেন। স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে গাজীউল হকের মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে নিয়ে আসা হয়। মরদেহের সঙ্গে তার একমাত্র ছেলে, জামাতা ও আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ হেলাল ছিলেন। ২৬ জুন ঢাকায় গাজীউল হকের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে বলে তার ছেলে জানান। বুধবার বিকালে গাজীউল হক তার রামপুরায় বাসায় মারা যান। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা, জুন ১৮ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার পর গাজীউল হকের মরদেহ বগুড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই বিকালে এই ভাষাসৈনিককে সমাহিত করা হবে। অ্যাডভোকেট গাজীউল হক বার্ধক্যজনিতকারণে বুধবার বিকালে রাজধানীতে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে প্রয়াত ভাষাসৈনিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ। মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবাই প্রয়াতের কফিনে ফুল দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স তার মরদেহের কফিন নিয়ে বগুড়ার পথে রওনা হয়। এর আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের দুটি নামাজে জানাজা হয়। শহীদ মিনারে ভাষাসৈনিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজন করে বিশেষ অনুষ্ঠান। কালো কাপড়ে তৈরি মঞ্চে তার কফিন রাখা হয়। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এহতেশাম-উল হক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালাহউদ্দিন নিয়াজি কফিনে ফুল দেন। মন্ত্রীদের মধ্যে শ্রদ্ধা জানান সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। রাজনীতিবিদদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, বিএনপির সাদেক হোসেন খোকা, জাসদের হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, কমিউনিস্ট পার্টির মনজুরুল আহসান খান, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাবেক মন্ত্রী আসম রব প্রমুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির, ছায়ানটের ড. সানজিদা খাতুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, বিচারপতি নজরুল ইসলাম, নাট্যকার আলী যাকের, রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, গোলাম কুদ্দুছ, ফকির আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ওবায়েদুল ইসলাম, ড. আনোয়ার হোসেন, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গাজউল হকের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়। গাজীউল হকের এক মাত্র ছেলে রাহুল গাজী ও মেয়েসহ ঘনিষ্ঠজনরা এ সময়ে তার কফিনের পাশেই ছিলেন। সহযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন সাংবাদিকদের বলেন, "গাজীউল হক ভাষা আন্দোলনে সেনাপতি ছিলেন। তিনি সারাটি জীবন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে গেছেন। তার অনুপস্থিতি আমাকে ও আমাদের শোকাভিভূত করেছে।" প্রয়াতের জামাতা শামসুউদ্দিন বাবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বগুড়া শহরে পারিবারিক কবরস্থানে বাদ আসর জানাজা শেষে গাজীউল হককে দাফন করা হবে। বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত জানাজায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, সহসভাপতি এম কে আনোয়ারও অংশ নেন। সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত জানাজায় প্রধান বিচারপতি মো. রুহল আমিন, আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু অংশ নেন। ২৬ জুন ঢাকায় গাজীউল হকের কুলখানি হবে বলে তার স্বজনরা জানিয়েছে।
শহীদ মিনারে গাজীউল হকের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা

ঢাকা, জুন ১৮ ফুলেল শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট গাজীউল হককে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষজন সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মরহুমের কফিনে ফুল দিচ্ছেন। প্রয়াত ভাষাসৈনিকের মরদেহ দুপুর ১২ পর্যন্ত রাখা হবে ভাষা আন্দোলনের মূল স্মারক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এর পর তার মরদেহ বগুড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। বগুড়া শহরে পারিবারিক কবরস্থানে গাজীউল হককে দাফন করা হবে। সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গাজীউল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সালাহউদ্দিন জানাজায় ইমামতি করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, সহসভাপতি এম কে আনোয়ারসহ মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিক, আইনজীবীরা জানাজায় অংশ নেন। স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে গাজীউল হকের মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে নিয়ে আসা হয়। মরদেহের সঙ্গে তার একমাত্র ছেলে, জামাতা ও আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ হেলাল ছিলেন। ২৬ জুন ঢাকায় গাজীউল হকের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে বলে তার ছেলে জানান। বুধবার বিকালে গাজীউল হক তার রামপুরায় বাসায় মারা যান। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
'গাজীউল হকের ঋণ শুধতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে'
ঢাকা, জুন ১৮ গাজীউল হক শুধু ভাষা আন্দোলনের সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন না, তিনি দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিলেন সামনের কাতারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তার ঋণ শোধ করতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গাজীউল হকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন জন এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, "গাজীউল হক শুধু ভাষাসৈনিকই ছিলেন না। তিনি সব সময খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলেছেন। তার মৃত্যুতে খেটে খাওয়া মানুষরা আজ রিক্ত।" জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, "বাংলাদেশের ইতিহাসে বড় তিনটি ঘটনা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। এ তিনটিতেই গাজীউল হকের অবদান রয়েছে।" তিনি বলেন, "রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা এখনও করতে পারিনি। জাহানার ইমামের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি জাতীয় এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে গাজীউল হকেরও ভূমিকা ছিল। তার ঋণ শোধ করতে হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা উচিত, তাদের সাজা দেওয়া উচিত।" ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, "গাজীউল হক এদেশের সব আন্দোলনে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যখনই দেশে কোনও ধরণের অন্যায় ঘটেছে, তখনই তিনি সোচ্চার হয়েছেন।" বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, "আমরা যে রাষ্ট্রের নাগরিক তার সূচনা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। আর এ আন্দোলনে নেতৃত্বের কাতারে ছিলেণ গাজীউল হক। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তি হয়ে আছেন।" নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, "গাজীউল হক ছিলেন আমাদের অভিভাবক ও পথ নির্দেশক। তাকে আমরা অনুসরণ করেছি, তার দ্বারা উজ্জ্বীবিত হয়েছি। তার স্মৃতি, আদর্শ, সাহস, ব্যক্তিত্ব আমাদের আগামী পথচলায় সহায়তা করবে।" নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের বলেন, "গাজীউল হক ছিলেন আপসহীন ব্যক্তি।" ইনামুল হক বলেন, "যে কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হলে গাজীউল হকের কথা মনে রাখতে হবে।" বুধবার বিকালে গাজীউল হক তার রামপুরায় বাসায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গাজীউল হকের প্রথম নামাজে জানাজা হয়। এরপর তার মরদেহ সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে আনা হয়। বিকালে বগুড়ায় পারিবারিক কবরস্তানে তাকে দাফন করা হবে।
ঢাকা, জুন ১৮ গাজীউল হক শুধু ভাষা আন্দোলনের সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন না, তিনি দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিলেন সামনের কাতারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তার ঋণ শোধ করতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গাজীউল হকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন জন এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, "গাজীউল হক শুধু ভাষাসৈনিকই ছিলেন না। তিনি সব সময খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলেছেন। তার মৃত্যুতে খেটে খাওয়া মানুষরা আজ রিক্ত।" জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, "বাংলাদেশের ইতিহাসে বড় তিনটি ঘটনা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। এ তিনটিতেই গাজীউল হকের অবদান রয়েছে।" তিনি বলেন, "রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা এখনও করতে পারিনি। জাহানার ইমামের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি জাতীয় এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে গাজীউল হকেরও ভূমিকা ছিল। তার ঋণ শোধ করতে হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা উচিত, তাদের সাজা দেওয়া উচিত।" ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, "গাজীউল হক এদেশের সব আন্দোলনে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যখনই দেশে কোনও ধরণের অন্যায় ঘটেছে, তখনই তিনি সোচ্চার হয়েছেন।" বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, "আমরা যে রাষ্ট্রের নাগরিক তার সূচনা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। আর এ আন্দোলনে নেতৃত্বের কাতারে ছিলেণ গাজীউল হক। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তি হয়ে আছেন।" নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, "গাজীউল হক ছিলেন আমাদের অভিভাবক ও পথ নির্দেশক। তাকে আমরা অনুসরণ করেছি, তার দ্বারা উজ্জ্বীবিত হয়েছি। তার স্মৃতি, আদর্শ, সাহস, ব্যক্তিত্ব আমাদের আগামী পথচলায় সহায়তা করবে।" নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের বলেন, "গাজীউল হক ছিলেন আপসহীন ব্যক্তি।" ইনামুল হক বলেন, "যে কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হলে গাজীউল হকের কথা মনে রাখতে হবে।" বুধবার বিকালে গাজীউল হক তার রামপুরায় বাসায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গাজীউল হকের প্রথম নামাজে জানাজা হয়। এরপর তার মরদেহ সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে আনা হয়। বিকালে বগুড়ায় পারিবারিক কবরস্তানে তাকে দাফন করা হবে।
চলে গেলেন গাজীউল হক 
দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা গেলেন বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক আবু নছর মো. গাজীউল হক। গতকাল বিকেল ৫টায় তিনি তার পূর্ব হাজীপাড়ার বাসায় মারা যান। রাতে তার মৃতদেহ স্কয়ার হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়।
ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিলস্নুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
এদিকে, গাজীউল হকের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি কিছু সময় নীরবে অবস্থান করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মরহুমের স্বজনদের সানৱ্বনা দেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
১৯২৯ সালের ১৩ ফেব্রয়ারি গাজীউল হক ফেনীর নিচিনৱায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশাজীবনে আইনজীবী এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আজ সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজার পর সাড়ে ১০টায় তার মরদেহ সর্বসৱরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
আজন্ম দ্রোহী গাজীউল হক ফেনীর ছাগলনাইয়া হাইস্কুলের শিক্ষক সুরেন্দ্রনাথের কাছে বিপস্নবী দীক্ষা পয়েছিলেন। এর স্ফূরণ ঘটে ১৯৪২ সালের ২৩ মার্চ ১৫ বছর বয়সে। ইউনিয়ন জ্যাক পতাকার প্রতি ‘অসম্মান’ প্রদর্শনের অভিযোগে এদিন তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর ১৯৫৩, ১৯৫৪ (দুই বার করে), ১৯৫৬, ১৯৫৮, ১৯৬৪, ১৯৬৯ ও ১৯৭৫ সালে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কারণে ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে হুলিয়া মাথায় নিয়ে গোপনে আন্দোলন করেছেন তিনি। ১৯৫৩ সালে ছাত্র আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন এবং তার এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেয়া হয়। পরে ছাত্র আন্দোলনে মুখে তিনি এমএ ডিগ্রি ফেরৎ পান।অধ্যাপক ইসলাম স্মরণ করেন, ‘ভুলব না, ভুলব না‘ বলে যে গানটি একুশে ফেব্রুয়ারীর স্মারক হিসেবে প্রথম দিকে গাওয়া হত সেটি গাজিউল হকেরই রচনা৻
গাজীউল হকের প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে রয়েছে- জেলের কবিতা (১৯৫৯), এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (১৯৭১), বাংলাদেশ অনচেইনড (১৯৭১), মোহাম্মদ সুলতান (১৯৯৬), বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন (১৯৯৬) উলেস্নখযোগ্য।
দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা গেলেন বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক আবু নছর মো. গাজীউল হক। গতকাল বিকেল ৫টায় তিনি তার পূর্ব হাজীপাড়ার বাসায় মারা যান। রাতে তার মৃতদেহ স্কয়ার হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়।
ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিলস্নুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
এদিকে, গাজীউল হকের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি কিছু সময় নীরবে অবস্থান করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মরহুমের স্বজনদের সানৱ্বনা দেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
১৯২৯ সালের ১৩ ফেব্রয়ারি গাজীউল হক ফেনীর নিচিনৱায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশাজীবনে আইনজীবী এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আজ সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজার পর সাড়ে ১০টায় তার মরদেহ সর্বসৱরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
আজন্ম দ্রোহী গাজীউল হক ফেনীর ছাগলনাইয়া হাইস্কুলের শিক্ষক সুরেন্দ্রনাথের কাছে বিপস্নবী দীক্ষা পয়েছিলেন। এর স্ফূরণ ঘটে ১৯৪২ সালের ২৩ মার্চ ১৫ বছর বয়সে। ইউনিয়ন জ্যাক পতাকার প্রতি ‘অসম্মান’ প্রদর্শনের অভিযোগে এদিন তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর ১৯৫৩, ১৯৫৪ (দুই বার করে), ১৯৫৬, ১৯৫৮, ১৯৬৪, ১৯৬৯ ও ১৯৭৫ সালে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কারণে ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে হুলিয়া মাথায় নিয়ে গোপনে আন্দোলন করেছেন তিনি। ১৯৫৩ সালে ছাত্র আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন এবং তার এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেয়া হয়। পরে ছাত্র আন্দোলনে মুখে তিনি এমএ ডিগ্রি ফেরৎ পান।অধ্যাপক ইসলাম স্মরণ করেন, ‘ভুলব না, ভুলব না‘ বলে যে গানটি একুশে ফেব্রুয়ারীর স্মারক হিসেবে প্রথম দিকে গাওয়া হত সেটি গাজিউল হকেরই রচনা৻